ভাললাগা সবকিছুকেই কাছে টানতে নেই।কাছে টেনে আনলে মায়া জন্মে যায়।মায়া জিনিসটা নেশার মতো।একবার জন্মে গেলে সময়ে অসময়ে সেই ভাললাগার বস্তু মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।খুব শক্ত মনের মানুষ ছাড়া এই ঘোর থেকে নিজেকে বেরিয়ে আনা সাধারণ মানুষের পক্ষে বেশ কষ্টকর।
ভাললাগা অনেক রকমের হতে পারে।কারো চোখের জল ভাল লাগে,কারো একা থাকতে ভাল লাগে,কারো ভাল লাগে ঘুরে বেড়াতে,কারো ভাল লাগে ঘরকুনো হয়ে থাকতে,কিছু কিছু মানুষের আলো ভাল লাগে,কারো আবার ভাল লাগে নিকষ কালো অন্ধকার।তবে অধিকাংশ যুবক যে ভাললাগায় সবচেয়ে বেশী মেতে থাকে তা হলো কোন নারীর সংস্পর্শ।কোন এক মনীষী বলেছেন,"নারী রহস্যময়ী"।ভুল বলেন নি।নারীর প্রতিটি কর্মকান্ডের পিছনে রহস্য লুকিয়ে থাকে।সেই রহস্য উদঘাটনেই আমরা পুরুষ সমাজ লেলিয়ে উঠি।ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ি।এই রহস্যের পিছনে দিন-রাত লেগে থেকে এক সময় আমরা নারীর প্রেমে হোঁচট খাই।সেই হোঁচট খাওয়া কারো জীবনে মঙ্গল বয়ে আনে তো কারো জীবন করে তুলে দুর্বিষহ!!
আমার জীবনটাও আট-দশজন স্বপ্নবাদী যুবকের মতো রঙিন থাকতো যদি না সে আমার মনে কখনো দোলা দিয়ে যেতো।সবকিছু শেষ হয়ে যাবার পর এখন ভাবি তাকে কাছে ঘেঁষতে না দিলেই বোধহয় বেশ ভাল হতো!!আমরা এসব সবকিছু ঠিকঠাক চলার সময় কেন চিন্তা করতে পারি না???চোর পালালেই কেন আমাদের বুদ্ধি বাড়তে হবে???সে চলে যাবার পর এই বিষয়ে যখনই সময় পেয়েছি ভেবেছি।উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি।কিন্তু কোন উত্তরকেই আদর্শের মানদন্ডে দাঁড় করাতে পারলাম না।সে চলে গিয়েও যেন আরো কাছে চলে এল;আমার স্মৃতিতে,স্বপ্নে,চিন্তা-চেতনার ফাঁক গলে একেবারে গেঁথে গেল মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনে....