somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বুদ্ধিতার পাঁচ আইন: সবার জন্য কঠিন আয়না

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুঃখিত, লেখাটি একটু দীর্ঘ হয়ে গেল।

মানব সভ্যতার প্রতিটি বাঁকে আমরা বুদ্ধি, জ্ঞান আর উদ্ভাবনের সাফল্য দেখেছি; কিন্তু সাফল্যের ঠিক ছায়ায় থেকেছে এক অব্যক্ত শক্তি—নির্বুদ্ধিতা। ইতালির অর্থনীতি-ইতিহাসবিদ কার্লো এম. চিপোলা ১৯৭০–এর দশকে এক ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু তীক্ষ্ণ প্রবন্ধে এই শক্তিকে “পাঁচটি মৌলিক আইন”-এ ব্যাখ্যা করেছিলেন।। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলেতে অধ্যাপনা করতেন; প্রবন্ধটি প্রথমে সীমিত পরিসরে ছাপা হয়েছিল, পরে “Allegro ma non troppo” গ্রন্থে সংযোজিত হয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করে। চিপোলার উদ্দেশ্য ছিল একটাই—নির্বুদ্ধিতার ক্ষতি শনাক্ত করা, বোঝা এবং সম্ভব হলে প্রতিরোধ করা।
প্রথম আইন বলছে—আমরা সব সময়ই নির্বোধ মানুষের সংখ্যা কম ধরে নিই। এ অনুমানের ভুলটা ধরা পড়ে ঠিক সেখানেই, যেখানে নিয়মিত কাজ হঠাৎ অকারণে থেমে যায়: কখনো নগর পরিবহনের রুট বদলিয়ে দিয়ে যাত্রীর সময় ও খরচ বাড়িয়ে তোলা, কখনো পরীক্ষার ক্যালেন্ডার বারবার পাল্টে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের পরিকল্পনাকে ভেঙে দেওয়া, কখনোইবা জনসেবায় নতুন ডিজিটাল সিস্টেম চালু করে আগাম প্রস্তুতি ছাড়া ঘন্টার পর ঘন্টা পরিষেবা অচল রাখা। আমরা ভাবি, এমনটা আর হবে না; তবু আবার ঘটে। যাদের গতকাল যুক্তিবাদী লেগেছিল, তারাই আজ অপারগতায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় যে নাগরিকের সময়, অর্থ, শক্তি—সবই নষ্ট হয়। কারো বিশেষ ক্ষতিবোধই যেন সিদ্ধান্তের পূর্বশর্ত নয়—আর সেখানেই প্রথম আইনের নির্মম সত্যটি ধরা দেয়: আমরা যে “সংখ্যা” কল্পনা করি, বাস্তবে নির্বোধ আচরণের প্রকোপ তা ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় আইন বলছে—কেউ নির্বোধ হবেন কি না, তা তাঁর অন্য কোনো বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে না। পদ, ডিগ্রি, আয়, শহর-মফস্বল, সরকারি-বেসরকারি—কিছুই নয়। একটি হাসপাতালে আপনি দেখবেন, সামনের সারির কর্মী ভুল করতে পারেন; আবার একইভাবে পরিকল্পনা টেবিলে বসেও কেউ সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর খুঁজতে ব্যর্থ হন। সবার মধ্যেই নির্দিষ্ট অনুপাতে নির্বোধ আচরণ দেখা যায়; করপোরেট বোর্ডরুমেও যেমন, স্থানীয় সমবায় সমিতিতেও তেমন। আমি নিজেও কি এর বাইরে? শিক্ষা-প্রশিক্ষণ অবশ্যই দরকার; কিন্তু কেবল ‘যোগ্যতার সনদ’ নির্বুদ্ধিতাকে আপনাআপনি সরিয়ে দেয় না। এই ‘সমবণ্টন’-এর বাস্তবতা বুঝলে বোঝা যায় কেন একই ধরনের ভুল কখনো প্রযুক্তি স্টার্টআপে, কখনো ক্রয়নীতিতে, কখনো খেলাধুলার সংগঠন চালনায় ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে।
