রুমটা সাজানো হয়েছে,বিছানায় টকটকে তাজা গোলাপের পাপড়িতে গাড়ো একটা লাল রঙের আস্তরণ জমে আছে। তার মাঝখানে বসে আছে নাকে নোলক,হাতে মেহেদি রঙ,ও গায়ে লাল শাড়ি মোড়ানো একটা সতেরো বছরের কৈশোরী।
বিয়ের পর সব মেয়ে যুবতী হয়ে যায়,বিয়ের সাজটা ভালো হলে বা বউয়ের সাজে ভালো মানালেই সে যুবতী। সে বিয়ের জন্য প্রস্তুত।
একদিন সে হাতে মেহেদি লাগিয়ে,গায়ে তার মায়ের একটা লাল শাড়ি পরে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো,আচ্ছা আমাকে কি বউয়ের মত দেখাচ্ছে? আমি জবাব দিতে পারিনি।
লাল শাড়িতে যে কোন মেয়েকে সুন্দর দেখায়,মনে হয় মেয়েটাকে সদ্য বিয়ের জন্য সাজানো হয়েছে আর একটুপর সে সংসার করা শিখে যাবে।
মেয়েরা খুব পারদর্শী হয়,এরা টুপ করে যে কোন কিছু হজম করে নিতে পারে। যে মেয়েটা বাবার ঘাড়ের উপর আয়েশ করে খেয়েছে,কোনদিন রান্নাঘরে যায়নি,কোনদিন নিজের কাপড় ও ধোয়নি সেও বিয়ের পর দিন থেকে এইসব করা শুরু করে দেয়। জগতের সকল নিয়মের মাঝে এটাও একটা নিয়ম।
একজন আমাকে জানিয়েছে তার প্রেমিকা একদিন তাকে বলেছিলো,আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা,কখনোই না। যেখানে তুমি নেই সেখানে আমি থাকি কি করে? অথচ তার বিয়ের এক রাত পার না হতেই সে আমাকে ভুলে গেছে।
হতে পারে এটাও জগতের একটা কড়া নিয়ম,যে কোন কড়া নিয়মের বাইরে যাওয়া উচিৎ না। যে মানুষটা এতগুলো মিথ্যে বুলি ছুড়ে এক রাতে বদলে যেতে পারে সে কখনো মানুষ হতে পারেনা।
তার হয়ত জানা ছিলনা যে, গাড়ো রঙের গোলাপে আস্তরণ হয়ে থাকা একটা বিছানা মেয়েটার শ্রেষ্ট সুখ হতে পারে। একটা শ্রেষ্ট রাত কিংবা একটা স্বর্গীয় রাত।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৩