গতকাল রাতে একমাত্র টি টোয়েন্টি ম্যাচে একটা মিনি বাংলাওয়াশের পর শহীদ আফ্রিদী হঠ্যাৎ বুকের বামদিকে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেন। ফলে জরুরী ভিত্তিতে তাকে এ্যপোলো হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ সকাল সকাল তার ঘুম ভেঙ্গেছে। বিছানায় আয়েশী ভঙ্গিতে বসে আজকের পত্রিকাটি খোলেন তিনি। প্রথম পাতাতেই চোখে পড়ে গতরাতের দুঃস্বপ্নটা! তাড়াতাড়ি পত্রিকা বন্ধ করে চায়ে একটা চুমুক দেন। অাহ্.. অসাধারন চা! হঠ্যাৎ হাসপাতালের সেবিকা চলে আসে। তার হাতে কয়েকটি ফুলের তোরা। শহীদ আফ্রিদী কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করেন,
-এগুলো কে পাঠিয়েছে?
-জানি না স্যার, তবে এগুলোর সাথে বাংলায় লেখা কিছু চিরকুট আছে।
-এ বঙ্গদেশে এখোনো আমাদের প্রেমীরা আছে তাহলে? (মনে মনে একটু খুশী হন আফ্রিদী, এদের জন্যই আজও এদেশে পাকিস্তান বেচে আছে) পড়ে শোনাও তো কি লেখা আছে চিরকুটে।
-"জানি তোমার দুঃসময় চলছে, তারপরও তোমার পাশে আছি। মেরি মি আফ্রিদী" !!!
(আফ্রিদীর খুশির সীমানাটা আরও একটু বেড়ে যায়)
-এরা সত্যিই আমাকে এতো ভালোবাসে? এই চিরকুট যে পাঠিয়েছে তার নাম কি?
-গৃহকর্মী আলতা বানু! (আফ্রিদীর মুখটা হঠ্যাৎ বাংলার ’ঙ’ হয়ে যায়)
-পরের চিরকুটে কি লেখা পড়ে শোনাও।
-স্যার পরের চিরকুটটা রঙ্গীন কাগজে লেখা। "সরি আফ্রিদী, ভুল হয়ে গেছে। পাঁচদিনের মধ্যে মনে করে একটা পিউলি খেয়ে নিও"! -লুইচ্চ্যা নুনু মিয়া
-পিউলি জিনিসটা কি?
-স্যার পিউলি একটি জন্মনিয়ন্ত্রনকারী পিল! (সেবিকা মুচকি হেসে জবাব দিলো)
শহীদ আফ্রিদী এবার বেশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলেন। আকাশ-পাতাল চিন্তা করে চলেছেন তিনি, তবে কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারছেন না বলে মনে হচ্ছে!
-স্যার, পরের চিরকুটটা কি পড়বো?
-হু, পড়ো.. (আফ্রিদী অানমনা হয়ে জবাব দিলেন)
-"গেট ওয়েল সুন আফ্রিদী, কারন বাঁশ আরও বাকী আছে!" :3 -বাঁশ বাবা আক্কাছ
শহীদ আফ্রিদী এবার চেচিয়ে উঠলো,
-বদমাইশ পোলাপা্ইন কনেকার!!! সারাজীবন খালি প্যারা দিয়া গেলি তোরা..
-স্যার আপনি উত্তেজিত হবেন না। আপনার হার্ট কন্ডিশন ভালো না।
সেবিকা চিৎকার করতে ডাকতে লাগলেন, ডক্টর ইঞ্জেকশন প্লিজ!