somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন নিমচন্দ্র ও আমাদের দেশ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাতে ছোট করেই এসেছে,
ক্ষমা পাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিক
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিমচন্দ্র ভৌমিকের 'অকূটনীতিকসুলভ' আচরণ ও বিভিন্ন অভিযোগ থেকে 'সম্মানের সঙ্গে' ক্ষমা পেয়ে যাচ্ছেন। নিমচন্দ্র ভৌমিকের বিরুদ্ধে সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটি গত ১৪ নভেম্বর পররাষ্ট্র সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর বাংলানিউজের।

বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও 'গুরুতর' কিছু পাওয়া যায়নি এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে 'ওভারলুক' (দেখেও না দেখার ভান) করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের একজন প্রসিদ্ধ নেতা হিসেবে তাকে 'বেনিফিট অব দ্য ডাউট' দেওয়া হচ্ছে। নিমচন্দ্রকে ক্ষমা করে দেওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে বলা হয়েছে, 'সত্তরের দশক থেকে তিনি পূজা পরিষদ নামে একটি সংগঠনকে জাতীয় সংগঠনে পরিণত করেছেন। বাঙালি ও বাংলাদেশের প্রতি তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে রাষ্ট্রদূত করা হয়। এখন উদ্ভূত কারণে তাকে আর অসম্মান করা যাবে না।'
এই লোকটা এমন একজন লোক, যার কুকর্মর কথা আমার জখনি মনে হয়, তখনি এই দেশটার নেতা নেত্রীদের প্রতি অসম্ভব ঘেন্না হয়। তোদের কি সামান্যতম আত্বসম্মানবওধ থাকতে নেই?

নিম চন্দ্র ভৌমিকের নানা কুকর্ম

ভিসার জন্য ঘুষ, শিক্ষাবৃত্তি কেলেঙ্কারি:
উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় আসা নেপালি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের অভিযোগও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এতে তাঁকে সহায়তা করেন কাউন্সিলর এমদাদুল হক। দূতাবাস থেকে নেপালি শিক্ষা পরামর্শক সংস্থার মাধ্যমে ভিসা পেতে যোগাযোগের জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় সহজেই ভিসা পান শিক্ষার্থীরা, কিন্তু বিনিময়ে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা
বিদেশি নারীদের সঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ: তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঠমান্ডুতে যাওয়ার পর থেকেই তিনি পিছু লাগেন ভারতীয় এক নারী কূটনীতিকের। তিনি সেখানকার দূতাবাসের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। যখন-তখন ফোন করে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা পোষণ, তাঁকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া, বলা-কওয়া ছাড়াই তাঁর বাসভবনে গিয়ে হাজির হওয়ার অভিযোগ রয়েছে নিম চন্দ্রের বিরুদ্ধে।
অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার সঙ্গেও অসংগত আচরণ করেন নিম চন্দ্র ভৌমিক।
ভূলুণ্ঠিত দেশের পতাকা: ২০১০ সালের ১৭ মার্চ হোটেল ইয়াক অ্যান্ড ইয়াতিতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তিনি নেপাল সেনাবাহিনীর বাদক দলকে বাংলাদেশ ও নেপালের পাশাপাশি ভারতীয় জাতীয় সংগীত বাজানোর নির্দেশ দেন। কারণ, সেখানে অভ্যাগতদের মধ্যে ছিলেন মিত্রবাহিনীর সদস্য জেনারেল জ্যাকব। পরদিন নিম চন্দ্র তাঁর নিজের গাড়িতে ভারতীয় পতাকা লাগিয়ে জ্যাকবকে নিয়ে বিভিন্ন সভায় যান।
টাকাপয়সা নয়ছয়: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূতাবাসের কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করা গাড়িটি (টয়োটা করোলা সিডান) তিনি মাত্র তিন হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করেন। অথচ নেপালে ওই গাড়ির দাম ছিল ১০ হাজার ডলার।
নিম চন্দ্র ভৌমিকের কূটনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত কাজে বিরক্ত নেপাল সরকার গত ২৬ মার্চ স¡াধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পাঠাতে অপারগতা জানায়। কূটনৈতিক নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে নেপালের মন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক আলোচনায় তিনি দূতাবাসের প্রটোকল শাখার অধস্তন কর্মকর্তাকে নিয়ে যান। তাঁর এসব অপকর্মে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে নেপালের পররাষ্ট্রসচিব সম্প্রতি অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবকে অনুরোধ জানিয়েছেন, নিম চন্দ্রের পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে যেন একজন পেশাদার কূটনীতিককে সেখানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়।

