“ঋণ”
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
একদিন শুধরে নেব সব ঋণ,
যে ঋণে জর্জরিত আজ নিজে,
মিলিয়ে দেব হিসেবের সব খাতা,
যে খাতা লিখতে বসেছি আজ রাতে।
একদিন শুধরে নেব সব ঋণ!
যে ঋণ শুরু কোন গভীর অন্ধকারে,
পাথরের মত বয়ে নেয়া দশ মাসের কস্টে,
সাঝের বেলা দেরী করে বাড়ি ফেরার ঝাড়িতে,
অথবা মায়ের কানে লাগানো বোনের কূটনামিতে।
একদিন ঠিক শুধরে নেব।
একদিন শুধরে নেব বন্ধুর সব ঋণ,
স্কুল পালিয়ে খেলা গেমসের দোকানের সব বিল,
অথবা একাকী না কাটা সময় গুলো পাশে থাকা,
সময় গুলোকে স্বর্নালী করে ভালো রাখা,
একদিন ঠিক শুধরে নেব সব ঋণ।
একদিন শুধরে দেব ভালোবাসা,
ফুরিয়ে যাওয়ার আগে পূর্ন কোন আশা,
বুঝে নেব প্রেমিকার ঠোটের আলিঙ্গনের ভাষা,
আর সপ্নের নদীতে তীরের খুজে পাওয়া।
একদিন ঠিক শুধরে নেব।
একদিন উল্লাস চোখে বলবো এই আমি,
আজ আমি তোমাদের মত পেরেছি,
অজস্র সব ভালো লাগার অনুভূতি,
আজ আমিও অনুভব করছি,
যেই অপ্রাপ্তির ভালোবাসায়,
নিজস্বত্বায় প্রতিবার ঋণগ্রস্থ হয়েছি।
একদিন ঠিক শুধরে দিতে চাই-
তোমাদের সব ঋণ,
তোমাদের মত ভালোবাসতে চাই
হয়তো আসবে কোন একদিন।
বিশ্বাস রাখি নিজেতে,
একদিন শুধরে দেব
তোমাদের ভালোবাসার সব ঋণ!
[অন্যান্য কবিতা পড়তে এখানে ক্লিক করতে পারেন] ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন