আমি অনেক দিন কবিতা লিখি না। শব্দের খেলায় মেতে ওঠার দিনরাত এখন অতীত। মিছিলে মিছিলে ঘুরে যে জীবন্ত কবিতা চর্চা হতো তাও নেই আজ আর। ম্যাড় ম্যাড়ে ছায়ায় ঘানি টেনে বেঁচে থাকার দিনকালে কি কবিতা চর্চা হয়?
কিন্তু হঠাৎ ভোরে ঘুম ভাঙ্গল গাজার কবিতা লেখার রক্তোৎসবে। কবিতা লিখছে নারী, কবিতা লিখছে মায়ের পেটের শিশু, মসজিদের মিনার, হাসপাতাল আর স্কুল কোথায় কবিতা নেই? রুখে দাঁড়াও মাথা নত করো না – রক্তের কবিতায় বলে গেল সারি সারি উজ্জ্বল দেহ!
এ কবিতা ঠেকাবে কে? মারকাভা ট্যাংক কিংবা আয়রন ডোম? না ভুল করেছ ইসরাইল। কারবালা থেকে আওয়াজ ওঠে আসছে তলোয়ারের ওপর বিজয়ের সফেদ নিশান তুলে ধরে কেবল রুধির ধারা। মুক্তি গান আর ভোরের আলোয় ঝলমলে শিশির হয়ে ওঠে রক্তস্রোত। তোমার ঈশ্বরের রথ যাকে মারকাবা বল এখন তা ইতিহাসের নোংরা আবর্জনা হয়ে উঠছে। কিংবা মা বোনের ব্যবহৃত ন্যাকড়ার ফালি। দেখো ফিলিস্তিনের মর্গের ছোট খুকিটির মুষ্টিবদ্ধ হাত ঠেকিয়ে দিচ্ছে মারণাস্ত্রের সব অভিশাপ।
এই হলও কবিতা। এখানেই মানুষ হেসে ওঠে ভোরের আজানে আজানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