somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তথাকথিত ভালোবাসা দিবসে আসলে কি ভালোবাসা আছে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজের চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা।এটা গল্প মনে হলেও এই গল্পের প্রতিটা লাইন এবং শব্দ সত্যা।
২০১৮ সালের শেষের দিকের কোন সময় রবিনের সাথে পরিচয় মারিয়ার।পরিচয়ের পর থেকে দেখা,কথা বলা,একসাথে সময় কাটানো শুরু।সেই সময় মারিয়া, রবিনকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রবিন এক কথায় বলে দেয় সে বিয়ে করতে রাজি।এছাড়া কোন সম্পর্কে সে জড়াবে বা।বলে রাখা ভালো রবিন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ী আর মারিয়া মেডিক্যাল জীবনের শেষ প্রান্তে।অর্থাৎ ফাইনাল প্রফ দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায়।রবিন তার ব্যাবসায়ীক কারনে প্রতি মাসে দুই একবার দেশের বাইরে যাওয়া আসা করতো।বিয়ের প্রস্তাবের সাথে সাথে রবিন এটাও পরিষ্কার করে নেয় যে,সে বিত্তশালী নয় কিংবা তার বাড়ি গাড়ি কিছুই নেই।কিন্তু সে ভালোভাবে জীবন যাপনের মত অবস্থাশালী।রবিনের পরিবার উচ্চ শিক্ষিত সেই সাথে রবিনও পক্ষান্তরে মারিয়ার পরিবারে সেই সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত।বিয়ের কথা বলার পর মারিয়া রবিনের পরিবারের সাথে কথা বলতে চাই।ইতিমধ্যে রবিনের দেশের বাইরে যাওয়া দরকার হলে রবিন তার মা,ভাই বোনদের সাথে মারিয়া কন্টাক্ট করিয়ে দিয়ে ১৫ দিনের জন্য দেশের বাইরে চলে যায়।ইতিমধ্যে মারিয়া রবিনের পরিবারের সাথে কথা বলতে থাকে।রবিন দেশে ফিরে এসে তার পরিবারের সাথে মারিয়াকে নিয়ে কথা বলার পর তারা এক বাক্যে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়।অন্যদিকে মারিয়ার পরিবার রবিনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য সময় চাই এবং মারিয়ার বাবা পুলিশে থাকা তার এক ছাত্রকে দিয়ে রবিনের সব বিষয়ে খবর নিয়ে বিয়েতে রাজি হয়।এরই মধ্যে ধাপে ধাপে মারিয়ার পরিবারের রবিনের সাথে মোট চারবার দেখা করে।রবিনের বিয়ের আগে মারিয়াকে স্পষ্ট করে বলে দেয় যে,তার যদি অতীতে কোন বিষয় থেকে থাকে তাহলে সে যেন সেগুলু ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকায়।তখন মারিয়া তাকে তার একটা সম্পর্কের কথা জানায় এবং রবিনও সেটা মেনে নেয়।সব কিছুর ২০১৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখ আকদের দীন ধার্য হয়।রবিনের বড় ভাই আমেরিকা থাকার কারনে রবিন আকদের সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার আমেরিকা থেকে ফিরে আসলে রিসিপশনের সিদ্ধান্ত নেয়।জানুয়ারির ৩০,২০১৯ দুই পক্ষের বৈঠকে ৮ লক্ষ্য কাবিনে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।যথারীতি ফেব্রুয়ারীর ১,২০১৯ সাল,শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসিজদে আকদের প্রোগ্রাম ফিক্সড হয়।