কপি বই বেশিক্ষন পড়া যায় না।প্রথম কিছুক্ষন ভাল লাগে বটে।তবে আসল বইয়ের সাথে কপি বইয়ের পার্থক্য ধরা পড়ে গেলে সেই ভাল লাগা আর দীর্ঘায়িত হয় না।অসংখ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদ কে নকল করে লেখে বলে শুনেছি।ইদানিং এর প্রমান পেলাম।বইটি আগাগোড়া বলপয়েন্ট সিরিজের আদলে লেখা।তবে পার্থক্য আছে।যে ট্রিক্স হুমায়ূন আহমেদ এক-দুবার ব্যাবহার করেছেন সে ট্রিক্স কপি লেখক যত্রতত্র ইচ্ছে মত ব্যাবহার করেছেন।ফলে ট্রিক্স ভোতা হয়ে গিয়েছে।যেসব শব্দ হুমায়ূন আহমেদের ট্রেডমার্ক শব্দে পরিণত হয়েছে সেগুলোর ব্যাবহার লেখার মৌলিকত্ব নষ্টের অন্যতম কারন হয়ে দাড়িয়েছে।লেখা পড়ার সময় মনে হয় এই লেখার ক্রেডিট অন্য কোন লেখকের যার নাম বইয়ে ছাপা হয়নি।
কিছু কৌশল আছে যেগুলো শুধু হুমায়ূন আহমেদের মত লেখক ব্যাবহার করতে পারেন।যেকোন ছোটখাট বিষয় নিয়ে তিনি লিখতে পারেন।পাঠক সেটা আগ্রহের সাথে পড়বে।যেমন তিনি লিখতে পারেন তার প্রিয় খাবার --গরম ভাত দিয়ে আলু ভর্তা,সাথে এক চামুচ ঘি।এই সুযোগ নতুন/কপি লেখকের নেই।
বঙ্কিম চন্দ্র বলেছেন অন্যের লেখা নকল করলে লেখায় মূল লেখার দোষগুলি অনুসৃত হয়, গূণগুলো অনুসৃত হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২