somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেটফ্লিক্সের অসাধারণ ডকুইমেন্টরি The Figo Affair: The Transfer that Changed Football দেখলাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"২০০০ সালের ঘটনা। পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড় লুইস ফিগো খেলে বার্সেলোনা দলে। তখনকার সময়ে সে বার্সেলোনার সেরা খেলোয়াড়। ছুটি কাটাতে সে পরিবার সহ গিয়েছে সার্ডিনিয়াতে। রাত ২টা--৩টার দিকে ফিগো টেলিফোন দিলো বার্সেলোনা দলের প্রেসিডেন্টকে। তাকে জানালো তার কাছে দুইটা টিকিট রয়েছে। একটি মাদ্রিদের আরেকটি বার্সেলোনার। তাকে যদি আয়ের অর্থ বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে বার্সেলোনায় থাকবে আর তা না হলে সে বার্সেলোনার চির শত্রু রিয়েল মাদ্রিদে চলে যাবে। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট তাকে বলেছিল সে যদি টাকার জন্য চলে যেতে চায় তাহলে সে চলে যাক।" এর পরেরটা সবই ইতিহাস।

উপরের বর্ণনাটি তৎকালীন বার্সেলোনা দলের প্রেসিডেন্ট হুয়ান গ্যাস্পার্টের। তবে এগুলো সবই অস্বীকার করেছে লুইস ফিগো। ফিগোর বর্ণনা অনুযায়ী সে বলেছে যে সে বার্সেলোনা দলের জন্য যা করেছে দল সেসবের কিছুই মূল্যায়ন করেনি। অনেক অভিমান নিয়েই সে দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে মাদ্রিদে।

The Figo Affair: The Transfer that Changed Football ডকুইমেন্টরীর কথা বলছিলাম এতক্ষণ। লুইস ফিগো বার্সেলোনার সেরা খেলোয়াড় ছিল। বার্সার ফ্যানরা তাকে ভীষন পছন্দ করতো। দলের জন্য সে অনেক ট্রফিও এনে দিয়েছিল। এবং বহুবার সে বিভিন্ন জায়গায় সে বলে বেড়াতো বার্সেলোনা তার কতো ভালো লাগে। অথচ সেই ফিগোই ২০০০ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে চলে যায় রিয়েল মাদ্রিদে। বার্সেলোনার সব ফ্যানরা মনে করে ফিগো তাদের সাথে বেইমানী করেছে।

আসলে যে কোনো ঘটনারই দুটি পক্ষ থাকে এবং কোনো পক্ষই নিজেকে দোষী ভাবেনা কখনই। The Figo Affair: The Transfer that Changed Football এমনই একটি ডকুইমেন্টরী যেখানে কেউ কারোর দোষ স্বীকার করেনা, সবাই তাদের নিজস্ব স্থান থেকে অনড় থাকে। যুক্তি স্থাপন করতে থাকে যে তারাই সঠিক। পুরো ডকুইমেন্টরী লুইস ফিগোর কাহীনি দেখানো হয় সে কেনো বার্সেলোনা ছেড়ে মাদ্রিদে গেলো। এক পক্ষ বলতে থাকে ফিগো বেইমানী করেছে আর ফিগো বলতে থাকে সে পরিস্থিতির স্বীকারের কারণে মাদ্রিদে গিয়েছে।

মাদ্রিদে গিয়ে সে দলের জন্য বহু ট্রফি এনেছে এবং সেরা খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। যারা ফুটবল ফ্যান তাদের এই ডকুইমেন্টরী অবশ্যই দেখা উচিত।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তারেক রহমান আসবে, বাংলাদেশ হাসবে?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৮


আমি যখন স্কুলে পড়তাম, দুপুরের শিফটে ক্লাস ছিল। একদিন স্কুলে যাওয়ার আগে দেখি ছোটো মামা সংসদ টিভিতে অধিবেশন দেখছেন। কৌতূহল হলো, মামা এত মনোযোগ দিয়ে কী দেখছেন। আমিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে কোনটি মত এবং কোনটি মতভেদ?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৪




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কতভাগ ব্লগার মহা-ডাকাত তারেককে সরকারে দেখতে চায়?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১২



জিয়া মিথ্যা হ্যাঁ/না ভোটে সামরিক এডমিনিষ্ট্রেটর থেকে আইয়ুবের নতো দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো, ৫% ভোটকে মিথ্যুকেরা ৯৮% বলেছিলো ; আওয়ামী লীগ বাধা দিতে পারেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর, বেগম জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

=একটি ডায়াটের গল্প, যেভাবে ওজন কমিয়েছিলাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮


১৬ ডিসেম্বরের খাবার ছিল। উপরের চায়ের ছবিতে ফেসবুকের দুই গ্রুপে দুটো পুরস্কার পেয়েছি প্রতিযোগিতায় আলহামদুলিল্লাহ।

মোবাইলে পোস্ট, ভুল ত্রুটি থাকিতে পারে, মার্জনীয় দৃষ্টিতে রাখবেন।

জব করি বাংলাদেশ ব্যাংকে। সারাদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

'আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান'

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯



১। মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
আমাদের মহাত্মা গান্ধীর কর্মকান্ড লুথার খুবই পছন্দ করতেন। ১৯৫৫ সালে লুথার বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×