তৃতীয় আইনে মানুষকে চার ভাগে ভাবতে বলা হয়—বুদ্ধিমান, দস্যু, অসহায় ও নির্বোধ। বুদ্ধিমান সেই, যার কাজ দু’পক্ষেরই লাভ বাড়ায়; দস্যু নিজের লাভ করে অন্যের ক্ষতিতে; অসহায় নিজের ক্ষতিতে অন্যকে লাভ দেয়; আর নির্বোধ সেই, যে অন্যের ক্ষতি ঘটায়, অথচ নিজেও কোনো লাভ পায় না—বরং অনেক সময় ক্ষতিই বাড়িয়ে ফেলে। এই লেন্সে আমাদের দৈনন্দিন জীবনটা পরিষ্কার হয়। ধরুন সড়কে সাময়িক উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হলো; পথচারী, চালক, দোকানি—সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। কাজটি ত্বরান্বিত হলো না, ব্যয় বেড়েই চলল, ঠিকাদার-প্রশাসন দু’পক্ষেরই মাথাব্যথা বাড়ল—এখানে কারো প্রকৃত লাভ নেই, কিন্তু সবার ক্ষতি বাড়ছে। একইভাবে, বাজারে দাম “স্থির” রাখার উদ্দেশ্যে আকস্মিক বিধিনিষেধ জারি করে জোগান ব্যাহত করা—ভোক্তার ভোগান্তি, বিক্রেতার লোকসান, রাজস্বের ধাক্কা—সব মিলিয়ে এই আচরণ বুদ্ধিমানের, দস্যুর বা অসহায়ের ফ্রেমে পড়ে না; এখানেই তৃতীয় আইনের “নির্বোধ” আচরণের ক্লাসিক উদাহরণ ধরা পড়ে।
চতুর্থ আইন সতর্ক করে—অ-নির্বোধরা, (অর্থাৎ বুদ্ধিমান, দস্যু বা অসহায়) প্রায়ই নির্বুদ্ধিতার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাকে হালকাভাবে নেন। মনে করেন, “ওকে একটু কাজে লাগিয়ে নিলে হবে”, “ওর সিদ্ধান্ত আমি সামলে নেব”—এই আত্মতুষ্টি থেকেই বিপদ। বাস্তবে দেখা যায়, “সহজে সামলে নেওয়া যাবে” ভেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো, সে ঠিক অপ্রত্যাশিত জায়গায় ভুলটি করে বসে—প্রকল্পের মাঝপথে নীতিমালা পাল্টায়, ডেটা ব্যাকআপ ছাড়া সিস্টেম আপডেট দেন, মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি ছাড়া নির্দেশনা জারি করেন। ফলে জটিলতা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, যেখানে আগের সব ভরসা ব্যর্থ হয়ে যায়। পরিবার-পরিচালনা থেকে অফিস, স্টার্টআপ থেকে রাজনীতি—সবখানেই এই ভুল-অনুমান ঘটে: “নির্বোধকে নিয়ন্ত্রণ” করা যাবে—কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণ নয়, উল্টো তার আচরণই খেলার নিয়ম বদলে দেয়।