আসলে আমরা তো হত্যাকান্ডেরো বিচারি করতে পারি না। আমাদের দেশে ফাসির আসামী ক্ষমা পেয়ে যান।প্রধানমন্ত্রি গডফাদারের তাবেদারি করেন, নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ বাবু কিংবা নরসিংদীর পৌরমেয়র লোকমান হোসেন হত্যার পরের গল্প এমনই। অর্থমন্ত্রি বলেন উনি শেয়ার বাজার বুঝেন না, আর স্বরাস্ট্রমন্ত্রির আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ভাল এই ডায়লগ ত আছেই। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া কিংবা শ্রমিকনেতা নুরুল ইসলাম হত্যার বিচারের জন্যও স্বজনদের বারেবারে মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলন ইত্যাদি করতে হচ্ছে। চল্লিশ বছর বয়সী বাংলাদেশে গত চল্লিশ বছরে আমাদের যেমন চরিত্র আমরা নিজেরা হাতে করে বানিয়েছি , ঠিক তেমনই চরিত্র দেশের সর্বত্রই। এইসব নেতা উড়ে এসে বসেনি। আমরাই ভোট দিয়ে এদের ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত করব। আর চাটুকার সুবিধা বাজেরো অভাব নেই। ব্লগেই অনেকে আছেন এই সব মহান! চরিত্রের নেতা কর্মিদের কেউ কিছু বললে তাদের লাগে। তারেক রহমানের মত একটা জঘন্য চোর কে গালিদিলে তাদের অনুভুতিতে কষ্টলাগে। ফেসবুক এ নুরুন্নাহার শিরিন নামে এক মহিলা আছেন তিনি দেখি জয়কে নিয়ে কবিতা লিখেছেন
“প্রিয় জয়, তোমাকে ছুঁয়েছি এক শিশুতোষ ঘোরে একরোখা গোমতি ভাসানো তীব্র কলরোলে।
হু-হু ভয়াল প্রহরে ভোরগুলি ছুঁয়ে দুপুরে লিখেছি জয়বার্তা কাঁপা হৃদিপাশে। জ্বেলেছি শুকনো ধারাগুলি ঘাসে-ঘাসে”
কোথাও একটা গল্প পড়েছিলাম,
ধরা যাক তারেক রহমান আর তার দুই চামচা আপনার সামনে পড়ে গেলো কোনো এক নির্জন রাস্তায়। আপনি তারেককে দেখেই ক্রুদ্ধ হয়ে গেলেন । এত বড় লুটেরা আর চোরকে দেখে আপনার রেগে যাওয়াটাই হয়ত স্বাভাবিক। চড় মেরে বসলেন তারেকের গালে । দেখা যাবে তারেক চড় খেয়ে আপনাকে কিছুই বলে নি। কেননা তারেক জানত এমন কয়েকশ চড় সে জনগণের কাছ থেকে পাওনা হয়ে আছে। কিন্তু ওই মুহুর্তে কি হবে জানেন? ওই মুহূর্তে তারেকের পাশে যেই চামচা দুই জন দাঁড়িয়ে ছিলো, তারাই দেখা যাবে উত্তেজিত হয়ে গেছে । রেগে মেগে আপনাকে মারার জন্য উদ্ধত হয়ে আছে । হয়ত, তারেক কে বলে বসবে, “ তারেক ভাই, মনে রাইখেন আপনার গালে চড় দেয় নাই এইটা, এইটা মনে করেন আমার গালে চড় পড়ছে। আমি দেখতাসি বছ, আপ্নে বহেন । আপ্নারে চড় দিলো ? এত বড় সাহস? এত বড় কলিজা ?” এইভাবেই তৈরী হয়েছে সেই বিখ্যাত প্রবচন দুইটি, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়” অথবা “সূর্যের থেকে বালি গরম”
আসলে আমরা সর্বংসহা হয়ে গেছি। মেনেই নিয়েছি এরা আমাদের বংশ পরম্পরায় অত্যাচার করবে, আমরা এবং আমাদের বংশধর রা তা সহ্য করবে।সম্প্রতি সিলেটে বেগম খালেদা জিয়া নতুন প্রজন্মের হাতে ক্ষমতা প্রদানের কথা বললেন। নতুন প্রজন্ম কে???
তারেক রহমান??? আল্লাহ রক্ষা কর।
আর পুতুলকেত দেখি জাতিসংঘের প্রধানকে অভ্যর্থনা জানাতে জান। বিন্দু মাত্র লজ্জাও নেই। কি অধিকার আছে তার, সে কি সরকারের কেউ?আসলে আমাদের মত কাপুরুষদের সাথে এমনি হওয়া উচিত।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেও কোন ফায়দা দেখছিনা। উনি বলেই দিয়েছেন যে জাতি নিজেরা চেষ্টা করে না, নিজে পরিবর্তন করে না, আমি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন আনি না।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×