দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯। কারণ দশম সংসদ গঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যারা সাংসদ নির্বাচিত হলেন, যদি আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে, তাহলে সংবিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে নতুন একাদশ সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হবে।
অর্থ্যাৎ ৬ বা ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে যদি একাদশ সংসদের নির্বাচিত সাংসদগণ শপথ নেন, তাহলে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে দশম ও একাদশ সাংসদ উভয়ের অস্তিত্ব বর্তমান থাকবে। তখন কার্যত দেশে মোট সাংসদ হবেন দশম সংসদের ৩৫০ (সংরক্ষিত ৫০ জন নারী সাংসদসহ)+ একাদশ সংসদের ৩০০= ৬৫০ জন।
অর্থ্যাৎ একাদশ সাংসদের শপথ অনুষ্ঠান যেমন বাধ্যতামূলক তেমনি ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের আগে কোনোভাবেই একাদশ সংসদ কার্যকর হচ্ছে না। একাদশ সংসদের শপথ অনুষ্ঠানের তারিখ থেকে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত বা দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্যত ৬৫০ জন সাংসদ দেখা যাবে।
যদিও দশম সংসদের অনেক সাংসদ একাদশ সংসদে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা অন্য প্রসঙ্গ। প্রশ্ন হলো, একাদশ সংসদের সদস্যগণ শপথ নেবার পরেও ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের আগে একাদশ সংসদ কার্যকর হচ্ছে না। তাহলে কী সংবিধানে দশম ও একাদশ সংসদের মধ্যে একটি ডুয়োলিটি সমস্যা থেকে যাবে? অর্থ্যাৎ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখ পর্যন্ত সংবিধানের কোন আইনের সুযোগে এই ডুয়োলিটি বৈধ?
আমি যে প্রশ্নটি উত্থাপন করলাম, এটি ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের পর আর ভেলিড নয়। কারণ ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে একাদশ সংসদ অটোমেটিক কার্যকর হবে। কিন্তু একাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ থেকে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত এই ডুয়োলিটি কী আমাদের সংবিধান সম্মত?
কারণ সংবিধানে ৩০০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সাংসদের অস্তিত্বই কেবল বর্ণনা করা আছে। একাদশ সংসদ কার্যকর হবার পর সংরক্ষিত ৫০ জন নারী সাংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা আসবে। কিন্তু একাদশ সংসদের শপথ থেকে একাদশ সংসদ কার্যকর হওয়া পর্যন্ত ডুয়োলিটি দূর হবে কীভাবে?
-------------------------
১ জানুয়ারি ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৫০