আকদের জন্য হুজুর যখন আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলেন তখন মারিয়ার বড় বোনের হাজবেন্ড,রবিনকে জানালো যে,মারিয়ার অন্য আত্মীয় স্বজনেরা ৮ লাখ টাকা কাবিন মেনে নিচ্ছে না।তারা ১৫ লক্ষ্য টাকা কাবিন করতে চাই।কিন্তু রবিন তাতে রাজি না হলে বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়।মান সম্মানের স্বার্থে রবিন শেষ পর্যন্ত ১৪ লাখ টাকা কাবিন মেনে নেয় এবং তাদের আকদ সম্পুর্ন হয়।এবং আকদের পর মারিয়ার পরিবার তাদের নিজ বাসায় রবিনের পরিবারের জন্য আতিথিয়েতার আয়োজন করে।ফেব্রুয়ারির ২.২০১৯ সালে মারিয়া,রবিনকে কল দিয়ে জানালো যে,তাদের বাসায় যেতে হবে।রবিন যথারীতি বিকেল বেলায় তাদের বাসায় যায়।এটাই প্রথম রবিনের শ্বশুরবাড়িতে গমন এবং মারিয়ার মা বাবা বলে রবিনকে সেখানে থাকতে হবে।যথারীতি রাতের খাবার পর রবিন যখন বেড রুমে ডুকলো তখন হঠাৎ করে মারিয়া,রবিনের গালে কষে চড় মারলো।রবিন ঘটনার আকস্মিকতায় হতবম্ব হয়ে সেখান থেকে চলে আসার চেষ্টা করে কিন্তু মারিয়া মাফ চাওয়ার কারনে সে থেকে যায় এবং বিষয়টা আর কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।বিয়ের পর পরই রবিন ব্যাবসায়িকভাবে বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হয় যাতে তার ব্যাবসা পুরু বন্ধ হয়ে যায়।এবং এতে মারিয়া এবং তার পরিবার খুব শকড ফিল করে।ইতিমধ্যে মার্চে তার ফাইনালের প্রফের রেজাল্ট পাবলিশ হয় সে দুই সাবজেক্টে ফেল করে।এবং পরবর্তী পরিক্ষার তারিখ পড়ে মে মাসে।মারিয়া,রবিনকে জানালো যে,সে হোস্টেলে সিট ছেড়ে দিয়েছে।এখন সে কারো সাথে সাবলেট উঠতে হবে।এবং সে একটা পরিবারের সাথে সাবলেট উঠে যেটা তার মেডেকেলের সিনিয়র বোন ছিল।কিন্তু সাবলেট উঠার কয়দিন পর সে জানালো সে ওখানে থাকতে পারবে না।মারিয়ার মা রবিনকে ডেকে নিয়ে বলল যে,তুমি যেহেতু একা বাসা নিয়ে থাকো তাই পরিক্ষা পর্যন্ত মারিয়ার মেডিকেলের সামনে বাসা নিয়ে একসাথে থাকো।রবিন পরে মারিয়ার মেডিকেলের সামনে বাসা নিলো এবং ১লা মে,২০১৯ থেকে তারা এক সাথে থাকা শুরু করলো।এক সাথে থাকা শুরুর পর থেকে সমস্যা শুরু হল।মারিয়া কথায় কথায় চরম সিনক্রিয়েট শুরু করে এবং গায়ে হাত তুলে।মারিয়ার মা রবিন এবং তার মাকে কল দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করে যে তার মেজাজ খুব বেশি।কথায় কথায় অনেকবার রবিনের গায়ে হাত তোলার পর রবিনও একদিন তার গায়ে হাত তুলে।এই খবর মারিয়ার পরিবারের যাওয়ার পর তারা রবিনকে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিলো।রবিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেল।যেহেতু সে ব্যাবসায়িক ক্ষতি মোকাবেলা করছে তাই সে চিন্তা করলো ব্যাবসা ঠিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।বলে রাখা ভালো যে,রবিন টিপিক্যাল বাঙ্গালি পুরুষ মানুষের মত না।সে রান্না করে মারিয়াকে খাওয়াতো।তার কাপড় ওয়াশ থেকে শুরু পরিবারের প্রতিটা কাজ সে করতো।তার উদ্ধেশ্য ছিল তারপরেও মারিয়া ভালো থাকুক।কিন্তু আস্তে আস্তে মারিয়া আর এগ্রেসিভ হয়ে উঠলো।