somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্ত জলিল!! অসম্ভবকে সম্ভব করা সত্যিই যার পক্ষ্যে সম্ভব!!!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনন্ত জলিল বরাবরই বিপদের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত সবার কাছে। যখনই কেউ বিপদে পড়ে তার কাছে সাহায্য চায়, তখনই অনন্ত সত্যিকারের নায়কের মতই দুই হাত বাড়িয়ে দেন। সব সময়েই তিনি অভাবী এবং বিপদগ্রস্তদেরকে সহায়তা করে এসেছেন। আর তার এই মহৎ স্বভাবের পেছনে আছে তার একটি মহৎ চিন্তাধারা। তিনি মনে করেন সৃষ্টিকর্তা যেহেতু তাঁকে অনেক দিয়েছেন, তাই তিনি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি এটাকে তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেন। আর তাই কখনোই বিপদগ্রস্ত কেউ তাঁর কাছে সাহায্যের হাত বাড়ালে খালি হাতে ফেরত যায় না।
সম্প্রতি অনন্ত জলিল সাহায্য করেছেন তেমনই একজন বিপদগ্রস্ত শিশুকে। পটুয়াখালীর মোঃ সুজনের বয়স মাত্র ১২ বছর। অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের ছেলে সুজন ভুগছে একটি শারীরিক জটিলতায়। গত তিন বছর যাবত সুজন Chyious Ascites নামে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে তাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তার চিকিৎসার জন্য অতি দ্রুত তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সুজনের পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যার সময় সুজন এবং সুজনের মামা এজে আই গ্রুপের সামনে অনন্ত জলিলের সাথে দেখা করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনন্ত জলিল যখন অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তখন তিনি ছেলেটিকে এবং ছেলেটির মামাকে দেখতে পান। অনন্ত তাদেরকে কাছে ডেকে সমস্ত ঘটনা শুনে সুজনের পরিবারের ভিসা, পাসপোর্ট এবং ইন্ডিয়া যাওয়ার যাবতীয় খরচ দিয়ে দেন এবং সুজনের দ্রুত সুস্থতা লাভের কামনা করেন।
কেবল সিনেমায় এতকাল আমরা ঘটতে দেখেছি এমন ঘটনা। তবে লোকে যতই নিন্দা করুক না কেন, অনন্ত
জলিল সবসময় প্রমাণ করেছেন যে কেবল পর্দার নামসর্বস্ব হিরো নন তিনি। বরং বাস্তব জীবনেও তিনি হিরো। নিজের ধর্মের ও সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসই তাঁকে এমন কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে বলে অনন্ত জানান।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×