রহস্যময়ী
এই যে শুনুন! পেছন থেকে মেয়েলী কন্ঠের আহ্বান শুনে প্রথমে ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি আমাকে লক্ষ্য করেই আহ্বানটা এসেছে। কিন্তু পর পর কয়েক বার শোনার পর অবশেষে নিশ্চিত হলাম, আমাকেই ডাকা হচ্ছে। কারণ আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম অন্য কারো দিকে নয় বরং আমার দিকে তাকিয়েই মেয়েটি ডাকছে। তার চোখে চোখ পড়তেই বললো
- জীঁ, আপনাকেই ডাকছি। একটু শুনবেন। আপনার সঙ্গে আমার একটু কথা ছিল। আমি তো শুনে অবাক। চেনা নেই, জানা নেই, আমার সঙ্গে আবার কি কথা।
পুরো স্টেশন জুড়ে তখন হাজার হাজার লোকের ভিড়। কিছুটা বিরক্তি ও বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছি দেখে বললো অবাক হচ্ছেন বুঝি।
প্লিজ, কিছু মনে করবেন না। আপনি যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন আমিও সেই একই ট্রেনে জন্যে দাঁড়িয়ে আছি। সেই দিনের বেলায় এসেছি ট্রেন ধরতে, একা। বুঝতেই তো পারছেন। এখন এত রাতে কী যে করি। খুব টেনশন হচ্ছে। আপনি একটু থাকবেন আমার সঙ্গে, একটু কাছাকাছি। না, আমি আপনার কোন বোঝা হব না। জাষ্ট এই রাতটুকু। সকাল হলে আমি নিজেই এনাফ।
আপনি কোথায় যাবেন? বিস্মিত চোখে প্রশ্ন করলাম। স্নিগ্ধ মধুর হেসে বললো, আপনি যেখানে যাবেন।
এ কথা শুনে আমি আরো অবাক হলাম। মনে করার চেষ্টা করে দেখলাম মেয়েটিকে ঠিক চিনি কিনা। কিন্তু না, কিছুতেই ঠিক মনে করতে পারছি না। বিস্ময়ের সঙ্গেই তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কি আমাকে চেনেন?
ততক্ষণে মেয়েটি একবারে আমার পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে। স্টেশনে ভিড় আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। বাইরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছেই। সে বৃষ্টি কখনো থামবে বলে মনে হচ্ছে না। সকাল থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে শহরের রাস্তা ঘাটের অর্ধেকই ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। ঘন্টা সাতেক আগে বহু কষ্ট করে স্টেশনে এসেও দেখছি ট্রেন আসার নাম নেই। ইতোমধ্যে সাত ঘন্টা পার হয়েছে। স্টেশনে খোঁজ নিয়ে কোন তথ্যই উদ্ধার করতে পারলাম না।
সারা স্টেশন জুড়ে বসার কোন জায়গা খালি নেই। সবাই আগে থেকেই এসে দখল করে বসে আছে।
এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা দু’টো একটু বিশ্রাম চাইছে। কিন্তু অনেক ক্ষণ ধরে খুঁজেও তার একটা বিহিত করতে পারলাম না। তার ওপর আবার আপদের মত মেয়েটি যে কোথা থেকে এসে জুটলো।
আমাকে এতসব ভাবতে দেখে মেয়েটি বললো না, আমি আপনাকে চিনি না। আমিও আপনার মত ট্রেনের অপেক্ষায় আছি। ভেবেছিলাম দিনে দিনে ট্রেনে গিয়ে বাড়ি পৌঁছে যাব। কিন্তু এখন তো আর তা কিছুতেই সম্ভব নয়। অথচ এই মধ্য রাতে কোথায় যাব ভাবতেও পারছি না। সেই তখন থেকেই আপনাকে দেখছি। স্টেশন মাষ্টারের ওখানে ট্রেনের খবর নেয়ার সময়ই জানতে পারলাম আপনার গন্তব্যও একই। সেই সুত্রে বলতে পারেন অনেক ক্ষণের দেখা। আপনি ছাড়া সারা প্লাটফর্মে আর একটি মানুষও খুঁজে পেলাম না যার ওপর নির্ভর করা যায়। সবাই কেমন করে যেন আমার দিকে তাকায়। আপনাকে দেখেই বুঝেছি, আপনার ওপর নির্ভর করা যায়।
