গুম খুন নয় ক্রসফায়াই দিয়েন...
খুব ভয়ে ভয়ে আছি।
ঘর থেকে বের হইনা। কোথাও যাই না। ঘুরি না। আড্ডা দেই না।
হয়ে গেল অনেক দিন।
হাসতে হাসতে ঘটনার শুরু। লাল দুলাল শাহ। এমপি সাহেবের শালাতো ভাই।
আগে থেকে চিনতাম। তার দুলাভাই এমপি ... থাক নামটা নাই বললাম।
আজাইরা তর্কের সময় একদিন বললাম, ‘এমপি মানে মাদার কুইন’স সান’ এর বাংলা করলে যা দাঁড়ায় তাই। তবে সব কবি যেমন কবি নয় তেমনই সব এমপি মানে এটি নয়। কেউ কেউ ঘেউ ঘেউ...
আর যায় কোথায় ন্যাজে পারা খাওয়া গোখরা সাপের মত হিস হিস করে উঠল লাল দুলাল শাহ।
তার মহাপবিত্র দুলাভাইকে নাপাক করেছি আমি।
ওরে বাপরে... তারপর কত কথা।
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, ইন্দিরা গান্ধী, শেখ মুজিব, কোসিজেন, ব্রেজনেভ, দেবদুলাল...
বাপরে এমপি সাব পবিত্র কুলজাত হওয়ার দলিল হিসেবে আরো নাম-ধাম, ঠিকানা, কথা-বার্তা, তারপর হুমকি আর হুমকি।
ভেগে এলাম ভয়ে
কেবল শুনতে পেলাম
ও শালার পোড়া কপালে হয় গুম খুন না হয় ক্রস ফায়ার...নিজের বাপ আর জাতির পরম পিতার কসম খাইয়া কইতাছি, দ্বিতীয় বিপ্লবের পরাণ পুরুষের কসম খাইয়া কইতাছি তোরে খাইছি...
ভয় এবং ভয়
সাপের মতো জড়িয়ে ধরছে।
আমি জানি স্বরাষ্ট্রের রানীর সাথে গভীর দহরম-মহরম লাল দুলাল শাহের
কি হয় কে জানে!
যাই হোক, আবেদন একটাই, গুমখুন হতে চাই না তার চেয়ে ক্রস ফায়ার দ্যান।
স্বজনরা অন্তত নিশ্চিত হবে,
কিংবা অসহ্য দুচিন্তায় ভাঙ্গা নৌকার দুলানির মতো আশার হাতছানির দোলা দেবে না
আমার পূর্ব পুরুষরা নিরাপদ মৃত্যুর গ্যারান্টিই কেবল চেয়েছেন কিন্তু ডিজিটাল বাংলায় এখন ওরকম দু:সাহস দেখানোর বুকের পাটা কারও নেই... দেখেন আশে পাশে দূরে কাছে খোজ খবর করে এসএমএস দিয়ে
দেখেন দেখেন বারবার দেখেন
নিরাপদ মরণ-ফরনের কথা আর ভাবার মত বিলাস আমার জন্য নয় বরং থাকতে সময় গুছিয়ে বলে নেই
না গুম খুন নয় যদি একান্তই দেন তবে ক্রস ফায়ারই দিয়েন।