somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হজ ও তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকি!! মনে হয় নতুন মখা!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত করলেন সরকারের টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তিনি সরাসরি মুসলমানদের পবিত্র হজের বিরুদ্ধে কথা বললেন। বলেছেন, আমি হজ আর তাবলীগ জামাতের দু‘টোর ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধি। তার চেয়েও হজ ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধি। রোববার বিকেলে নিউ ইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউ ইয়র্কস্থ টাঙ্গাইলবাসীদের সাথে এক মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

পবিত্র হজ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি কিন্তু হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধি। আমি জামায়াতে ইসলামীর বিরোধি। তার চেয়েও হজ ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধি। তিনি বলেন, এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোন কাম নাই। এদেও কোন প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে। মন্ত্রি বলেন, এভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ লোক হজে যায় প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে ৫‘শ কোটি টাকা খরচ হয়। তিনি হজের শুরু প্রসঙ্গে বলেন, আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ চিন্তা করল এ জাজিরাতুল আরবের লোকেরা কিভাবে চলবে। তারাতো ছিল ডাকাত। তখন একটা ব্যবস্থা করলো যে আমার অনুসারিরা প্রতিবছর একবার একসাথে মিলিত হবে। এরমধ্য দিয়ে একটা আয়-ইনকামের ব্যবস্থা হবে। তাবলীগ জামাতের সমালোচনা করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তাবলীগ জামাত প্রতিবছর ২০ লাখ লোকের জমায়েত করে। নিজেদেরতো কোন কাজ নেই। সারাদেশের গাড়িঘোড়া তারা বন্ধ করে দেয়।

তিনি তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদেও উদ্দেশ্যে বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন। ‘জয় ভাই’ কে। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশনে অনুষ্ঠিত ‘টক্ শো’রও সমালোচনা করেন। মন্ত্রীর পবিত্র হজের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য রাখার পর স্থানীয় প্রবাসীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সংবাদটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ প্রবাসীদেও অনেকেই অভিযোগ কওে বলেন, এর আগেও এ মন্ত্রী একাধিকবার অসংলগ্ন কথা বলেছেন। তাকে এখনও মন্ত্রিসভায় রাখায় তারা প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এধরনের বক্তব্যে বিশ্মিত দলের কর্মী ও সমর্থকরা। সভাস্থলেই অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলে এক পর্যায়ে মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউ ইয়র্ক সফর করছেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন প্রবাসীর মন্ত্রির কাছে প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশের কম্পিউটার ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি কোন পর্যায়ে। আমরা জানতে পেরেছি এ ব্যাপারে জয় ভাই ইন্টারনেটের কানেকশনের কাজ করচেন। এসময় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে দেখা যায় মন্ত্রি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে। তিনি এসময় বলেন, জয় ভাই কে। পাশ থেকে এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলে উঠেন , সজীব ওয়াজেদ জয়। মন্ত্রি বলে উঠেন, সে করার কে। এসময় প্রশ্নকর্তা বলেন, তার তো এ ব্যাপাওে প্ল্যান রয়েছেই। মন্ত্রি এবার বলেন, ও সেটা বলেন, ওনার একটা প্ল্যান আছে। এসময় মন্ত্রি তার ডান পাশে উপবিষ্ট যুক্তরাষ্ট্র সভাপতি এবং একজন প্রবাসীকে দেখিয়ে বলেন, এধরনের প্ল্যান সিদ্দিকুর রহমান করতে পারে, সেও করতে পারে। জয় একজন কম্পিউটার বা ইনফরমেশন টেকনোলজী সাইন্সটিস্ট। তার নিজস্ব পরিকল্পণা আছে। সরকার জনগনের। জয় বাংলাদেশ সরকারের কেউ নয়। তিনি কোন সিদ্ধান্ত নেয়ারও কেউ নন। তিনি তার মায়ের তথ্য উপদেষ্টা। এটাও ঠিক আছে। তিনি একজন শিক্ষক সেটাও ঠিক আছে। তিনি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ কওে সরকার। কার্যকর করে মন্ত্রী। ভাল-মন্দ , ন্যায়-অন্যায় যা কিছু তার দায় মন্ত্রীর। বর্তমান মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দাযিত্ব। এখানে জয়ের কিছু নাই। মন্ত্রি বলেন, একজন একটি বই লিখেছেন। সে বই এর লেখকের কোন দায়-দায়িত্ব নেই। যিনি পড়াচ্ছেন এবং পড়ছেন দায়-দায়িত্ব তাদের। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে এসময় মন্ত্রি বলেন, কথায় কথায় আপনারা জয়কে টানেন কেন।

মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিদেশে এসেছেন কামলা দিতে এবং সবসময় কামলাই দিবেন। রাজনীতি করার দরকার কি। টিভির টক শো‘র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বরেন, আমরা রাগ হলে দেশে একটা গালি দেই চুৃৃৃৃ..নি (অশ্রব্র একটি গালি)। এসময় হলভর্তি প্রবাসীদের বিশ্মিত পিনপতন নীরবতা। মন্ত্রি ওই গালির সাথে মিল রেখে টকশোতে অংশগ্রহণকারিদের ‘টক মারানি’ বলে আখ্যায়িত করেন। মন্ত্রি বলেন , ওয়ান এলিভেন এর পর আমি যাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিলাম। ১ লাখ পেয়েছি। তাদের কোন তদবির আমি এখন রা করিনা।
সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×