করোনা ভাইরাসের মত অনেক দুর্যোগ মানুষ প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে জয় করেছে। পৃথিবীতে প্রকৃতি থেকেই বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এ ধরনের প্রচুর দুর্যোগ কিংবা মহামারী এসেছে। মানুষ শেষপর্যন্ত তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে। খুব শিঘ্রই করোনা ভাইরাসের এই ত্রাসও মানুষ জয় করবে।
অতএব মানসিকভাবে ভেঙে পরার কোনো দরকার নাই। প্রকৃতি বারবার আমাদের যে শিক্ষাটা দেয়- সেখানে কে ধনী আর কে গরীব, এটার কোনো পার্থক্য থাকে না। কিন্তু আমরা এতই বেঈমান যে আমরা এটা ভুলে যাই।
করোনা প্রস্তুতিতে সরকার প্রতিটি পর্যায়ে স্রেফ ফেল করেছে। এখন রাস্তায় মানুষ দেখলেই পুলিশ পেটাচ্ছে! কেন মানুষ বিশেষ প্রয়োজনে ঘর থেকে অবশ্যই বের হবে। প্রয়োজনে পুলিশ তাদের বের হবার কারণ জানুক। তাই বলে পেটাবে কেন? এটা কী মামু বাড়ি পাইছেন?
এখন পর্যন্ত গোটা দেশের মানুষের জন্য এই সরকার বাহাদুর কোনো সুস্পষ্ট গাইডলাইন দিতে পারেনি। সেই সরকারের পুলিশের সাধারণ মানুষকে পেটানোর কোনো এখতিয়ার নাই। স্রেফ নাই। আপনি গরীব মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা না করে তাদের পেটানোর হুকুম দিছেন কীসের শক্তিতে??? আপনাদের চুরি-চামারি তো এখনো বন্ধ হয় নাই। নাকি হয়েছে?
মানুষ খাবার এবং ওষুধের জন্য এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে। কেউ বিনোদনের জন্য বের হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যাচ্ছে না। সেখানে কীসের ভিত্তিতে পুলিশ পেটাবে? কেন পেটাবে? সবকাজে ফেল করা সরকারের এই বাহাদুরি আসে কীভাবে???
মনে রাখবেন দুর্যোগের সময় সবাই সবাইকে সহায়তা করা উচিত। এটাই মানবিক আচরণ। সরকার বরং করোনা প্রস্তুতিতে কোথাও মানবিকতা দেখায় নাই। করোনা ছড়ানোর মত সকল কিছুই লেজেগোবরে করেছে সরকার বাহাদুর।
সবাই মানসিকভাবে শক্তি অর্জন করুন। করোনা ভাইরাস পৃথিবীর প্রায় আটশো কোটি মানুষকে খুব একটা কিছু করতে পারবে না। বরং আমাদের অন্যান্য সকল প্রাণি ও প্রকৃতির সবকিছু বন-জঙ্গল-ধরিত্রী ভালো বাসতে শিখতে হবে। এই পৃথিবীতে সকল প্রাণির বেঁচে থাকার সমান অধিকার রয়েছে। এই দুর্যোগ শিঘ্রই কেটে যাবে।
আবার জমবে মেলা বটতলা-হাটতলা। আবার আমরা মুখর হবো সন্ধ্যার আড্ডায়। আবার আমরা দলবেধে হাঁটবো, গাইবো, কাঁধে কাঁধ মেলাবো। আমরা যেন ধরিত্রীর প্রতিটি তৃণলতার প্রতি, প্রতিটি প্রাণির প্রতি মমতা দেখাই। আমাদের ভালোবাসার শক্তির কারণেই পৃথিবী আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। সো, ডোন্ট অ্যরি! জাস্ট কুল।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১