বাংলাদেশে জামাত প্রতিরোধ এখনও সম্ভব। এটা সম্ভব করতে হলে যে উপাদানগুলো চাই এখন তার প্রায় সবগুলোই আছে একটা ছাড়া, নেতৃত্ব। এ প্রতিরোধ এখনই না হলে যুগের ঝড়ো হাওয়ায় অন্যান্য উপাদানগুলোও কিছুদিন পরে উধাও হয়ে যেতে পারে।
সবাই ভালো করেই বোঝেন যে সাধারণ অপরাধের বাইরে রাজনীতি ও ধর্মের নামে দেশে আজ যে উন্মত্ত হত্যালীলা চলছে তা শুধু শুরু, আরো অনেক ভয়ানক দিন আসছে সামনে। অনেকেরই সন্দেহ যে দেশ দ্রুত এক মারাত্মক গৃহযুদ্ধের দিকে ছুটছে। জামাত সে আতংকের একটা গুরুত্বপুর্ণ উপাদান। যে যা-ই বলুক, এই বড় ভাইয়ের দোয়া ছাড়া দেশে অনেক সন্ত্রাসই ঘটছে না। সে ভালো করেই বুঝে গেছে যে সে আমাদের কুপিয়ে খুন করবে আর আমরা প্রবল বেগে শুধু নিবন্ধ লিখব আর প্রতিবাদ সভা করব। তারপরে সে আবার আমাদের ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আর আমরা আরও প্রবল বেগে শুধু নিবন্ধ লিখব আর প্রতিবাদ সভা করব। কোটি কোটি বাংলাদেশী মরিয়া হয়ে প্রতিবাদের প্রতিরোধের উপায় খুঁজছেন কিন্তু নেতৃত্বের শুন্যতায় কার্য্যকর কিছু গড়ে ওঠা সম্ভব নয়, উঠছেও না। বক্তৃতা-বিবৃতি-নিবন্ধ দিয়ে জাতির এই সর্বনাশ ঠেকানো যাবে না, এ সাংস্কৃতিক যুদ্ধে বাস্তব পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা অপরিহার্য। কাজগুলো বলা সহজ করা কঠিন কিন্তু এর চেয়েও অনেক কঠিন কাজ বাঙ্গালী আগেও করেছে। জামাত-প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ হল তার সম্পদ ও কৌশলগুলো খতিয়ে দেখা, তার অসততা ও দুর্বলতাগুলোকে চিহ্নিত করা, দেশের প্রত্যেকটি জামাত-বিরোধী শক্তি-সংগঠনকে এক জায়গায় এনে দাঁড় করানো ও ইসলামের প্রকৃত দলিলগুলো প্রচার যাতে দেশবাসী বুঝতে পারেন যে রাজনীতি ঢুকিয়ে ইসলামকে কিভাবে নষ্ট করা হয়েছে। অথচ ‘‘আপনি উপদেশ দিন। আপনি তো কেবল একজন উপদেশ-দাতা, আপনি তাহাদের শাসক নহেন”- (আল্ গাসিয়াহ ২১- ২২) এই দুটো আয়াতের আঘাতেই জামাতের তাসের প্রাসাদ ছিন্নভিন্ন করে ধুলোয় গুঁড়িয়ে দেয়া যায়, এবং এরকম আরও শত শত দলিল আমাদের অপেক্ষায় আছে সত্যিকার ইসলামের দলিলে।
একাত্তরের জামাতি-হিংস্রতার অভিজ্ঞতার ফলে বাংলাদেশে আমাদের নেতারা প্রথম গঠনতন্ত্রে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করলেও সেখানে দু’টো মস্ত ফাঁক রয়ে গিয়েছিল। প্রথমটা হল, আমরা সামরিক যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ভুলে গিয়েছিলাম যে সামগ্রিক যুদ্ধটা ছিল সাংস্কৃতিক। বিজয়ের পরে আমাদেরও সেই সাংস্কৃতিক সেক্টরটাই রয়ে গেল অরক্ষিত। জাতি তখন চোখের সামনেই দেখেছিল কিভাবে রাজনৈতিক ইসলাম স্বদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, অগণিত মানুষকে খুন-ধর্ষণের উল্লাস করেছে, কিভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক ইসলামি দেশগুলো গণহত্যাকারী-ধর্ষণকারীদের সাহায্য করেছে। বিজয়ের পর রেডিও-টিভি-সংবাদপত্রে দেশ-বিদেশের ইসলামি পন্ডিত এনে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা হয়নি রাজনৈতিক ইসলামের দর্শনে এ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। জাতিকে এ শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়নি যে অরাজনৈতিক ইসলামই