চলার পথে কত কথা মনে হয়। কত কথা লিখব। কিন্তু কিছুই লেখা হয় না।
ব্লগার বন্ধুদের লেখা পড়েই সময় পার হয়ে যায়।
ইচ্ছে হয় মুক্তির স্লোগান নিয়ে লিখব, আকাশ নিয়ে লিখব, জীবন নিয়ে লিখব, দেশ নিয়ে লিখব।
যে দেশের মানুষগুলো কতটা সহজ সরল আমি খুব অবাক হয়ে যাই।
চায়ের কাপে ঝড় তোলা এই মানুষগুলোর মাঝে হঠৎ একজন এসে বল্ল ৫০০০ টাকা দাও কোটিপতি হয়ে যাবা। অমনি মানুষের ঢল নেমে গেল ডেস্টিনির দপ্তরে। ডেস্টিনি এখন হাওয়াঘরে।
ইন্টারনেটে নাকি অনেক টাকা সবাই শুনেছে,
কিন্তু কিভাবে সেই টাকা ধরা যায় কেউ জানে না। হঠাৎ একজন এসে বলল আমার কাছে যাদুর কাঠি আছে। ৫০০০ টাকা দিলেই সেই কাঠি তোমাকে দিব। শুরু হল কলকাঠি নাড়ানো সবাই ধনী হবার আশায় লাইন ধরে টাকা জমা দিতে লাগল। ইন্টারনেট থেকে আর ধনী হওয়া হয়নি।
আরও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠল সেখানে নাকি লাখ টাকা দিলে ওরা তা কোটি টাকা বানিয়ে দেয়। কোটি টাকার আশায় জমি জিরাত বেচে অনেকেই এখন দেউলিয়া।
কয়েকদিন আগে মানিকগঞ্জে মসজিদে ঘোষনা দেওয়া হল ব্লগাররা নাকি ইসলামকে বেঁচে দিচ্ছে। যারা হাতে যা আছে তাই নিয়ে শুরু হল তান্ডব। ব্লগ কি আর ব্লগার কি তাই ওরা জানে না। কেউ কেউ মাঠ থেকে শুনেই কাস্তে নিয়ে চলে এসেছে। অনেকেই হয়তোবা পাঁচওয়াক্ত নামাজও ঠিকমতো পড়ে না।
রাতের বেলায় ঘুমের ঘরে মোবাইলটি বেজে উঠলো চাচা বলল চান্দের বুকে সাঈদিকে নাকি দেখা যাচ্ছে, ওদিকে মসজিদেও শোনা যাচ্ছে তেমনি কথা। বাইরে বেরিয়ে সত্যিই দেখে চান্দের বুকে সাঈদি হাসতেছে। বোঝানো হল তোমরা এইবার লাঠি নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে লেগে পড়। ব্লগাররা ইসলামের শত্রু। তারপর শুরু হল তান্ডব।
মৃত্যু হলো অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষের।
পুলিশ ভাইদেরো কিছু হয়তো করার ছিল না।
তাদের অনেককেই হত্যা করা হয়েছে।
বন্ধুগন,
আজ তরুনদেরকেই হাল ধরতে হবে।
কিবোর্ডের উপর থেকে হাত সরিয়ে ওদের পাশে আমাদেরকেই দাঁড়াতে হবে।
লুটেরার দল সহজ সরল মানুষগুলোকে আজ জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড় করিয়েছে।
তাই লুটেরাদেরকে শেষ না করে আর ঘরে ফেরা যাবে না।
রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহন করতে হবে।
লুটেরাদের পরিনতি হতে হবে এযাবৎকালের মধ্যে সব চেয়ে দৃষ্টান্তমুলক।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




