
এখন ব্যাপারটি একেবারে শখ থেকে নেশায় পরিণত হয়েছে। এটি ছাড়া এখন থাকতেই পারিনা। আমি এখন যে কথাটি বলবো সেটি নিয়ে সেই ফেব্রুয়ারী মাসেই একটা ব্লগ লিখেছিলাম। সেটি হচ্ছে আমি যখন হাটাহাটি করি তখন আমার স্মার্ট ফোনের একটি এ্যাপস, যার নাম এ্যান্ডোমোন্ডো, সেটি অন করে হাটাহাটি শুরু করি। যার ফলে হয় কি, আমি যেসব জায়গায় হাটছি সেসব জায়গার ম্যাপ রেকর্ড হয়ে যায়। পরবর্তিতে যখন হাটা শেষ হয় তখন আমি ম্যাপ আকারে দেখতে পাই যেসব জায়গায় আমি হাটলাম। এই এ্যাপস এ শুধু ম্যাপই ট্র্যাক করেনা, আমি কতক্ষণ হাটলাম, কত ক্যালরী ক্ষয় করলাম সব ধরনের তথ্য পেয়ে যাই। মাঝেমাঝে হাটার সময় হরেক রকমের ছবি তুলার চেষ্টা করি। হাটাহাটির সময় আবার অনেক ধরনের ঘটনা বা দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়। যেমন আজকে হাটা শুরু করলাম উত্তরা সেক্টর ৭ থেকে। হাটতে হাটতে টঙ্গী পর্যন্ত আসলাম। তুরাগ নদীর যে করুন অবস্থা সেটা দেখে বেশ নিরাশ হলাম। নদীর পানিটা একেবারে কুচকুচে কালো। দেশে জনসংখ্যা কমতো তাই হয়তো দেখার কেউ নেই। এরপর ইজতেমা মাঠ পার হয়ে উত্তরার কামারপাড়া পর্যন্ত আসলাম। সেখানে উত্তরা ১০ং জামে মসজিদে এসে যোহর নামাযটা পড়ে নিলাম। কোন কোন জায়গায় হাটলাম সেটার প্রমাণ ম্যাপ আকারে পেয়ে যাওয়াটা আমার কাছে ভালো লাগে। এই হাটাহাটির ফলে বড় যে কাজটি হয় সেটি হলো আমার ফিটনেসটা ঠিক থাকে। ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য হাটাহাটি খুব ভালো একটি কাজ সেটা আমরা সবাই জানি। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে হাটাহাটি করার ফলে আমি ম্যাপও পেলাম ও একই সাথে ফিটনেসের কাজটাও হয়ে গেলো। গতকাল টানা হেটে ছিলাম দেড় ঘন্টা। আজকে হাটলাম ১ ঘন্টা ৮ মিনিট।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