প্রকৃত ইসলাম, রাজনৈতিক ইসলাম হল ইসলাম-বিরোধী খলিফাদের ষড়যন্ত্র ও মানবজাতির অভিশাপ। দ্বিতিয় ফাঁকটা হল, গঠনতন্ত্রে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ হলেও দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান মসজিদকে আমরা পরাজিত ও প্রতিশোধকামী জামাতিদের হাতেই বিপজ্জনকভাবে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সেখানে ওরা কি করছে না করছে তার খবর নেয়নি কেউ। লেজুড় হিসেবে বেসরকারী পয়সায় সৃষ্টি হয়েছে শত শত মাদ্রাসা, তার লক্ষ্য ছিল সরকারের কাছে জবাবদিহিতা না থাকা ও রাস্তায় নামানোর মত লক্ষ লক্ষ জিহাদি-সমর্থক তৈরী করা। বহু বছর আগে থেকেই সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুপ্রবেশ করছে। মাদ্রাসার ছেলেগুলোকে ট্রেনিং দিয়ে দলে দলে সামরিক বাহিনীর জওয়ান হিসেবে ঢোকানো হয়েছে, দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে পড়িয়ে শিখিয়ে বি-সি-এস পরীক্ষায় পাশ করিয়ে সরকারী অফিসে ঢোকানো হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার যে সহজাত পরিকল্পনা ছিল রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের, তার সদ্ব্যবহার করেছে সে তাঁকে দিয়ে গঠনন্তন্ত্রে ধর্মীয় রাজনীতি অনুমোদন করিয়ে। চৌত্রিশ বছর আগে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল সারা মানবজাতির ঘৃনা নিয়ে, এখন বড় দুই দলের মাঝখানে ভারসাম্যের খেলায় শুধু রাজনৈতিক গ্রহনযোগ্যতা-ই নয় বরং রাজনীতির দিক-নির্দেশনাও আজ তার হাতের মুঠোয়। মন্ত্রীত্ব পাবার পরে অসংখ্য সমর্থককে দেশের প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নিয়োগ দিয়েছে সে। অর্থাৎ সবগুলো কৌশলেই জামাত চুড়ান্ত সফল হয়েছে এবং প্রতিপক্ষকে দৈহিক আঘাত হানার মত অবস্থানে চলে এসেছে। এ কথা ভুললে চলবে না যে নবীজীর অপব্যাখ্যা করে মিথ্যা বলা ও প্রতিপক্ষকে হত্যা করার দলিল জামাতের দর্শনেই রয়ে গেছে।
জামাতের কিছু কৌশল আছে। একটা কৌশল হল স্থানীয় উপাদানগুলোকে তার প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানো। এ কৌশলের বেশ একটা মিল আছে ব্যাকটেরিয়ার সাথে। আমাদের শরীরের কোষগুলোর ভেতরে প্রোটিন তৈরী করার কোটি কোটি ছোট্ট মেশিন সবসময় চলছে, তৈরি হচ্ছে আমাদের প্রোটিন। ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরের কোষের মধ্যে ঢুকে ওই মেশিনটার প্রোটিন তৈরীর পদ্ধতিকে প্রভাবিত করে ইকটুখানি বদলে দেয়। তাতে মেশিন চলে ঠিকই, কিন্তু আমাদের প্রোটিন না হয়ে তৈরী হয় ওই ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব প্রোটিন, সংখ্যায় সে বেড়ে ওঠে হু হু করে। জামাতও স্থানীয় সামাজিক রাজনৈতিক উপাদানগুলো তার প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে সুদক্ষ। অ্যান্টিবায়োটিকের সামনে পড়লে ব্যাকটেরিয়ার চরিত্র বদলের (মিউটেশনের) সাথেও জামাতের হুবহু মিল আছে, অবস্থা বুঝে অবস্থান বদলাতে সে ওস্তাদ। মধ্য-প্রাচ্যে সে নিশ্চুপ, কারণ সেখানে শেখদের কাছে ইসলামী গণতন্ত্র আর ইসলামি রাষ্ট্রের কথা বললে পশ্চাদ্দেশে বেত্রাঘাতের সম্ভাবনা আছে। তার কৌশল বাংলাদেশে একরকম, অ্যামেরিকায় অন্যরকম, ইউরোপে আবার অন্যরকম। মুসলিমের মনে আল্লা-রসুল-কোরাণ নামগুলোর সম্মোহনী প্রভাবকে জামাত সুচতুর ভাবে ব্যবহার করতে সুদক্ষ। যেসব দলিলের ভিত্তিতে প্রমাণ হয় যে নবীজীর দেয়া ইসলাম আসলেই অরাজনৈতিক, সেই ইসলামি দলিলগুলোর প্রচার হিংস্র হাতে দমন করতে জামাত সুদক্ষ ও কিছু তত্ব-তথ্যকে বিকৃত করে জোর গলায় প্রচার করতে সুদক্ষ।
