টি-২০ এর জন্মটাই টাকার খেলায়। সস্তা বিনোদনের জন্য এই ফরম্যাট বেশ জনপ্রিয় এখন। সেই সুবাদে আই পি এল এর আদলে আমাদের দেশে শুরু হয়ে গেল বি পি এল। আই পি এল আবার এসেছিল ই পি এল এর আদলে।
৬টা বিভাগীয় দল নিয়ে বি পি এল শুরু। একে অপরের বিপক্ষে খেলবে ২ বার করে। অন্যান্য জায়গায় যেটা করা হতো হোম এন্ড এওয়ে ভিত্তিতে। কিন্তু বিপিএল এর সব খেলাই ঢাকায়। তাই, অন্যান্য জায়গায় এর ছোঁয়াটা লাগছে বেশ কম। অথচ আমাদের দেশের জন্য বিপিএল হওয়া উচিত ছিল আশীর্বাদ স্বরূপ। দেশের বেশ কয়েকটা জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম থাকা সত্ত্বেও শুধু ঢাকায় সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত করার কারণটা ঠিক বুঝে উঠলাম না।
দ্বিতীয় দিন থেকে টিকেট এর দাম কমানোর পর এখন জনসমাগম মোটামুটি ভালোই মনে হচ্ছে। আমাদের মত ক্রিকেট-পাগল দেশের জন্য যেটা খুবই স্বাভাবিক। যদি বিভাগীয় শহর গুলোতে হোম ম্যাচ করা হতো মানুষ কম হতো বলে মনে হয় না।
এখন আসি খেলার মান নিয়ে। যারা নিয়মিত খেলা দেখছেন তাদের সবার চোখে নিশ্চয় পড়ছে পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর খেলোয়াড়দের আধিক্য। বাকি দেশ গুলো হতে খেলোয়াড়দের সংখ্যা খুবই কম। এরপরও প্রতি টিমে সর্বোচ্চ ৫ জন বিদেশী রাখতে দেওয়ার নিয়মটার অর্থ বুঝলাম না। অথচ অন্যান্য জায়গায় যেটা ৪জন। প্রায় প্রতি টিমেই এই বিদেশী খেলোয়াড়রাই ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন। চল্লিশ এর ঘরে বয়সী আজহার মাহমুদ, জয়াসুরিয়া, ব্র্যাড হজ দের দেখলে খুব একটা ভালো লাগার কথা না।
তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে লাভটা কোথায়? ক্রিকেট কে জনপ্রিয় করা নিশ্চয়ই কোনো কারণ হতে পারেনা। টাকা টা অবশ্যই একটা বড় ব্যাপার। নাসির হোসেন এর মত প্লেয়ার ২ লাখ ডলারে বিক্রি হচ্ছেন দেখে ভালোই লেগেছে।
তবে, দেশের ক্রিকেটের জন্য এই ধরনের টুর্নামেন্ট সবসমই গুরুত্বপূর্ণ এই দিক থেকে যে, অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং কোচের সান্নিধ্য পাচ্ছেন দেশের ক্রিকেটাররা।
কিন্তু যেটা সবচেয়ে বেশী জরূরী ছিল, ভালো কিছু খেলোয়াড় তুলে আনা সেটা তো হচ্ছে না। এই ধরনের টুর্নামেন্ট শেষে যদি প্রাপ্তির খাতাটা শুন্যই থেকে যায় তবে বেশ কষ্ট লাগবে।
এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বি পি এল এর কয়টা টিম অংশ নেবে বা আদৌ নেবে কিনা তাও এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি।
আশা করছি, এই সিজনেই অথবা পরের সিজন থেকেও দেশের কথা চিন্তা করে বাইলজ তৈরী করা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




