আজকে সারাদিন গেছে যুদ্ধ করে। সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার যুদ্ধ। যারা এই যুদ্ধে অংশ নেননি তারা চিন্তাও করতে পারবেন না। যুদ্ধে জয়লাভ করে বাসায় ক্লান্ত বদনে ঘরে এসেই মেজাজ চরমে। ভাইদের সে কি হাসি!
বলে কি তোমাদের ইজ্জত এর খটিয়া খাড়ি!
কি হয়েছে?
প্রথম আলোতে আমাদের যুদ্ধের খবর এসেছে। এসেছে, তবে একটু অন্যভাবে।
Click This Link
দু একটা মন্তব্য দেখুন,
২০১২.০৩.২৮ ১৫:২৪
দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী লোকজন হচ্ছে, একটি দেশের মুকুট স্বরুপ। আর আমরা তো কপাল পোড়া সে খানেই তাদের কি এখানেই প্রমানিত হয় না। কি ভাবে উন্নতি করবে এজাতী/ দেশ। আমরা খামখাই সরকারকে দুষারুপ করি। বরংচ সরকার বেশী বিপদ গামী হয় এদের জন্য। ফলে দেশ উন্নতি করতে পারে, দেশ পিছিয়ে যায়, একই স্থানে এটকে থাকে। এবং এদেশের জনগন একটি বড় অংশের একই অবস্থা। ফলে সরকার ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে না। অংকুরেই বিনষ্ট হয় সকল আশা, চেষ্টা।
firoz ahmed
২০১২.০৩.২৮ ১৫:৩৫
দেশের সবচেয়ে বড় সমসসসা "আমি খারাপ কিন্তু তুমি খারাপ হতে পারবানা" লাইন ধরে জিনিস নেয়াটা ও শিখলাম না!!!!!
Rawshan Iajdani
২০১২.০৩.২৮ ১৫:৩৮
To tell the truth, there is hardly any education delivered in Dhaka University. Wide spread copying, no classroom teaching, no ethical punishment, gang violence, even petty theft are the day to day affairs of Dhaka University. Its a shame.
Md. Faruk Hossain
২০১২.০৩.২৮ ১৫:৫৭
নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ে নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত ।
এই লোক গুলো এবং সাথে এই প্রতিবেদক ঠিক মত না জেনে না বুঝে যেন সুযোগ পেলাম দে মেরে, এই মানসিকতায় একের পর এক কুৎসা করে গেলেন।
এদের কে একবার সমাবর্তনের কাজ গুল করতে দিলে বুঝতে পারত আমাদের কি শিক্ষা দেওয়া হয়।
নিজে কিছু বললাম না, একজন মন্তব্যকারীর মন্তব্যি পড়ুন।
২০১২.০৩.২৮ ১৬:০৩
বাহ বাহ !!! কত সুন্দরভাবে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের উপর দোষারোপ করা হল !! এই কাজটি হাতেগোনা কিছু ছাত্র করেছে, আপনারা কিভাবে নিশ্চিত হলেন তারা ঢাবির স্টুডেন্ট ? এখানে তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও ছিল !! ২০,০০০ স্টুডেন্ট কে গাউন, ক্যাপ আর উপহার দিবেন মাত্র ৩ দিনে, সে জন্য কি পর্যাপ্ত বেবস্থা নেওয়া হয়েছিল? শিক্ষার্থীরা ভিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে অসুস্থ হয়ে পরেছে অনেকে, তাদের জন্য কিছু তো বললেন না। মেয়েরা কি অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাল আজ সে কথা কেউ তো বলল না। এর আগে শুধুমাত্র জনতা ব্যাংক এ যখন সমাবর্তনের টাকা জমা নেয়া হচ্ছিলো তখন কি রকম অরাজকতা আর অসহনীয় দুর্ভোগ এর মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থী গেছে টা নিজ চোখে দেখেছেন ভিসি স্যার। এবং পরবর্তীতে বললেন ঢাবির ৩ টা ব্যাংক থেকেই টাকা জমা নেয়া হবে। তাহলে আজ আবার কেন সেই একিরকম ভুল করলেন ? কেন শুধুমাত্র টি এস সি থেকেই উপহার সামগ্রী দিতে হবে? বুথ এর সংখ্যা বাড়ালেই আজকের এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো যেত । আমার অনুরোধ ভিসি স্যার এর প্রতি, স্যার প্লীজ ২০০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার অবস্থা আগে তৈরি করেন তারপর উপহার দেয়া শুরু করেন। আমরা কি রিলিফ নিতে এসেছি যে একবার সমাবর্তনের ফর্ম নেয়ার জন্য ৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াব , তারপর টাকা জমে দেয়ার জন্য ৭ ঘণ্টা আর উপহার নেয়ার জন্য আবার ৭ ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকব ? আমাদের কি তাহলে সেশবেলায় এসে লাইনে দাড়িয়ে থেকের শিক্ষা দিচ্ছেন ?
