
নেটফ্লিক্সে এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে রিলিজড হওয়া ডুকিউমেন্টরি Return to Space দেখলাম। Return to Space মূলত Elon Musk-এর স্পেস প্রতিষ্ঠান Space-X কে নিয়ে। ডুকিউমেন্টরিটা দেখলে যে কেউই তার নিজ অবস্থান থেকে জীবন নিয়ে অনুপ্রাণিত হবে, জীবনের মূল্যটা বোঝার চেষ্টা করবে, জীবনে হেরে গেলে সেখান থেকে উঠে আসার স্বপ্নটা দেখবে, খুব সহজেই না ভেঙ্গে পরার প্রবণতাটা কেটে যাবে আর যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেনো, লক্ষ্যে পৌছানোর এক তুমূল বাসনা থাকবে। এই ডুকিউমেন্টরিটা দেখে আমার এসবই মনে হয়েছে।
Tesla ও Space-X এর প্রতিষ্ঠাতা Elon Musk-এর নাম আমরা সবাই শুনেছি। দূরদর্শী চিন্তার মানুষ যদি এই মূহুর্তে দুনিয়াতে কেউ থেকে থাকে তাহলে সে হলো Elon Musk। সে শুধু স্বপ্নই দেখেননা স্বপ্নটাকে কিভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে সেদিকেও মনোযোগ দেন। Elon Musk-এর স্বপ্ন হলো সে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাবে, শুধু তাই নয়, সে স্বপ্ন দেখে যে পৃথিবী ছাড়াও মানবজাতি মহাকাশ অনুসন্ধান করবে অনায়াসে। Elon Musk স্পেসএক্স ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, যার লক্ষ্য ছিল মঙ্গলগ্রহে উপনিবেশ স্থাপন করা স্বল্প খরচে।
আমরা যেকোনো সাফল্যের কাহীনির শুধু শেষের সফলতার গল্পটাই দেখি, কিন্তু এর পিছনে যে কতো কষ্ট, কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে সেটা অনেকেই জানি না। Elon Musk-এর Space-X দল বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলো, বারেবারে তাদের তৈরী মিলিয়ন ডলারের রকেটের বিস্ফোরণ ঘটছিল। Space-X দেউলিয়ার একেবারে দাঁড়প্রান্তে চলে গিয়েছিল। তবে ইলন মাস্ক হেরে যাবার মানুষ নন। সে শক্তভাবে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছেন আর বাকিটা সব ইতিহাস। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে এই ডুকিউমেন্টরিটা দেখে। Jimmy Chin ও Elizabeth Chai Vasarhelyi-এর পরিচালিত এই ছবিটিকে আমি ৯.৫ দেব ১০-এ।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




