জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে শামীল
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ইতিপূর্বেও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন কারণে ঈদের নামাজ পড়েছি ঢাকাতে কিন্তু কখনোই নামাজ পড়া হয়নি কেন্দ্রীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে। এবারই প্রথম ঈদের নামাজ পড়লাম জাতীয় ঈদগাদে । হাজার হাজার মানুষের মাঝে ঈদের নামাজ পড়ার অনুভুতিই আলাদা। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত চারিদিক।
বাসা থেকে দুচাক্কায় তিনজন নিয়ে ছুটে গিয়ে মসৎভবনের মোড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনিতে বাধা পড়লাম। দ্বিচক্র যানটি তালাবদ্ধ রেখে হেটে হেটেই মুল প্যান্ডেলের দিকে অগ্রসর হতে হলো। দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সহ বিশিষ্টজনেরা সহ যুবক - বয়োবৃদ্ধ, তরুন -কিশোর , নারী -শিশু সকলেই শামীল হয়েছিলেন প্রধান ঈদগাহে। যেকোন নাশকতা বন্ধ ও শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য স্থাপন করা হয়েছে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্যার পুলিশের পাশাপাশি সিবি ক্যামেরা সহ পুরো এলাকা ছিলো নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত।
সমগ্র এলাকা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
সকল মানুষের গন্তব্য একদিকে । ত্যাগের অনুপম মহিমায় সকল পঙ্কিলতা , ঝেড়ে ফেলে খোদার পথে কুরবানী করার পূর্বে একত্রিত হচ্ছে যে মুসলিম উম্মাহ। কারো মাঝে নেই কোন ক্রোধ, হিংসা , অহংকার ভেদাভেদ। আমীর ফকির সকলেই এক কাতারে।
পাক পবিত্র হয়ে সকলেই শামীল হয়ে যাচ্ছেন ঈদের জামাতে কিন্তু যারা কোন কারণে পবিত্রতা অর্জন করে আসতে পারেন নি তাদের জন্য সুব্যবস্থা ছিলো পবিত্রতা অর্জনের । জামাতে শামীল হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে ওজু করে নিচ্ছেন মুসুল্লীগন।
জামাতের সময় তখনো বেশ কিছুটা বাকী তাই মুসুল্লীগন এখনো শামীল হতে পারেননি জামাতে । ধীরে ধীরে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে পুরো প্যান্ডেল
মুসুল্লীদের সুবিধার্থে সুন্দর প্যান্ডেলের পাশাপাশি লাগানো হয়েছিলো ফ্যানও
জামাত দাড়িয়ে গিয়েছে , কাধে কাধ মিলিয়ে সকলে কাতার সোজা করে নিচ্ছে এক ঈমামের পিছনে।
মুসলিম ভাই ভাই চলছে কোলাকুলি, তাতে নেই কোন অহংকার যদিও সে চেনা পরিচিত হোক বা নাহোক
মুল গেল দিয়ে সকলে এক সাথে বের হওয়ার সময় যদিও প্রচন্ড চাপ ছিলো তথাপি ঈদের ময়দানে ছিলো না কোন তারাহুরা, চাপ থাকলেও ছিলো ধীর স্থিরতা। যা অন্য কোন ক্ষেত্রে হলে নিশ্চিত ধাক্কা ধাক্কির পর্যায়ে পৌছে যেত। আর পুলিশ বাহিনী সদস্যরা মাইকে ঘোষনা করছিলো ভিন্ন পথ ব্যবহার অথবা ধীরে ধীরে বের হওয়ার জন্য।
বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা গুলোর জন্য উত্তোলন করা হচ্ছিল দানের অর্থ
বাবার হাত ধরে সেও এসেছিলো ঈদের জামাতে
ঈদের জামাতে শামীল হতে শেষ যে খুশি
নামাজ শেষ অতপর বাবার সাথে বাড়ী গিয়ে কুরবানীতে শরীক হতে হবে তাকে
নারীদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিরো আলাদা প্যান্ডেলের তাই কিশোরী তরুনী বয়োবৃদ্ধ নারীদের অনেকেই মিস করেনি এই ঈদের জামাত
ঈদ মানে আনন্দ , শিশুদের আনন্দকে আরো রঙ্গিন করতে খেলনা জিনিসও বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে স্থানে স্থানে
তাদের জন্য এই দিনটি অতি আকাংখিত
রাস্তা বন্ধ থাকায় মসৎ ভবনের মোড়ে হালকা জ্যাম যদিও তা অন্য কোথাও দেখা যায়নি
সকলের জন্য ঈদ মোবারক
নোকিয়ার সবচেয়ে কমদামী ক্যামেরা মোবাইলের তুলা ছবি , অতএব এরচেয়ে ভালো ছবির আশা না করাটাই উত্তম
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন