আমি একজন ছাত্র। আমি ২০০৭ সাল থেকে শেয়ার বাজার এর সাথে যুক্ত। আমি ১৯৯৬ সালের পতন দেখিনি কিন্তু ২০০৭ সালের পতন দেখেছি। এর পর ২০১১ সালের পতন দেখলাম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান অর্থনীতির জন্য একটি প্রশংসনিয় উদ্যোগ নিয়েছেন আর তা হল শিল্প ঋন হিসেবে যে টাকা দেওয়া হয়েছে এবং ঐ টাকা যারা পুজি বাজারে বিনিয়োগ করেছেন তাদেরকে অতি শিঘ্রই ঐ টাকা ফেরত দিতে হবে। দেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি ভাল উদ্যোগ। কিন্তু উনি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর হয়েছেন প্রয় এক বছর এবং এর মধ্য শেয়ার বাজারে সূচক বেড়েছে প্রয় ৪০০০ পয়েন্ট। এর মধ্য তিনি কোন ব্যবস্থা নিলেন না কেন। হাঠাৎ করে এই সকল ঋন সম্নয়ের চাপ দিলেন কেন? তিনি যদি আগেই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে শেয়ার বাজার এত অতিমূল্যায়িত হত না। আর আমাদের মত সাধারন বিনিয়োগকারিদের পোর্টফোলিও থেকে আজ ৪০% - ৫০% মুলধন চলে যেত না।
আব্দুল মাল আমাদের অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব রয়েছে। শেয়ার বাজার হল একটি স্পর্শকাতর জায়গা। তিনি যদি বাজারের ভালোর জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন সেটি ভাল কিন্তু তিনি যদি এমন সব কথা বলেন যা বাজারের জন্য নেতিবাচক তাতো মেনে নেয়া যায় না। তার বক্তব্য আরও বলেছেন পূজিবাজারে ৯৬ সালের মত আর কোন ঘটনা ঘটবে না। তিনি ঠিকই বলেছেন। ৯৬ সালের মত কোন ঘটনা পূজি বাজারে ঘটেনি আজ তার চেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছে। বাজার যেভাবে বেড়েছে তাতে মূল্য সংশোধন অনিবার্য ছিল। কিন্তু এই সংশোধন আস্তে আস্তে করানো যেত। এতো দ্রুত মুল্য সংশোধন করে তিনি কি পেলেন? তার আত্নীয় স্বজনের কি পোর্টফোলিও কি খালি হয়ে গিয়েছিল? তার জন্য তিনি তাদের পোর্টফোলিও ভরিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের নিয়ে খেলা করলেন?
আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কারিদের আচরনও এ ক্ষেত্রে অগ্রহনযোগ্য। তারা অনুৎপাদনশীল খাতে ঋন দিবে আর বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করলে তারা সমস্যা সুরু করবে এটা তো প্রাতিষ্ঠানি আচরন নয়। সরকার ব্যাংকের ক্ষেত্রে যে বিধিবদ্ধ জমার অনুপাত বাড়িয়েছে তাতে তাদের নগদ অর্থের সংকট শুরু হয়েছে। আমি মনে করি এটি সঠিক নয়। তাদের যদি তারল্য সংকট থাকত তাহলে তা এতো আয় করতে পারত না। আমাদের দেশের একটি ব্যাংক কিভাবে ১০০ টাকার একটি শেয়ারের বিপরিতে প্রায় ১০০ টাকা মুনাফা করে তা কেউ ভেবে দেখেছেন কি?
আর মির্জা আজিজের কথা কি বলব তিনি নাকি ৯৬ সালে DSE এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তখন বাজার পতনের ঘটনায় বিনিয়োগকারিরা নাকি তাকে উলঙ্গ কারে সুধুমাত্র জাঙ্গিয়া পরিয়ে DSE এর চত্বরে ঘুরিয়েছিলেন।
আজ বাংলাদেশের পূজিবাজারের ইতিহাসে একটি কাল দিন। আজ আমার মত লাখ লাখ বিনিয়োগকারি প্রায় ৫০% বা তারও বেশি পূজি হারিয়েছেন আর আমাদের মুহিত সাহেব তাতে লাভবান হয়েছেন। আর আওয়ামীগ সরকার এলে পূজিবাজারে যে ধ্বস নামে তিনি তা প্রমান করেছেন।
শেষে বলব এই পতনের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি চাই এবং সরকারের ব্যার্থ কর্তাব্যাক্তিদের পদত্যাগ চাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