রাতে তারা দুজন কিভাবে গুমাই সেটাও সকালে ঘুম থেকে উঠার আগে মারিয়ার মা,বোনেরা জেনে যায়।এরই মধ্যে রবিন আবিস্কার করলো যে,তারা এক সাথে শুয়ে যাওয়ার পর মারিয়া যখন নিশ্চিত হয় যে,রবিন ঘুমিয়ে গেছে তখন মারিয়া উঠে বেলকনিতে গিয়ে অন্য ছেলের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছে।রবিন বিষয়টা বুঝেও না বুঝার ভান করে যাচ্ছে। এবং বার বার মারিয়াকে বলার চেষ্টা করেছে যে,’’মারিয়া তুমি যা করো তার সবই আমি জানি,বি কেয়ারফুল’’। কিন্তু মারিয়া এগুলুর কিছুই কেয়ার করে না।ঐ ছেলের সাথে বাইরে ঘুরতে যাওয়া,সিনেমা দেখা সবই চলতে থাকলো।রবিনের একটা মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত ছিল যে,সে মারিয়াকে অতিরঞ্জিত স্বাধীনতা দিয়ে ফেলেছিল।এই সময়ে ভিতর তাদের মধ্যে আর দুইবার মারামারি হয়েছে।তখন রবিন মারিয়ার চাচীর (তিনিও একজন ডাক্তার) সাথে বিষয়গুলু শেয়ার করলেন।উল্লেখ্য মারিয়া তার বাবা মামাকে পাত্তা দিতো না।শুধুমাত্র এই চাচির কথাকে সে মুল্য দিতো।তিনি রবিনকে বললেন যে মারিয়ার কিছু মানসিক সমস্যা আছে সো পারলে ডাক্তার দেখাও।এরপর রবিন চিন্তা করলো যেহেতু সে বিয়ের পর পরই ব্যাবসায়িক সমস্যায় পড়েছে সেহেতু হয়ত মারিয়ার কাছে বিষয়টা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।মেডিকেলের সামনে বাসা নেওয়ার পর থেকে রবিনের কাছে মারিয়ার অতীত ইতিহাস আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে।দুর্ভাগ্য হল এত বড় মেডিকেল কলেজে মারিয়ার কোন বন্ধু নেই।বিষয়টা রবিনকে শুধু অবাকই করলো না বরং অবিশ্বাস্য মনে হল।শেষ পর্যন্ত রবিন,মারিয়ার অতীতের সব ইতিহাস জেনে গেলো।বিয়ের আগে তার ৭টা ছেলের সাথে সম্পর্ক এবং সবচেয়ে ভয়াবহ যে বিষয়টা সেটা হল সে কলগার্ল সার্ভিসে জড়িত থাকা।রবিন যতটুকু জেনেছে তাতে কমপক্ষে ৩টা ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফের।এদের সাথে কক্সবাজার,সিলেট এবং বান্ধরবন ঘুরে বেড়িয়েছে।এর মধ্যে তার এক ক্লাসমেটের সাথে ৪ বছরের হাজবেন্ড এন্ড ওয়াইফের মত সম্পর্ককে ফাইনাল প্রফ শেষ হবার সাথে সাথে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।রবিনের কাছে এসব খবর আসার পর সে কিছুটা বিশ্বাস করেছে কারন বিয়ের পর প্রতিটা ছেলেই তার ওয়াইফের এই বিষয়টা বুঝতে পারে।কিন্তু দুর্ভাগ্য হল রবিন সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ ছিল।এসব বিষয়ে রবিন যথেষ্ট তথ্যা প্রমান যোগার শুরু করলো এবং এক সময় সে সফলতার সাথে মারিয়ার অতীত অপকর্মের সব তথ্যা প্রমান যোগাড় করে ফেললো যা মারিয়াকে সে কখনো বুঝতে দেয়নি এবং মারিয়ার প্রতি তার আচরনেরও কোন পরিবর্তন হয়নি। সে চেয়েছে যা হবার হয়ে গেছে এখন ভালোভাবে চললেই হয়।রবিন এটাও জানলো যে,মারিয়ার মা বাবা দুইজনের দুইটা করে বিয়ে।