খেলোয়াড় বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে দলটিকে নামালো তাকে ওদের দ্বিতীয় সারির দল বলেও মনে হচ্ছে না। তৃতীয় বা চতুর্থ সারির দল বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মত ছিল এই খেলায় বাংলাদেশ হেসে খেলে জিতে যাবে। কিন্তু আমার তা মনে হচ্ছিল না। কারন কয়েকটা। এক, বাংলাদেশ খুবই অধারাবাহিক দল। দুই, জিতবার মানসিকতা এই তরুন দলটির নেই। তবে এই দলের সাথে বাংলাদেশ একেবারে খারাপ করবে বলেও মনে হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত তাই ঘটল। প্রথম ইনিংসে তো বাংলাদেশের পারফরমেন্স খুবই খারাপ। শেষের দিকে মাশরাফি আর মুশফিক কিছু রান না করলে ২০০ ই ছাড়াতে পারত না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামহীন সাদামাটা ব্যাটসম্যানেরা যেভাবে ব্যাটিং করছিল, তাতে ৪০০ খুব সহজেই হত। কিন্তু ওদের লোয়ার অর্ডার বুঝিয়ে দিল অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দৌড় কতখানি।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ভালই করেছে। সেজন্য তামিম, জুনায়েদ আর ইমরুলকে বাহবা দিতেই হয়। ইমরুলের রান খুব বেশী না হলেও দীর্ঘ সময় ঊইকেটে টিকে থাকবার কঠিন কাজটা করেছে। আশরাফুলের ব্যাটিং দেখে আবারো মনে হল, ২০ ম্যাচ পরপর জ্বলে উঠবার প্রত্যাশায় আর কতদিন এই অধারাবাহিক ব্যাটসম্যানকে পুষতে হবে। আর রকিবুলকে আমার কখনই ম্যাচিউরড প্লেয়ার মনে হয়নি। তার খেলাতে এই প্রমান পাওয়া গেল। শেষতক সাকিব আর মুশফিক হাল ধরাতে বাংলাদেশ একটা সন্তোষজনক লীডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
খেলার এখন পর্যন্ত যা পরিস্থতি, তাতে যে কেউ জিততে পারে। আবার ড্রও হতে পারে। বাংলাদেশের জয় কামনা করি। কিন্তু পূর্বাভাষ করতে দিলে বলব এই খেলা ড্র হবে। কেন? কারন বাংলাদেশ ভাল একটা লীড না নিয়ে ব্যাটিং শেষ করবে না। অন্তত ২০ ওভার তো ব্যাটিং করবেই। আর বাংলাদেশকে অলআউট করতে হলেও ২০ ওভার লেগে যাবে বলেই আমার ধারনা। আর বাকি ৭০ ওভারে এই স্লো মাঠে ওরা এই রান চেজ করতে যাবে না। আর ৭০ ওভারে ওরা ডিফেন্সিভ ব্যাটিং করলে বাংলাদেশের জন্য ওদেরকে অলআউট করাটা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
তারপরেও চাইব বাংলাদেশ এই অসম্ভবটাকেও সম্ভব করে তুলুক। চেয়ে আছি শেষ দৃশ্যের মঞ্চায়নের দিকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