জানেন, আমার খুব ভয় করছে। এদিক ওদিক থেকে অনেকেই বাঁকা চোখে তাকাচ্ছে। আবার কেউ নানা ধরনের ইশারা ইঙ্গিতও করছে। কী যে একটা বিশ্রি অবস্থার মধ্যে এসে পড়লাম। এদেশে মেয়েরা যে কত অসহায় তা আপনি বুঝবেন না। বিপদে পড়লে কেউ একটু আশ্রয় তো দেবেই না বরং উল্টো মেয়েটিকেই দুষবে কেন সে বিপদে পড়তে গেল। বড় অদ্ভুদ দেশ। বেশ গম্ভীর ভঙ্গীতে গড়গড় করে কথাগুলো বলে তার পর একটু হেসে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে নিয়ে বললো- না, আমার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কিছু করতে হবে না। এই জাস্ট একটু আপনার পাশে পাশে থাকতে দেবেন, এই আর কিছু নয়।
মেয়েটির বয়স তিরিশের বেশী হবে বলে মনে হল না। গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা। চোখে মুখে মিষ্টতার তেমন কোন ছাপ না দেখা গেলেও তাতে এক ধরনের আর্কষণ আছে। শরীরের গঠনও বেশ মজবুত ও আকর্ষণীয়। পরনে গাঢ় নীল রঙের জিন্সের প্যান্ট ও সাদা ফুল সার্ট। ববকাট চুল দেখে হঠাৎ ছেলে বলে ভ্রম হলেও ভারী নিতম্ব ও বুকের গড়ন দেখে সে ভ্রান্তি সহজেই কেটে যায়। দু’কানে হাল ফ্যাসনের দ’ুটো টপ। ঘণ কাজলে জড়ানো চোখ দ’ুটো বড়ই মায়াবি। দ’ুচোখের ঠিক মাঝ বরাবর কপালে বেশ বড়সর একটা লাল টিপও আছে। পোশাক আশাক যাই হোক এ মুখের দিকে তাকালেই সে যে প্রকৃতই বঙ্গ ললনা তা বুঝতে কোন ভুল হয় না। কথাবার্তা চালচলনে এক ধরনের আতœবিশ্বাস ও দৃঢ়তা আছে বোঝা যায়। এ ধরনের মেয়েরা সহজে হারতে জানে না।
প্রথম আলাপের পর মনে কিছুটা শংকা থাকলেও আমার বেশ ভালই লাগলো। ভাবলাম, যাক তবু তো কথা বলার মত অন্তত কেউ একজনকে পাওয়া গেল। এতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে একেবারে যেন হাপিয়ে উঠেছিলাম।
আমরা হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা ভিড় এড়িয়ে প্লাটফর্মের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ালাম। ইতিমধ্যেই দেখলাম অনেকগুলো চোখ আমাদের অনুসরণ করছে। ভাবলাম হয়তো তাদের মনে কৌতুহল জেগেছে যে এতক্ষণ ধরে একা একা দাঁড়িয়ে থাকা এই মেয়েটির সঙ্গে আবার এইমাঝ বয়সী একটা লোক জুটলো কোথা থেকে ।
এতক্ষণ ধরে একা দাঁড়িয়ে থাকায় বেশ বিরক্তি ধরে গিয়েছিল। এবার মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে বলতে বেশ দ্রুতই সময় কেটতে লাগলো।
মেয়েটির নাম মিনারা। মিনারা বেগম নামেই সে পরিচিত। বললো, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়েছে। তার পরই শুরু হয়ে যায় তার জীবন সংগ্রাম। বছর পাঁচেক আগে ভালবেসে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছিল কিন্তু সংসার টেকেনি। ছেলেটি ছিল মিথ্যুক, নেশাখোর, মাতাল আর বদরাগি। এতগুলো গুণপনার পরও সে তাকে মেনে নিয়েছিল। ভেবেছিল আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি। বরং যতই দিন যাচ্ছিল ততই যেন নষ্টামিতে নিত্যনতুন রূপ ধারণ করছিল ছেলেটি। একদিন গভীর রাতে বাসায় ফিরে প্রচন্ড মারপিটের পর জীবন বাাঁচাতে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছি- মেয়েটি বললো।
এখন একটা এনজিওতে কাজ করি। একা থাকি। আনন্দে জীবন কাটাই। বেশ ভাল আছি, বলতে পারেন । কারো কোন খবরদারি নেই। আমার জীবন একান্তই আমার।