পঞ্চম আইনের সারকথা—নির্বোধ মানুষই সবচেয়ে বিপজ্জনক, দস্যুর চেয়েও। কেননা দস্যু অন্তত নিজের লাভের জন্য ক্ষতি করে; সমাজের মোট আয়তনে এটি প্রায় শূন্য-ফল যোগের মতো—একজনের প্লাস, অন্যজনের মাইনাস। কিন্তু নির্বোধের ক্ষেত্রে “প্লাস” নেই; সবারই “মাইনাস”। বাস্তবে এই “সামষ্টিক মাইনাস” দেখা যায় নানা খাতে: পরীক্ষামূলক চালু না করেই বড়সড় আইটি সিস্টেম লাইভ করে সার্ভিস বন্ধ রাখা; প্রকল্প নকশায় ব্যবহারকারীর মতামত না নিয়েই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এমন স্থাপনা দাঁড় করানো, যা পরে “কম ব্যবহার” বা “অপপ্রয়োগ”-এর দগদগে উদাহরণ হয়; খেলাধুলার সংগঠনে টুর্নামেন্ট ক্যালেন্ডার এমনভাবে সাজানো যে খেলোয়াড়-প্রশিক্ষক-সমর্থক—সবাই ক্লান্ত, স্পনসর-সম্প্রচারক অখুশি, অথচ কোনো টেকসই ব্র্যান্ড-ভ্যালু তৈরি হলো না; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাঠপর্যায়ের সক্ষমতা না দেখে কাগুজে পরিকল্পনার পাহাড়—সব মিলিয়ে ক্ষতির ওপর ক্ষতি। দস্যুতা সমাজকে স্থবির করতে পারে; নির্বুদ্ধিতা সমাজকে অসহায় করে।
এবার খাতভিত্তিক কিছু চশমা পরে দেখি। অর্থনীতিতে নির্বুদ্ধিতা দেখা যায় যখন নীতির ধারাবাহিকতা ও পূর্বাভাসযোগ্যতা ছাড়া সিদ্ধান্তে লাফ দেওয়া হয়—আয়কর-শুল্কে ঘনঘন ছোট পরিবর্তন, অথচ ব্যবসার পরিকল্পনা চক্র বছরজুড়ে; মুদ্রানীতিতে বার্তা অস্পষ্ট রাখায় বাজারে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া; সরকারি ক্রয়ে সর্বনিম্ন দরদাতার পেছনে “সর্বনিম্ন মান” চলে আসা। শিক্ষাক্ষেত্রে যখন পাঠ্যবিষয়, পরীক্ষা, ভর্তি—সবই ঘনঘন বদলায়, তখন ছাত্র-অভিভাবক-শিক্ষক—কেউই নিজের সময় ও মানসিক শক্তি পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করতে পারে না। স্বাস্থ্যখাতে, ওষুধ সরবরাহ শৃঙ্খল, মানবসম্পদ পোস্টিং, আইটি-ডেটা ইন্টারঅপারেবিলিটি—এসব জায়গায় ছোট একটি ভুল, কেমন করে সিস্টেম-ওয়াইড ঝামেলায় পরিণত হয়, আমরা দেখেছি। অবকাঠামোয়, নতুন সেতু/সড়ক/টার্মিনাল খুলে দিয়ে সংযোগ সড়ক বা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রস্তুত না রাখা—লাভের বদলে সময়-জ্বালানি-স্নায়ু—সব জায়গায় ক্ষতি। প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবায়, ইউজার-টেস্ট ছাড়া বাধ্যতামূলক ই-ফর্ম করে “লাইনে দাঁড়ানো”’য়ের কষ্টকে কেবল অনলাইনে স্থানান্তর করা—এটাও নির্বুদ্ধিতারই এক আধুনিক রূপ। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে, দীর্ঘমেয়াদি ট্যালেন্ট পাইপলাইন গড়ার বদলে কেবল তাৎক্ষণিক ফলের পেছনে দৌড়ে বছর শেষে শূন্য হাতে ফেরা—সব ক্ষেত্রেই সূত্রটি একই: সবার ক্ষতি, কারো স্থায়ী লাভ নয়।
চিপোলা দেখিয়েছিলেন, নির্বোধদের “হার” সমাজে প্রায় স্থির থেকে যায়; পার্থক্যটা হয়—বাকিরা তাদের কতটা “স্পেস” দেয়। যখন সমাজ ভাল করে, তখন বুদ্ধিমানরা (যারা দু’পক্ষেরই মঙ্গল বাড়ায়) বেশি সক্রিয় থাকে; অসহায় ও দস্যুর মধ্যেও “বুদ্ধির ছোঁয়া” থাকে—ফলে কাজের নিট ফল ইতিবাচক হয়। আর যখন পিছিয়ে যায়, তখন দস্যুতার সঙ্গে নির্বুদ্ধিতার মিশ্রণ বাড়ে; অসহায়দের অংশও ফুলে ওঠে—ফলে নির্বুদ্ধ আচরণের সম্মিলিত প্রভাব ঘনীভূত হয়। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় আমরা দু’দিকই দেখেছি—যখন ধারাবাহিক নীতি, বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন, মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতি ছিল, তখন উন্নতি এসেছে; যখন তাড়াহুড়ো, ঘোষণামুখীতা, “চলেই যাবে”—টাইপ মানসিকতা বড় হয়েছে, তখন খরচ বেড়েছে—অর্থেও, আস্থাতেও।
এখন প্রশ্ন—পরিত্রানের রাস্তা কী? প্রথমত, ‘নিজের মনে সংখ্যা কম ধরা’—এই প্রবণতাকে নীতিগতভাবে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। যেকোনো বড় সিদ্ধান্তের আগে ছোট পরিসরে পাইলট, ব্যবহারকারী-পরীক্ষা, প্রিমর্টেম (আগেই “কী কী ভুল হতে পারে” ধরে নেওয়া)—এসবকে বাধ্যতামূলক করা যায়। দ্বিতীয়ত, ‘আমি সামলে নেব’—এই আত্মতুষ্টি ত্যাগ করে দায়িত্বে ব্যক্তিকে নয়, প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করা—চেকলিস্ট, রেড-টিম রিভিউ, পাবলিক ড্যাশবোর্ডে স্বচ্ছ অগ্রগতি—এসবই নির্বুদ্ধ আচরণকে আড়াল হতে দেয় না। তৃতীয়ত, রাজনীতি-শিক্ষা-স্বাস্থ্য-অবকাঠামো-প্রযুক্তি—সবখানেই নমনীয়তা ও শেখার সংস্কৃতি তৈরি করা—ভুল হলে দ্রুত সংশোধন, আর ফল না মিললে সাহস করে থামানো। চতুর্থত, ব্যক্তিগত স্তরে—অফিস, পরিবার, দল—যেখানে-যেখানে “সবার ক্ষতি, কারো লাভ নয়”-এর সঙ্কেত দেখবেন, সেটিকে নাম দিতে হবে—“নির্বুদ্ধিতা”—আর সময়মতো প্রতিরোধ গড়তে হবে।
শেষ কথা—চিপোলার আইন হাস্যরসের মোড়কে লেখা হলেও বার্তাটা নির্মম। নির্বুদ্ধিতাকে হালকা করে দেখলে খরচটা কেবল কিছু ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ নয়; খরচটা জমে জমে আস্থা, উৎপাদনশীলতা, জনকল্যাণ—সবখানে নেতিবাচক ছাপ ফেলে। পরিবারের বাজেট ভাঙে, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সরে যায়, রাষ্ট্রের উন্নয়নের গিয়ার আটকে যায়। তাই নীতি-নির্ধারক থেকে নাগরিক—সবাই যদি মনে রাখি “নির্বোধ আচরণের প্রকৃত মূল্য সবার ক্ষতি, কারো স্থায়ী লাভ নয়”, তবেই ৫৪ বছরের শেখা পাঠ থেকে আমরা পরের ৫৪ বছরকে বুদ্ধিমান সিদ্ধান্তের দিকে ঘোরাতে পারব। চিপোলা এই আয়নাটা সামনে ধরেছিলেন—ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র—তিন স্তরেই যাতে আমরা একটু থেমে প্রশ্ন করি: যা করছি, তাতে কি দু’পক্ষের লাভ বাড়ছে, নাকি সবার ক্ষতি হচ্ছে? উত্তরটি স্পষ্ট হলে পথটাও স্পষ্ট হয়।
সমাপ্ত//
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×