২০১২.০৩.২৮ ১৭:২৮
আমি নিজে আজকে গাউন নিয়েছি। এধরনের জঘন্য সিস্টেমে কোন নিয়ম ছাড়া উপহারসামগ্রী একটা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের সমাবর্তনের জন্য দিতে পারে না দেখলে বিশ্বাস হত না! যেখানে গাউন দিচ্ছে সেখানেই যদি উপহার(!) দিয়ে দিত তাহলে কোন ঝামেলাই হতনা। অথচ আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের তো একটু মাথা খাটিয়ে ভদ্রসম্মোত ভাবে কীভাবে এগুলো বিতরণ করা যায় তা চিন্তা করার সময় নাই কারণ তাদের প্রাইভেট ভার্সিটিতে ক্লাস নিতে হয় নাহলে কন্সাল্টেন্সিতে সময় দিতে হয় অথবা নিজেদের এন জি ও তে সময় দিতে হয়! আর আমরা ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরাতো সব জন্তু-জানোয়ার, তাদেরকে কোন একভাবে এসব সমাবর্তনের জিনিস দিয়ে দিলেই হয়। এই যুগে মোটামুটি যুদ্ধ করে সমাবর্তনের টাকা জমা দিতে হয়েছে। ৮-১০ হাজার শিক্ষার্থীর টাকা জনতা ব্যাংকের একটা মাত্র শাখায়! এছাড়া ১০০ বার করে হল-রেজিস্ট্রার বিল্ডিং দৌড়াদৌড়ি তো আছেই। আর আজকে যা হল তা ভদ্রযুগের কল্পনার বাইরে! আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা তো আর নিয়ম বানাতে পারিনা, ভদ্র নিয়ম করতে হলে আমাদের শিক্ষকদের প্রাইভেট ভার্সিটির মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় আমাদের দিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে করতে হবে।
Jannatul Firdaus
২০১২.০৩.২৮ ২০:৪৭
এই নিয়েছে
ঐ নিলো যা!
কান নিয়েছে চিলে
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে!
ভাই চিল কি কান নিয়েছে, নাকি চিলকে কান নেয়ার জন্য কেউ বাধ্য করেছে?
মন্তব্য দেয়ার আগে দয়া করে একটু ভেবেচিন্তে মন্তব্য দিবেন।
প্রথমেই দোষারোপ করছি প্রথম আলোর একপেশে প্রতিবেদকে। এরপর একপেশে মন্তব্যকারীদের।
অনেকে অনেক জ্ঞানীগুনী কথার ফুলঝুড়ি সাজিয়েছেন ছাত্রদেরকে দোষারোপ করে, বুঝলাম তারা দোষ করেছে কিন্তু কেন করেছে
তার উত্তর জানার জন্য আগামীকাল প্রখর রোদ্রতাপে বেশি না একঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেই পেয়ে যাবেন!
ভাই সব কিছুরই একটা সীমারেখা আছে। ভালো মানুষীরও একটা সীমারেখা থাকে।
নিরপেক্ষ বিচারক হতে চেষ্টা করুন অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে।
Risad Rahman
২০১২.০৩.২৮ ২৩:২৬
কিছুটা অংক কষা যাক...
এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী স্নাতকের সংখ্যা প্রায় ১৭০০০ । অনুষ্ঠানে পরিধেয় গাউন এবং কিছু গিফট বিতরনের জন্য কর্তৃপক্ষের ঘোষিত সময়সীমা ছিল(ছিল বলতে, বিজ্ঞ কর্তৃপক্ষ যদি আবার সময় পরিবর্তন করেন) ২৮-৩০ মার্চ অর্থাৎ ৩ দিন। মানে প্রতিদিন প্রায় ১৭০০০/৩=৫৬৬৬.৬৭ জনকে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে জিনিস্পত্রাদি বুঝিয়ে দেয়ার প্ল্যান ছিল কর্তৃপক্ষের । অর্থাৎ প্রতি ৮ ঘণ্টা মানে ৪৮০ মিনিটে এই ৫৬৬৬.৬৭ জন বা প্রতি ১ মিনিটে প্রায় ১১.৮১ জনকে তাদের প্রাপ্য গিফট এবং গাউন পৃথক দুইটি কক্ষ থেকে টি এস সির গেম রুমের মত ঘুপরি জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে হত !!!
তিন দিনের মধ্যে এ লক্ষ্য পুরন করতে হলে একমাত্র ভরশা ছিল ১৫-২০ টা কাউন্টারে জাপান থেকে আমদানিকৃত কিছু বিতরণ কাজে পটু বিশেষায়িত রোবট । ও তার উপর আবার আছে তিন পর্ব বিশিষ্ট নিবন্ধন ফর্ম পূরণ, এ পর্বটাও উল্লেখিত সময়ের ভেতর করতে চাইলে আই লেন্স রিকগনিশন কিংবা আইডি পাঞ্চের মত কোন পদ্ধতির সহায়তায় করা যেত ।
ব্যবস্থাপনাটায় বাস্তবিক অর্থে কি ছিল ইতমদ্ধেই অনেক সিনিয়ররা বলেছেন এখানে ! তাই এটা নিয়ে কিছু বললাম না...
এখন প্রশ্ন হচ্ছে উপমহাদেশের সর্ব বৃহৎ এ সমাবর্তনে মাননীয় কর্তৃপক্ষ এরকম কতগুলো উপযোগী ব্যবস্থাপনা রেখেছিলেন ?? বিতরনের এ ব্যর্থতার দায়ভার কি ছাত্রদের ??
মাননীয় কর্তৃপক্ষ কি এই অংক শিখেছিলেন ??
কতিপয় পথভ্রষ্ট ছাত্র অছাত্রদের এহেন কুকীর্তির জন্যে ঢালাওভাবে আমাদের ঢাবি নিয়ে এত কটু কথা কেন শুনতে হবে ?
সারাদিনের( কয়েক দিন লাগাতার) কষ্ট করার পর যদি এত্ত কথা শুনতে হয়। আমি শুধু বলব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বাইরের কিছু না। যদি আমাদের মধ্যে খারাপ কিছু এসে থাকে তার জন্য দায়ী আপনি, আপনার সমাজ, আপনার দেশ সবাই।
একবারো কি চিন্তা করেছেন, আপনি যে নেতা দের ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন তারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যাবহার করে এদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সঙ্কট জিইয়ে রাখা হয় সাধারণ নিরীহ ছাত্রদের হায়না বানিয়ে রাজনীতি করানোর জন্য। আমরা বাইরের কেউ না। আপনাদেরই কারো ভাই কারো ছেলে, এভাবে আমাদের একতরফা দোষারপ নাকরে নিজেদের চেহারাটাও আয়নায় দেখবেন। এটাও মনে রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো যে টুকু সুনাম আছে তা আমাদের মেধা আর আমাদের কিছু শিক্ষকের আন্তরিকতার জন্যই। আজকেও যেকোন প্রতিযোগীতাতেও দেশের জন্য আমরাই সম্মান বয়ে আনতে পারি। ধন্যবাদ।
আর মাননীয় উপাচার্য স্যার, আপনার কাছ থেকে চামচামি আর লেজুড়বৃত্তি ছাড়া কিছু শেখার নেই। কি শেখাবেন আপনি?
ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