আমার চরিত্রটা অবশ্য ফুলের মত পবিত্র সে কথা বলা যাবে না। মাঝে মাঝে অবশ্য মনের মত কাউকে পেলে এনজয় করি। বুঝতেই তো পারছেন মানুষের শরীর তো। তবে সেটা করি খুব গোপনে অন্যদের বুঝতে দেই না। মনের মত মানুষ না পেলে কথাও বলিনা, ঘুমানো তো দূরের কথা। বেশ অকপটে স্বীকার করলো মেয়েটি।
বেশ আত্মবিশ্বাসে সঙ্গে বললো, তবে এখন আমি খুব মানুষ চিনতে পারি। জীবনে ঠকতে ঠকতে শিখেছি তো। এখন আর ভুল হয় না। এই যেমন আপনাকে এই হাজার হাজার লোকের ভেতর থেকে খুঁজে বের করেছি। আপনি আমাকে যেখানে খুশি নিয়ে যাবেন আমি যাব। কারণ আপনার ওপর নির্ভর করা যায়। অথচ চারদিকে তাকিয়ে দেখেন কতজন হ্যাংলার মত লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওরা নারীর মনও বোঝে না মর্যাদাও দিতে জানে ন। শুধু ভোগ করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চায়।
এই দেখুন না আমি আপনার কত কাছ ঘেসে দাঁড়িয়ে আছি তবু আপনার দৃষ্টিতে কোন পরিবর্তন নেই। আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আপনাকে ফলো করেছি। তারপর আপনার কাছে এসেছি। আমার শরীর মন এমন পুরুষের সান্নিধ্য চায়।
আমার কাছ ঘেসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এমন ফিস ফিস করে মিনারা কথাগুলো বলছিল যাতে তৃতীয় করো পক্ষেই তা শোনা সম্ভব না হয়।
নিজের প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে। বিশেষ করে এ ধরনের আকর্ষণীয়া আধুনিকার কাছ থেকে এ সব শুনতে শুনতে আমি যেন মন্ত্রমুগ্ধেও মত স্বপ্নের ঘোরে ডুবে যাচ্ছিলাম।
মেয়েটির জন্য সমবেদনায় মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছিল। তবে হঠাৎ পরিচিত এই মেয়েটি আমার মন ছুঁয়ে গেলেও শরীরিক কোন আকর্ষণই জাগালো না। কারণ কিছুটা অবিশ্বাস আর সন্দেহ বাববারই মনের কোনে উঁকি দিচ্ছিল। তাছাড়া আমি এ ধরনের অপরিচিত অজানা নারীদের ব্যাপারে এমনিতেই একটু বেশী সাবধানী ছিলাম। প্রায় প্রতিদিনই তো খবরের কাগজে কত ধরণের অভিনব প্রতারণার খবর বেড়য়। কাজেই সকল ইদ্রিয় সদাসতর্ক রেখেই মেয়েটির উষ্ণ সান্নিধ্য উপভোগ করছিলাম।
এরও প্রায় ঘন্টা তিনেক পর ট্রেন এসে প্লাটফরমে দাঁড়ালে বুঝলাম, আনন্দের সময় বেশ দ্রুতই কেটে যায়। তখন বৃষ্টি কিছুটা ধরে এলেও আকাশ ঘন মেঘে ঢাকা। দমকা বাতাস বইছে। এত দেরীতে ট্রেন আসায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। তাছাড়া অনেকেই বৃষ্টির জন্য হয়তো যাত্রাই বাতিল করেছে। ফলে আমাদের দ’ুজনের সিট দু’জায়গায় হলেও আমরা ট্রেনে উঠে পাশাপাশি বসতে কোন সমস্যা হলো না। অনেকই সিটই ফাঁকা পড়ে আছে। তার পরও মিনারা আমার কাছ ঘেসে বসলো।
অতিরিক্ত বৃষ্টি ও মাথার ওপরে ফুল স্পিডে ফ্যান ঘোরার ফলে বেশ ঠান্ডাই লাগছিল। আমাদের সামনে সিট ফাঁকা। ফলে আমরা নিজেদের মত করে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বসতেই মিনারা হাই তুলছিল দেখে আমি ওকে সামনের সিটে আরাম করে শুয়ে ঘুমাতে বললাম। আমার একথা তার কানে গেল কিনা বোঝা গেল না। কিছুক্ষণ পর সে আমার কাঁধে মাথা রেখে, শরীরের সমস্ত ভর আমার ওপর দিয়ে চুপচাপ পড়ে রইলো। তার এমন আচরণে আমি তার প্রতি আকর্ষণ হারাতে থাকলেও তাকে সেরকম কিছু বুঝতে না দিয়ে সে যাতে ভালভাবে রেষ্ট করতে পারে সেজন্য আমি তাকে হেলান দেয়ার মত আরো কিছুটা জায়গা দিতে সামনের দিকে একটি সরে যেতে সে অত্যন্ত আদুরে গলায়- আমি তোমার কাছেই থাকেবো, বলতে বলতে প্রথমে আমার গলা এবং পরক্ষণেই কোমর জড়িয়ে ধরে কোলের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। আমিও বেশ ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু চোখে ঘুমের কোন লেশ নেই। ওর হঠাৎ এই ঘনিষ্ঠতা আমার মোটেই ভাল লাগছিল না। তবে মেয়েটির জন্যে আবার মায়াও লাগছিল। দেখতে দেখতে বার কয়েক এপাশ ওপাশ করে সে ঘুমিয়ে গেল। বড় গভীর সেই ঘুম।
ট্রেনের হালকা আলো ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে যতই তাকাচ্ছি ততই যেন মায়ায় জড়িয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভীষণ অবাকও হচ্ছি এই ভেবে যে এত সপ্রতিভ আধুনিকা একটি মেয়ের এই কী জীবন? অজানা অচেনা একটি লোকের কোলে মাথা রেখে ঘুমানো এই মেয়েটি তো যে কোন সময় সমস্যায় পড়তে পারে। হয়তো এভাবেই মেয়েরা প্রতারিতও হয়। আমার মাথায় তখন পরদিনে কাজের একটি চিত্র ভেসে উঠতেই নিজের ব্যাপারে মনোযোগী হলাম কারণ এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। ট্রেন গিয়ে পৌঁছতে পৌঁছতে হয়তো সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যাবে। ফলে প্রচন্ড কাজের চাপ যাবে।
ইতিমধ্যেই ট্রেন বেশ দ্রুত চলতে শুরু করেছে। ট্রেনের দুলুনিতে মিনারা পরম নিশ্চিন্তে গভীর ঘুমে অচেতন দেখে আমি ওর ব্যাগটা নিয়ে আস্তে ওর মাথাটা উঠিয়ে তার ওপর শুইয়ে দিলাম। সে একটু নড়েচড়ে আরো জড়সরো ভঙ্গিতে গুটিশুটি হয়ে পাশ ফিরে শুলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়েটির বড় ক্লান্ত। আবার বেশ শীতও করছে। আহারে বেচারি। আমার ব্যাগে একটা চাদর ছিল সেটা দিয়ে আমি ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত সারা শরীর ঢেকে দিয়ে এবার বেশ ফুরফুরে মেজাজে পাশের ছিটে শুয়ে গড়াগড়ি করতে লাগলাম। সারাদিন শরীরটার ওপর দিয়ে যা গেছে। ক্লান্তি আর ঘুমে দু’চোখের পাতা জড়িয়ে আসছিল। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই।
হঠাৎ হইচই চিৎকার চেচামেচি শুনে ঘুম ভাঙ্গতেই দেখি চারপাশে অসংখ্য পুলিশ। ইতিমধ্যেই ভোরের অপূর্ব উজ্জ্বল আলোতে আমাদের কামরা ভরে গেছে। সব লোকজন ঘুম থেকে জেগে অবাক বিস্ময়ে আমার সামনের সিটের দিকে তাকিয়ে আছে। মিনারার হাতে হাতে হ্যান্ডকাপ।
পুলিশ তাকে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করছে বল, তোর সঙ্গে আর কে কে আছে?
মাথা নিচু করে মিনারা বারবারই বলছে সে একা তার সঙ্গে আর কেউ নেই।
এ অবস্থা দেখে আমি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার বিস্ফোরিত চোখের দিকে একবার তাকিয়ে মিনারা আবার মাথা নিচু করে ফেললো।
পুলিশ দলের একজন ইতিমধ্যে ওর ব্যাগ সার্চ করে সেখান থেকে সাদা সাদা কি সব প্যাকেট বের করছিল। পাশ থেকে কে একজন জিজ্ঞেস করলো ওগুলো কি?
ভীড়ের মধ্যে থেকে একজন পুলিশ অফিসার জবাব দিল হেরোইন।
তারপর পুলিশ ব্যাগসহ মিনারা ওরফে মিনারা বেগমকে টানতে টানেতে বাইরে নিয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২