খলিল হল কাচাবাজারের গড ফাদার। যে সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারি আমলা কর্মকর্তারাও আতংকিত,ভীত সেই বাজারকে দুমড়েমুচড়ে নিজের করে নিয়েছেন এই খলিল মাংশ বিতানের ডন।
এর মধ্যে অনেকেই সমালোচনা ও শুরু করেছেন,চর্বি সহ নানান ধরনের ইস্যু নিয়ে। তো ভাই,আপনাদের কোন জায়গায় কোন শহরে কোন সুপার শপে গোস্তের মধ্যে চর্বি হাড় দেয়না আমাকে বলতে পারবেন? আপনি আপনার নিকটস্থ কসাইখানায় গেলেও একই অবস্থা,সুপার শপ গুলো তে ও একই অবস্থা।
হ্যা আপনি যদি শুধু গোশত কিনতে চান সেটা ভিন্ন ইস্যু,তবে তার জন্য আপনাকে তো সেই মূল্য দিতে হবে তাইনা? একটা গরু তো হাড ছাড়া হয়না,চর্বি ছাড়া হয়না? খুব সম্ভবত জোকের হাড় নেই,তাছাড়া ব্যাঙের ও হাড় আছে।
এখন সুপার শপের মালিকরা এই নিয়ে আন্দোলনে নেমে একেবারে খলিলের বিরুদ্ধে নেমে গিয়েছেন,এই দেশের মানুষ হাজার বারোশ টাকায় গোশত খেয়েছে,খাইয়েছেন আপনারা। আমাদের এম্পি মন্ত্রীরা এক কান দিয়ে ঢুকিয়েছেন অন্য কান দিয়ে বের করেছেন,কেউ তো সরাসরি বলে ফেলেছেন যে,এই সিন্ডিকেট ভাঙা যাবেনা,কতটা বেহায়া ও নির্লজ্জ হলে মানুষকে এভাবে খাদ্য থেকে দূরে রাখতে পারে,যেখানে এটা মানুষের মৌলিক চাহিদা।
সেই সমস্ত সিন্ডিকেটকে মধ্যাঙ্গুলি দেখিয়ে খলিল যেন মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন,গোশতের দাম কমিয়ে জনগনের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছেন।
বিপত্তি শুধু সিন্ডিকেটে না,এই দেশে এক শ্রেণীর মানুষ চায় গরুর গোশত উঠে যাক,মানুষ গরুর গোশত খাওয়াকে অপরাধ হিসেবে দেখুক,এই সব ব্যাপারগুলো কেও তুড়ি মেরে মানুষের মধ্যে সহজলভ্য করে দিয়েছেন এই খলিল। বস্তুত,খলিল হলে গড ফাদার,একজন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় গডফাদার,যিনি ব্যাবসায়ের পাশাপাশি জনগনের কথা চিন্তা করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩৫