আমরা সাধারণভাবে টিভি নাটকে কিংবা সিনেমায় একশেন{মাইরপিট} সিনারি(দৃশ্য) দেখে অভ্যস্থ! কিন্তু যেই সরকারই ক্ষমতায় হবে হওক আমাদের সরকার পতন আন্দৌলণ দেখতে হয় সব সময়। এর কারণ কী? জন সমর্থন আদায়ের চেষ্টা যখন নির্বাচিত কোন সরকারের বিরোধীদলের রাস্তায় রাস্তায় করতে হয় তখন আমাদের মনে অনেক রোমাঞ্চ[ROMANCE] তৈরী হয়।
সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো এই সব খবর এবিসি রেডিওতে আসছে যা রেডিও বাংলাদেশে আসে নাই! এছাড়াও আর কিছু খবর আছে, এই যেমন ২নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত একনম্বর হুশিয়ারী সঙ্গকেত ইত্যাদি। খবরগুলার উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এদের কোন অংশই আমি মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা করলেও শুনতে পারি না। কারণ আমাকে শব্দ বুঝে বুজে শুনতে হয়। তখন ফোর্ এক্সাম্পোল্, "কানু" শব্দটা যদি খবরে বলা হয় তাহলে এইটা বুঝতে আমার "কা" এবং "নু" আলাদা আলাদাভাবে শুনতে হয়। এইভাবে আলাদা আলাদাভাবে শুনতে গিয়ে আমার শব্দ আলাদা আলাদা হয়ে যায়। বাক্য আলাদা আলাদা হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত গিয়ে আমিও আলাদা হয়ে যাই খবর থেকে।
আমার খুব কষ্ট হয় সেয়িসব সংবাদ পা(ঠক/ঠিকা)দের জন্য যাদের নিয়মিত এই সব বৌরিং এবং অসৃজনশীল জিনিসপত্র পাঠ করতে হয়। যাইহৌক, কক্সবাজার নাকি সমুদ্রবন্দর হইছে! কবে থেকে হইছে কেয়ু জানলে আমাকে জানাতে পারেন। সিউল আর সৌলের ডিফারেন্সটা নিয়া চিন্তিত আছি।
সকালে একটা গান শুনছিলাম, শিরিন খালার, "ভাবিগো তুমায় দিবা নিশি কেমনে বুঝাই কোতো বালোবাঁশি, প্রেমে ডুবাই দেওয়াইল্লা" গানটার টাইটেল কী ছিলো ভুলে গেছি।
আমার মনে হয় এই গানটার মধ্যে আমাদের রাজনৈতিক সকল গন্ডগোলের সমাধান আছে! যা করতে হবে তা হলো লিরিক্সটা প্রথমে আমাদের দুই নেতা(!!!!!) কে মুখস্ত করাতে হবে দেন তারপরে গিয়ে তাদের একজন অন্যকে কল করে একে অন্যকে গানঠা একবার একবার করে গেয়ে শুনাবে। অবশ্যই শিরিন এক্সেন্ট মেনটেইন করতে হবে।
এরপরও সমাধান না হলে আরেকবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করা যায় নাকি আপনারা ভাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৫৪