উইকিলিকসের ফাঁসকৃত তথ্য মতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মামুনুলের হকের পিতা আল্লামা আজিজুল হককে পছন্দ করতেন।সেই পছন্দের সুবাদে ওনি আল্লামা আজিজুলের হকের নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিশকে চারদলীয় জোট থেকে বাগিয়ে ২০০৬ সালে আওয়ামীলীগের জোটে নিয়ে গিয়েছিলেন।সেই সময় আব্দুল জলিলের সাথে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আল্লামা আজিজুল হকের সাথে একটা সমযোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল।অবশ্য আল্লামা আজিজুল হককে লীগের প্রথম টার্মে গ্রেফতার করে অস্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।সেই আল্লামা আজিজুলের পুত্র এখন খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব।এখন দেখতেছি মামুনুল হক সাহেবের শশুর একজন আওয়ামীলীগ নেতা।সরকার তার বিয়ে এবং সেই পরিবার নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিল অনেক আগে থেকেই।আর মামুন সাহেব বিদ্রুহ করতে চাইলে সরকার এখন এই গুটিটাই খেলবে সেটা পরিষ্কার।শফি সাহেবকে সরকার কাবু করেছিলো তার গুনধর পুত্র আনাসের দুর্নীতি দিয়ে।আর এখন মামুন সাহবকে কাবু করবে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে।অন্য যাদের এই বিষয়টাতে সমস্যা নেই তাদের কাবু করবে ব্যাংক হিসেব দিয়ে।হেফাজত এবং নব্য আহলে হাদিস/সালাফিদের অর্থের বিশাল একটা যোগান আসে দেশের বাইরে থেকে।সেটা সরকার ভালো করেই জানে।বিশেষ করে সৌদিআরব থেকে।সেই অর্থের বিনিময়ে তারা রাজনীতি বিমুখতার ফওয়া দেন।ইতিমধ্যে সরকার বাহাদুর হেফাজত এবং তাদের সাথে ন্যুনতম সংশ্লিষ্টতা আছে এমন সবার ব্যাংক হিসেব তলব করেছেন।হেফাজত নেতাদের সামনে বার্তা পরিষ্কার।চোখ বুঝে সব সহ্য কর,না হয় জেলে যাও।আপনারা যে খিড়কি দিয়ে আকাশ দেখেন সেই খিড়কিটা দেশের প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাজনৈতিক শক্তি অনেক আগেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।আল্লাহ কাউকে ছেড়ে দেন না।বিশেষ করে যারা ইসলামে পণ্ডিত তাদেরকে আল্লাহ সবার আগে পাকড়াও করেন তাদের অপকর্মের জন্য।আমার মত অনেকেই আপনাদের কওমি ঘরানার মাদ্রসা এবং শিক্ষার বিরুধী।কিন্তু যখন আপনাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়,অপমান করা হয় তখন বুকটা হাহাকার করে উঠে।অনেকেই আপনাদের জন্য ময়দানে নামে এখনো।এটা শুধু আপনাদের জন্য নয়।এটা ঈমানের তাগিদে।আপনারাও ঈমানের তাগিদ দেখান তাহলে হয়তো এ যাত্রায় রক্ষা পাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৯