মারিয়ার বাবা তার মায়ের সাথে পরকিয়ার কারনে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন এবং সেই সংসারে তার চারটা ছেলেমেয়ে যাদের কারো সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তারা স্বঃস্বঃ ক্ষেতের ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত।মারিয়া সব সময় বলতো তার বাবা মায়ের ন্যাচার ভালো না।তার টাকা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না।একজন মানুষ কেমন সেটা তাদের কাছে বিচার্য নয়।তাদের বিচার্য বিষয় হল শুধুমাত্র টাকা।তার মেডিকেলের সবাই আমাকে বললো এটাই হল মারিয়ার ন্যাচার।সে টাকা ছাড়া আর কিছুই বুঝে না।
একদিন ঝগড়া করে মারিয়া,রবিনকে কিছু না বলে তার বাবার বাসায় চলে যায়।রবিনও আর তারে কিছু বলে নাই।একদিন সে কল দিয়ে বলল যে,সে চলে আসবে কারন তার ছোট ভাই তার গায়ে হাত তুলেছে।রবিন বলল চলে আসতে কারন যেহেতু মারিয়া তার স্ত্রী সেহেতু মারিয়া কোন ভুল করলে সেটা রবিনকে বলতে পারে কিন্তু তার ছোট ভাই তার গায়ে হাত তুলতে পারে না।মারিয়া চলে আসার পর রবিন ঘটনা জিজ্ঞেস করলে সে জানালো যে,তার বাবা তাকে প্রাইভেট মেডিকেলে পরিয়েছে সো এখন তার ছোট ভাই দেশের বাইরে যাবে কিন্তু তার বাবা টাকা দিতে পারতেছে না।তাই সে মারিয়ার কাছে টাকা চাচ্ছে।এটা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ছোট ভাই তার গায়ে হাত তুলেছে।রবিন তার শাশুড়িকে কল দেওয়ার পর তার শাশুড়ি বলল ছোট ভাই এখনো ছোট মানুষ।সে গায়ে তুলছে এতে তেমন কোন ক্ষতিতো হয়নি।মারিয়া চুপ থাকলেত কোন সমস্যা ছিল না।সেদিন রবিনের কাছে মারিয়ার পরিবারের আচরন পরিষ্কার হয়ে যায়।এর মধ্যে মারিয়ার পরিক্ষা শেষ হয়ে যায় এবং পরিক্ষা শেষের পর মারিয়া আর তার মেডিকেলের সামনে থাকতে রাজি হল না।তাই রবিন বাসা পরিবর্তন করলো।যদিও এগুলু করা রবিনের জন্য তখন অনেক কষ্টের ছিল তারপরেও মারিয়ার বড় বাসার দাবি সে পুরন করলো।
রবিনের পরিবার মারিয়াকে অনেক বেশি পছন্দ করতো।রবিনের মা এবং বোনেরা মারিয়ার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলতো।এক কথায় মারিয়াকে মাথায় তুলে রেখেছিল।একটা সময় শুধু টাকার জন্য সবার সাথে সম্পর্ক খারাপ করে ফেললো।এবং মারিয়ার মা রবিনকে চার্জ করলো কেন রবিনের পরিবার,রবিনের বিষয়ে মাথা ঘামাবে।এই ঘটনার পর রবিন খুব সিরিয়াসলি রিয়েক্ট করে।যাই হোক রবিন দুই পরিবারের মন রক্ষা করারা চেষ্টা করে যাচ্ছে।উল্লেখ্য রবিন তার স্ত্রীকে আলাদা বসবাস করতেন।
একদিনের ঘটনা ঝগড়ার সময় মারিয়া রবিনের শরীর থেকে নক দিয়ে গোশত তুলে ফেলছে।সে তারা বাসায় কল দিয়ে বলেছে রবিন তার গায়ে হাত তুলেছে।সাথে সাথে তার বড় বোনের হাজবেন্ড এবং ছোট ভাই রবিনের বাসায় হাজির।তারা স্বচক্ষে দেখে গেলেন রবিনের হাত এবং বুক থেকে রক্ত ঝড়তেছে।কিন্তু তারা কোন বিচারতো দুরের কথা একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করলো না সমস্যা কি।পান থেকে চুন খসলেই মারিয়া তার বাবা মাকে কল দিয়ে বলতো কিন্তু কোনদিন মারিয়ার মা বাবা বা পরিবার রবিনকে একথা জিজ্ঞেস করেনি যে সমস্যা কি??বা মারিয়া যা বলে তা সত্যি কিনা??
সেপ্টেম্বর,২০১৯ এর কোন একদিন রবিনের কাজিন তাদের দাওয়াত দিলো।যেখানে রবিনের পুরু আত্মীয় স্বজন উপস্থিত থাকবে।যথারীতি রবিন মারিয়া রাতের বাসে চট্টগ্রামে রওয়ানা হবে।বাসা থেকে নেমে ষ্টেশনে যাওয়ার পথে দুইজনে ঝগড়া করলো।ষ্টেশনে পৌঁছে কাউন্টারে বসে রবিন,মারিয়াকে চিপস এবং পানির বোতল কিনে দিলো।কারন মারিয়া চিপস খেতে পছন্দ করে।কাউন্টারের সর্ব সাকুল্যে ২০-২৫ জন মানুষ ছিলো।মারিয়া সবার সামনে চিপস এবং পানির বোতল ছুঁড়ে ফেলে দিলো।রবিন মুখটা নিচু করে কাউন্টার থেকে বেরিয়ে গেলো এবং তার দুই চোখ থেকে পানি ঝরতে শুরু করলো।কারন সে মারিয়াকে পাগলের মত ভালোবাসতো।রাতের বেলা অন্য ছেলেদের কথা বলা,দেখা করা,সিনেমা দেখতে যাওয়া,অতীতের জগন্য ইতিহাস জানার পরেও সে মেয়েটাকে ঘৃণা করতে পারেনি।অবশেষে সকালের দিকে তারা চট্টগ্রাম পৌছালো।এটা হল রবিনের সব আত্মীয় স্বজনের সামনে মারিয়ার প্রথম যাওয়া।দুপুরের দাওয়াতে সব মেহমান আসা শুরু করলো।রবিনের মা ভাই বোন সবাই আসলো কিন্তু মারিয়া রুম থেকে বের হয় না।একটা ছেলের জন্য এটা কি পরিমান মর্যাদাহানিকর সেটা একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না।দিনের ৩টার দিকে রবিন তারে রুম থেকে বের করতে পারলেও সে সবার সামনে ভয়াবহ সিনক্রিয়েট শুরু করলো।সেটা স্থায়ী রাত ১১টা অবধি।রবিনের সব আত্মীয় স্বজন রবিনকে দোষ দিতে লাগলো মারিয়া যে এমন সেটা জেনে শুনে কেন সে মারিয়াকে নিয়ে গেলো।অবশেষে রাতের ২টার দিকে মারিয়াকে কোন রুমে ডুকিয়ে রবিন তার গায়ে হাত তুলে।জোড়ে চড় মারার কারনে মারিয়ার ঠোঁট ফেটে যায়।সেই রাতে ফজরের আজান দেওয়ার পর চোরের মত সবার অগোচরে সে চট্টগ্রাম থেকে চলে আসে।আসার পর মারিয়া বলল যে তার পেটে ক্ষিধা লাগছে।রবিন দ্রুত রান্না করে তাকে খেতে দিলো।ইতিমধ্যেই রবিন দেখলো যে,তার শ্বশুড় শাশুড়ি তার বাসায় হাজির।তারা এসে রবিনকে কিছু জিজ্ঞাসা না করেই মারিয়াকে নিয়ে চলে গেলো।এই অবস্থায় মারিয়ার সাথে রবিনের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল।মারিয়া সব সময় বলতো তার সাথে ইন্টার্ন করা এক বড় ভাই এবং বড় বোনকে সে তাদের মধ্যকার ঝামেলার কথা বলছে।তখন রবিন বলল যে, সেই দুই বড় ভাই বোনকে বাসায় নিয়ে আসতে।তাহলে তারা দুইজনের কথা সামনা সামনি শুনে একটা সমাধান দিতে পারবে কিন্তু সে কোনদিন তাদের বাসায় আনেনি কারন সে জানতো সমস্যা কোথায়। এই সময়ে একদিন দুপুরের দিকে খবর আসলো মারিয়া তার সাবেক এক বয়ফ্রেন্ডের সাথে ডেটিংয়ে বের হয়েছে।রবিন তাদেরকে ফলো করে নিশ্চিত হল এবং তার পরিবারকে বিষয়টা জানানোর পর তার বড় বোনের হাজবেন্ড খবর নিয়ে নিশ্চিত হল কিন্তু কোন বিচার হয়নি।এরকম আরো অনেকদিন ঘটলো।এর মধ্যেই তার কলেজের প্লেবয় খ্যাত তার চার বছরের সিনিয়র এক ছেলের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করলো।যেটা নিয়ে ঐ ছেলের প্রেমিকার সাথে তার মারামারিও হয়েছে।সব কিছুই রবিনের কানে আসতে থাকে।এই সময় রবিন চেষ্টা করেছে তার পরিবারের সাথে বসার।রবিনের ব্যাবসায়িক পার্টনারদের দিয়েও চেষ্টা করেছে তার পরিবারের সাথে বসে বিষয়টা সমাধানের কিন্তু কিছুতেই তার বসেনি।এরপর রবিন মারিয়া যে সিনিয়রের সাথে ঘনিষ্ঠ তার সাথে যোগাযোগ করলেন যাতে তারা মারিয়াকে নিয়ে রবিনের সাথে বসতে পারে।সেই সিনিয়র বলল যে,সে বসতে চাইবে না কারন সে চরম মিথ্যা কথা বলে এবং তা মা তাকে মিসগাইড করে।যাই হোক ওনার পরামর্শ অনুযায়ী একদিন রবিন তার কলেজে গেলো।তখন তার ডিউটি ছিল সার্জারি ডিপার্ট্মেন্টে।রবিনকে দেখে সে নিছে নেমে আসতে আসতে শুরু করলে,রবিন তার পিছনে পিছনে নেমে আসতে থাকলো।যাতে বিষয়টা কেউ বুঝতে না পারে।রবিন শুধু তাকে বলল যে,’’মারিয়া আমি কথা বলতে এসেছি,কথা বলে চলে যাবো।দয়া করে সিনক্রিয়েট করিও না’’।কিন্তু কে শুনে কার কথা।মারিয়া হসপিটাল ভবন থেকে নেমে কলেজ ভবনে প্রবেশ করলো।রবিনও তার পিছনে পিছনে হাঁটতে থাকলো।একটা সময় রবিন আবিস্কার করলো যে তারা লাইব্রেরিতে।লাইব্রেরির সামনে নেমপ্লেট না থাকার কারনে রবিন সেটা বুঝতে পারেনি।লাইব্রেরীতে ডুকার পর মারিয়া লাইব্রেরিয়ানকে বলল ভাই এই ছেলেটা বহিরাগত,আমাকে ডিস্ট্রার্ব করতেছে,তারে এখান থেকে বের করে দেন।এরপর রবিন দুই চোখের পানি ছেড়ে ওখান থেকে বের হয়ে গেল।নিচে নেমে সেই সিনিয়র আপুকে কল দিলে তিনি নিচে নেমে আসেন।ঘটনা শুনে ওনারা জিহবা কামড় দিলেন।আরো কিছু বন্ধু বান্ধব ওখানে জড়ো হলেন এবং সবাই এক বাক্যে রবিনকে পরামর্শ দিলো যে,যত দ্রুত রবিন এই সম্পর্ক থেকে সড়ে যেতে পারবে ততই রবিনের জন্য মঙ্গল।সেই দিন জানলাম কলেজে তাকে সবাই মেন্টাল নামে ডাকে।এই ফাঁকে রবিন দেখলো তার শাশুড়ির নাম্বার থেকে কল আসতেছে।রবিন কল রিসিভ করার পর মারিয়ার ছোট ভাই রবিনকে খুব বিশ্রি ভাষায় গালাগাল শুরু করলো।এরসব কিছুই রবিন মারিয়ার পরিবারের সবাইকে জানিয়েছে কিন্তু কোন বিচার হয়নি।একটা সময় মারিয়ার আমেরিকা প্রবাসি বড়(তার বাবার আগের ঘরের বড় মেয়ে) বোন দেশে আসলো।তিনি রবিনের জন্য কিছু গিফট এনেছিলেন কিন্তু সেগুলু রবিনকে দেওয়া হয়নি।তার আর কিছু আত্মীয় স্বজন রবিনের জন্য আরো কিছু গিফট দিয়েছিলেন কিন্তু সব কিছুই তার শাশুড়ি গোপন করে ফেলতো।তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে উল্টো ইজ্জত নিয়ে পালাতে হয়েছে।পরিশেষে রবিনের সাথে মারিয়ার যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হল।কিন্তু বাধ সাধলো তার পরিবার।মারিয়ার পরিবার চাচ্ছিল না যে,মারিয়ার সাথে রবিনের যোগাযোগ হোক।একদিন তার ছোট ভাই রবিনের সাথে কথা বলার অপরাধে মারিয়াকে মারতে উদ্ধ্যত হল।তখন মারিয়া রবিনকে কল দিয়ে বলল যে সে চলে আসতে চাই।রবিনও সায় দিল কিন্তু পরিবার আসতে দিবে না।অবশেষে একদিন ফজরের পর চুরি করে সে রবিনের কাছে চলে আসে।অর্থাৎ মেয়ে তার হাজবেন্ডের কাছে এবং সেটাও চুরি করে।এই দীর্ঘ সময়ে রবিন,মারিয়ার মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পেরেছে যে,মারিয়া তার এলাকার এক ফ্লেক্সী লোডের দোকানদারের সাথে ১৪ দিনে ৪৩ ঘণ্টা কথা বলেছে।তার সাবেক এক বয়ফ্রেন্ডের সাথে এক মাসে কথা বলেছে ১৬৭ ঘন্টা।বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কথা বলা শুরু হত তার ১১ টার পর।যাই হোক মারিয়া রবিনের কাছে আসার পর সব কিছুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করলো এবং রবিনও সব মেনে নিলো।ইতিমধ্যে রবিনের ব্যাবসাও আস্তে আস্তে ভালো হতে শুরু করলো।একটা ওনারারী জব করলো সেখান থেকে মোটামুটি পরিবারের খরচ আসতে শুরু করলো সাথে ব্যাবসাও শুরু হলো।মারিয়ার গাড়ির শখ ছিল।রবিন তাকে কথা দিয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাকে একটা গাড়ি কিনে দিবে।একদিন সেই ফেক্সিলোডের দোকানদারের সাথে সে ৬৫ মিনিট কথা বললো এবং রবিনের হাতে ধরা পরলে রবিন তার গায়ে হাত তোলে।তখন কোরান শরিফে হাত দিয়ে শপথ করেছে যে,প্রফেশনাল দরকারের বাইরে সে অন্য কোন ছেলের সাথে আর কথা বলবে না।যেহেতু তার কোন বন্ধু বান্ধব নেই।
এভাবে চলতে থাকলো।প্রায় প্রতিদিন ঝগড়া লেগে থাকলো।শুধুমাত্র টাকার জন্য।তার পরিবারও তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।একমাত্র তার চাচী ছাড়া আর কেউ তার সাথে কথা বলে না।রবিন একজন আলেমা ঠিক করে দিলেন যাতে সে কোরান এবং নামাজ পড়া শিখতে পারে।এর মধ্যে যে মেয়েটার মাধ্যমে সে কলগার্ল সার্ভিসে যুক্ত হয়েছিল সেই মেয়েটার সাথে সে যোগাযোগ শুরু করলো।যেটা রবিনের বুঝতে সময় লেগেছিল।তার কলেজের সিনিয়র এক ছেলে যে প্লে বয় নামে খ্যাত তার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করলো।রবিন নিয়মিত তার মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাক করে বুঝতে পারলো যে,সে বিভিন্ন মেটরমোনি সাইটে পাত্র খুজতেছে।রাতের বেলা বিভিন্ন ছেলেদের সাথে কথা বলা কন্টিনিউ হতে থাকলো।একদিন রাতের বেলা মোবাইলে অন্য ছেলের থেকে মোবাইলে টাকা আনাতে গিয়ে সে রবিনের হাতে ধরা পড়লো।এটা ছিল ২০২০ সালের রমজানের কথা।রবিন এই ঘটনা তার চাচীকে জানালে ঝগড়া বাড়তে শুরু করে।রবিন চুপচাপ সব দেখতে থাকলো।অবশেষে ১৪ই রমজান রবিন ঘুমে থাকা অবস্থায় সে বাসা থেকে পালিয়ে তার বাবার বাসায় চলে যায়।বাবার বাসায় চলে যাবার পর রবিন তার শ্বশুরকে একটা চিঠি লিখে।যেখানে বিয়ের পর থেকে সে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সব ঘটনার বর্ণনা ছিলো।এরপর রবিন তার শশুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু তারা কোনভাবেই যোগাযোগ করেনি।পরে তারা মহিলা পরিষদ নামক এনজিওতে রবিনের নামে অভিযোগ দাখিল করে যে,যৌতুকের জন্য রবিন মারিয়াকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অত্যাচার করে।মহিলা পরিষদ থেকে রবিনকে কল দিয়ে ঘটনা জানতে চাওয়া হয়।রবিন সব প্রমান জমা দেন।মহিলা পরিষদ থেকে রবিনকে জানানো হয় যে,তারা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবেন।এরপর মহিলা পরিষদ অনেক চেষ্টা করেও মারিয়া এবং তার পরিবারকে বসার জন্য রাজি করাতে পারে নাই।এরপর তারা থানায় রবিনের নামে জিডি করে।থানা থেকে রবিনকে ডেকে নেয়া হলে রবিন থানায় গিয়ে মারিয়ার অপকর্মের সব ডকুমেন্ট জমা দিয়ে আসে।থানা থেকেও দুই পক্ষকে নিয়ে বসার চেষ্টা করা হয় কিন্তু মারিয়া এবং তার পরিবার রাজি হয়নি।
ইতি মধ্যে রবিন,মারিয়ার সব অপকর্মের ডকুমেন্টস তার পরিবার,আত্মীয় স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের দিয়ে দেয় কারন সে সবার কাছে বলে বেড়াচ্ছিল যে,যৌতুকের জন্য রবিন তাকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে টর্চার করতো।তাই সবাইকে সব প্রমানগুলু দেয়া দরকার ছিল।এরপর তাদের পক্ষ থেকে তালাকের নোটিশ ইস্যু করা হয় যেটা রবিনের চিন্তার বাইরে ছিল।মারিয়ার আপন চাচা,চাচী,বোন,বোনের হাজবেন্ড,চাপাতো ভাই বোন,মামারা সবাই রবিনকে পরামর্শ দিয়েছিল যে,তার সাথে সংসার সম্ভব নয় কারন তার মা খারাপ।তার বাবা তার মার অনুমতি ছাড়া ওয়াশ রুমেও যায় না।সবাইকে অনুরোধ করেছি দুই পরিবারকে নিয়ে বসার জন্য কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি কারন ঐ পরিবারে মুরব্বি হল মারিয়ার মা এবং ইন্টারমিডিয়েটে পড়া তার ছোট ভাই।রবিন সব দিক থেকে চেষ্টা করেছে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে।সে জন্য এক সময় রবিন তার পরিবার নিয়ে মারিয়ার বাসায় হাজির হয়।কিন্তু সেখানে রবিনের পরিবারকে অপমান করা হয়।যার কারনে তার বড় বোনের হাজবেন্ড রবিনের মায়ের কাছে মাফ চেয়েছেন।সেইদিন মারিয়া তার সব আত্মীয় স্বজনের সামনে রবিনের গায়ে হাত তুলে।
এত কিছুর পরেও রবিন এখনো চিন্তা করতে পারেনা যে মারিয়া তার স্ত্রী নয়।আপনারা যারা এই লেখা পরবেন তারা হয়তো ভাববেন এত কিছুর পরেও রবিন কিভাবে এই মেয়েটাকে আশা করে।সিম্পল উত্তর হল এটাই ভালোবাসা।রবিন এই মেয়েটার জন্য করে নাই এমন কিছু নেই।রান্না করে খাওয়ানো থেকে কাপড় ওয়াশ করে দেয়া।সব কিছুই করেছে।
এখনো রবিনের প্রতিটা মুহূর্ত কাটে মারিয়াকে কেন্দ্র করে।এমন কোন মুহূর্ত রবিনের জীবনে নেই যে মুহূর্ত সে মারিয়ার কল্পনা ব্যাতিত কাটাতে পারে।এখনো সে প্রতিটা মুহূর্ত অপেক্ষা করে কখন মারিয়া তার জীবনে ফেরত আসবে।শুধুমাত্র গার্ডিয়ানের অবহেলায় একটা জীবন কিভাবে নস্ট হয়ে যায়…………।।
রবিন এখনো আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে আছে মারিয়ার আশায়…………………………।এটাই ভালোবাসা। এটাই ভালোবাসার সম্পর্ক।এই ভালোবসার কারনে প্রেয়সীর শত খারাপ গুনও মেনে নেয়া যায়।এই ভালোবাসার কারনে দুনিয়া হয়তো আজো টিকে আছে।ভালো থাকুক ভালোবাসারা।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×