বাংলাদেশে (ও অন্যনায় মুসলিম-প্রধান দেশে) সে কোনকালে জাতিকে কিছুই দেয়নি কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়েছে দক্ষ হাতে, ভাবখানা যেন দেশে জামাতি সরকার না থাকাই হল জনগণের দুর্ভোগের একমাত্র কারণ। ইতিহাসে কোন রাজা-জমিদারের মুসলমান নাম দেখলেই সে প্রায়ই সেটা “ইসলামি রাষ্ট্র” হিসেবে প্রচার করে। তাছাড়া নিজের প্রতিষ্ঠার জন্য তার ‘‘ইসলামের শত্রু” দরকার হয়, তাই প্রায়ই সে কোন একটা বাহানা তৈরি করে তা নিয়ে প্রচন্ড হৈ হৈ করে সন্ত্রাসের নামে সমাজে ‘‘ইসলামী”জোশ জিইয়ে রাখে। বিদ্বেষ তার একমাত্র প্রাণশক্তি, বাংলাদেশে তার ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে ভারত, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার-সমাজ-সংস্কৃতি, হুমায়ুন আজাদ-মুনতাসির মামুন-আকাশ-শামসুর রাহমান-কামাল হোসেন ও আহমদীদের প্রতি বিদ্বেষের ওপর। ইহজীবনের আর্থ-সামাজিক পরাজিত মানুষকে সে পরকালের সাফল্যের স্বপ্ন দেখিয়ে মোহাচ্ছন্ন করে রাখে। এ ছাড়া কাশ্মীর-চেচনিয়া ও প্যালেষ্টাইনের মুসলমানের কষ্ট ও সংগ্রামে নিজের সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে সে ইসলামের অঘোষিত মালিক হয়ে চুপি চুপি তার আসল উদ্দেশ্য ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যায়। তার হিংস্রতায় রক্তাক্ত হয়ে আছে ইসলামের ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। সেই হত্যাযজ্ঞই বাংলাদেশে দেখছি আমরা এখন, আরও দেখতে হবে। তার আরেকটা কৌশল হচ্ছে, যে দেশে সে দুর্বল সেখানে সে তার বিরুদ্ধ-শক্তির মুখোমুখি হয়না, আল্গোছে পাশ কাটিয়ে যায় এবং প্রবল পক্ষের সাথে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে সংলাপে যায় কিন্তু আসল বিষয় ছেড়ে অন্যান্য বহু বিষয় নিয়ে কথা তুলে পানি ঘোলা করে দেয়। আর যে দেশে সে শক্তিশালী সেখানে সে কখনোই কারো সাথে সংলাপে যায় না, সেখানে তার ইসলাম হচ্ছে ভিন্নমতের দমন - ‘‘মারি অরি পারি যে কৌশলে”। মুখে আল্লা-রসুল-কোরাণের নাম থাকলেও তার দলিলের প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মানুষের মতামতের ভিত্তিতে। জামাতকে আমাদের সাথে উন্মুক্ত সংলাপে বসাতে বাধ্য করলেই ওপরের প্রতিটি কথা আমরা দেশবাসীকে দলিলসহ জানাতে পারি।
জামাতকে পরাস্ত করতে হলে তাত্বিক দিক ছাড়াও সাংগঠনিক শক্তি অপরিহার্য্য। ইসলামের মৌলিক দলিলের ভিত্তিতে জামাতি-দর্শনকে ভেঙ্গে চৌচির করা সম্ভব। জামাত যে মুসলমানের জন্য কত আত্মঘাতি আর বিশ্ব-মানবের জন্য কতবড় অভিশাপ তা দেখিয়ে গেছেন বহু বহু ইসলামি দার্শনিকরা। বাজারে এ বিষয়ে মোহাম্মদ সা’দ উল্লাহ’র কিছু চমৎকার গবেষণা-বই আছে, আছে জামিলুল বাশার-এর ‘‘সংস্কার” ও মওলানা আবদুল আউয়াল-এর ‘‘জামাতের আসল চেহারা” এর মত বই। সেগুলোর সার্বিক প্রচার করা দরকার, আরও গবেষণা আর লেখা দরকার। এ প্রচারের বিকল্প নেই। এর শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে আমাদের লিটল ম্যাগাজিনগুলোও। উৎসাহী সংগঠন এ গুলো প্রচার করতে পারেন, বের করতে পারেন অডিও আর ভিডিও ক্যাসেট, মঞ্চায়িত করতে পারেন জামাত-বিরোধী দলিলবদ্ধ নাটিকা বা অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপাদান। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ও সুশীল নাগরিক সমাজ এ ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেন। এরকম আরও সংগঠন এখনই না গড়লে পরে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। হ্যাঁ, জামাতের হিংস্রতা একটা ব্যাপার তো বটেই, কিন্তু সেটা এড়ানো এখন আর সম্ভব নয়। কিন্তু যত দেরী হবে তত বেশী হিংস্রতার মুখে নিঃসন্দেহে দাঁড়াতে হবে জাতিকে, তত বেশী রক্ত ঝরবে। এ নিয়তি থেকে আমাদের পরিত্রাণ নেই, বরং ইতিহাসের শিক্ষা এই যে যখনই জনগণ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তখনই জামাত পালিয়েছে। এখন ওরা বেছে বেছে সমাজের চিন্তাবিদদের আঘাত হানবে, তাঁরা স্বভাবতঃ শান্তিপ্রিয় বলে সংঘবদ্ধ না হওয়া পর্য্যন্ত সে আঘাত ঠেকাতে পারবেন না।
জামাতকে সাংগঠনিক দিক দিয়ে ঠেকানো কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। জনবল, অর্থবল, পরা-জামাতি সংগঠন (হাসপাতাল, মাদ্রাসা, দাতব্য ইত্যাদি), আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং কিছু সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক সমর্থকের জোরে জামাত প্রচন্ড সাংগঠনিক ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু জামাতের বিপক্ষে দেশে অন্ততঃ একটা মৌলিক সংগঠন আছে যার উপায় নেই সমঝোতার, উপায় নেই জামাতের কাছে মাথা নোয়ানোর। সেটা এখনও সংগঠিত নয়, সে হল আমাদের লোকজ ইসলাম, আমাদের সুফিদের প্রতিষ্ঠিত অরাজনৈতিক ইসলাম। জামাত তাকে অনৈসলামিক মনে করে, সুযোগ পেলেই জামাত তাকে বিষের ছোবল দেবে। তাই নিজের অস্তিত্বের জন্যই সে ধীরে ধীরে জামাত-বিরোধী আন্দোলনের জন্ম দিতে শুরু করেছে।
নবীজী হয়ত কল্পনাও করেন নি হাজার বছর পরে তাঁর বাণীকে কিছু লোক পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বিকৃত করে নিরপরাধের রক্তবন্যায় স্নাত করে শুধু মুসলমানের নয়, পুরো মানবজাতির মারাত্মক ত্রাসে পরিণত করবে এবং বিশ্ব-বাসীর অসম্মান ও সন্দেহের পাত্রে পরিণত করবে। সেই যে পঁয়ষট্টি বছর আগে মৌদুদি ঘোষনা করেছিলেন, ‘‘ধরাপৃষ্ঠ হইতে প্রতিটি অনৈসলামিক সরকারকে উচ্ছেদ করিয়া সেস্থলে ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠাই ইসলাম”- (জিহাদ ইন ইসলাম পৃঃ-২৪) এই হিংস্রতা আজ ইসলামের নামে মরোক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া হয়ে ইউরোপ, ক্যানাডা, অ্যামেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়াতে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত। আমাদের স্বাধীনতার সামরিক-বিজয় শেষ হয়েছে, এখন সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা যুদ্ধ দ্রুত ঘনায়মান। দেশকে জামাত নামের অনৈসলামিক অভিশাপ থেকে না বাঁচিয়ে আমাদের উপায় নেই।
কারণ, দুই ‘‘যাদুকর রুমাল নাড়ে, পরাণের গহীন ভিতর”। তার এক হল দেশপ্রেম, অন্যটা হল ইসলাম।
ধন্যবাদ।