উপলক্ষ যা ই হোক,
সেদিন তোমার মুখোমুখি হতেই হলো।
মনে মনে চেয়েছিলাম একটি গোলাপ দেব, না,
যেকোনো রকমের একটি ফুল তোমায় দেব।
প্রথম দিনই গোলাপ দেব?
বিষয়টা সাধারণ হয়ে যাবে।
উপলক্ষ একটা অবশ্য ছিল।
সে যাকগে, পরে বলব।
সেদিন তোমার মুখোমুখি হতেই হলো।
মনে মনে চেয়েছিলাম তোমায় একটা গান শোনাব।
কিন্তু কি বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা দেখ।
সেদিনই কিনা গলা দিয়ে ঢোক গিলতে পারি না।
তা যেকোনো একটা কারণেই তোমার মুখোমুখি হয়েছিলাম।
একটা কথা অবশ্য বলতে চেয়েছি।
যার জন্য শত সহস্র নিরব রজনী ভাবনায় কেটেছে।
যার জন্য অথৈ সমুদ্রে বারবার ফুঁসে উঠেছে
জলোচ্ছ্বাসের তোড়।
যার জন্য বর্ষার সকালে কদম গাছগুলি
ফুলে ফুলে সেজেছিল এতোকাল যাবত।
কিন্তু কথাটা বলতে গিয়ে কেমন সব কিছু
এলোমেলো হয়ে গেলো।
সেদিন মনে মনে চেয়েছিলাম ,
তোমার জন্য তিন চাকার পুষ্পিত রথ নিয়ে যাব।
সেই রথে চড়ে তোমায় নিয়ে
আমার স্বপ্নলোকের আসীম সীমানার রাজ্য
ঘুরে বেড়াব ,তা যতদিন লাগুক।
আমিতো কবে থেকেই একটা জাহাজ কিনে রেখেছি।
তোমার জন্য।
সে এক বিশাল জাহাজ।
সেই জাহাজের ডেকে মাটি ছড়িয়েছি।
তারপর সেখানে গড়েছি এক ঘাসের ভুবন।
সেই ঘাসের ওপর বসে থাকব আমরা
আর পাড়ি দেব তোমার অধর নিঙরানো ভালোবাসার মহাসাগর।
উপলক্ষ আর কিছুই নয়।
তোমার সাথে দেখা হওয়াটাই একটা বিরাট উপলক্ষ।
কিন্তু একটা কথা, জানোতো?
সেদিন তোমার সাথে দেখা না হওয়াটাই বোধহয় ভালো ছিল।
আকাশে কৃষ্ণবর্ণ মেঘ জমতো না।
আমার স্বপ্নলোকে কালবৈশাখী ঝড় বইতো না।
অতল সমুদ্রে আমার ঘাসে সজ্জিত জাহাজও হারিয়ে যেত না।
ভালো থেকো হাসনাহেনা।
আরেক বৈশাখে তোমার গৃহের সামনে দাঁড়াব।
প্রতিশ্রুতির প্ল্যাকার্ড থাকবে না।
স্বপ্ন দেখার প্রলোভন থাকবে না।
কিছু পাওয়ার মিনতিও থাকবে না।
শুধু তোমার চঞ্চল মুর্তিখানি দেখব,
দূর থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৪