সেদিন দেখা হবে ভেবে সেখানে যাওয়া, যেখানে তাঁর জন্মদিন হবার কথা ছিল। নিজেকে খুব সম্মানী ভাবে সে। কেই বা তা না হয়। তাঁর ভগবান যে তাঁকে তার সব কিছু দিয়ে ভালোবেসেছে! এ এক অদ্ভুত কল্পণা। নিজের কাছে নিজেকে যদিও তার আজকাল কিছুই মনে হয় না। খুব বেশি স্বপ্নেরা তাকে কিছুই দেয় নি। কাছাকাছি আসা যেতো সে আসে নি। কাদের প্রতি তার যেন অসীম ভরসা থাকে চিরকাল। থেকে এসেছে। নাহ সে শিখেছে কেবল কীভাবে সব আছে দেখাতে হয়! এতে তার ওনাদের বিশালতার গুনোত্তর ধারা রক্ষিতা হয়। বেশ্যা না কুলটাও যেন হয়! এই সব শব্দের অদ্ভুত মোহ আছে।
দিনকাল ভালো যায় দেখে সেও ভেবে ভেবে থাকে। নাহ কোন দুশ্চিন্তা না। স্রেফ রেশ নিয়ে ভাবে সে। ঘটনার জের রয়ে গিয়েছিল অতীতে যেমন এখনো রয়েই যাবে। তারপর ভবিষ্যত কেউ হয়তো তার জের টানবে! এইভাবে টানা-হেঁছড়া তাকে চিরকালই অসুখে রেখে যাবে। এর একটা যথাযথ ইতি করা হতো যদি! কীভাবে সে এইসব ভাবে সে নিজেও জানে না। সে বা তার আত্মা কখনো সুখী বা পূর্ণ হবে না বা কাউকে সে পূর্ণতা দিতে পারবে না। পশ্চিমের প্রেমবীরেরা হয়তো চিরকাল একে এক জাদু বলেই মেনে যাবে। কালোজাদু। যখন তারা কেউ কাউকে পাবে না তখন এসব প্রশ্ন আসবে। অবাধ্যতা হলে জীবণের মরণের কোন পর্যায়ে হতেই হবে। কেউ হারে বলেই না সব সুন্দর! সব সুন্দর! যেখানে কারো কুৎসিত মনের জন্যও অনেক কিছু সুন্দর হয়, তখনও সে জায়গাটাই স্বর্গ বলতে হবে? অতএব বৃথা আমাদের সব কিছু। কারণ আমাদের জানা আছে নিশ্চয়ই।
কারো কারো পরাজয়ের মাঝে আমাদের সকলের জন্য অনেক সুখ জমা আছে। তবু সেই পরাজিত জনা যদি তার ভাঙা হৃদয়ের মনের মানুষটাকে ভালোবাসার অভিনয় করে যায় তাহলে কি পৃথিবী থেকে সব দুঃখ মুছে যাবে না? সব কষ্টের সব কিছু যদি একজন সজ্ঞানে নিয়ে যায় তবুও কি অন্য সে জনেদের স্বর্গ স্বর্গ হবে না? কারও মৃত্যু কি কখনো কাউকে তারপরও কষ্ট দেবে না?
অসম্পূর্ণতাই তাহলে আমাদের জীবণের সম্পূর্ণতা। সারল্য সহজ জীবণে তাই কেবলি পরাধীনতার সুখে মাতাল করে। আত্মাদের মৃত্যুর পরেও তাঁরা কখনো জানতে পারে না সে স্বর্গে ছিলো! অথবা সে স্বর্গে যাচ্ছে! মধুর অংশটা হলো পরাজিত মনের ঔদার্যটা কেউ দেখতে চায় না।