ছাত্রলীগের মহাসন্ত্রাসের একটা ভয়ঙ্কর রূপ হলো ইভ টিজিং নামে প্রচলিত জিনিসটা, যাকে আমরা বলতে পারি নারীর উপর ভাষিক সহিংসতা। শারীরিক সহিংসতাও নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের উত্তক্ত্য করার একটা নতুন আঙ্গিক তৈরী হয়েছে হলের সামনে ছাত্রলেিগর দৃষ্টিকটু মোটর সাইকেল মোহরা। এরই মধ্যে কোনো কোনো মেয়ে শিক্ষার্থীর পড়ালেখাও বন্ধ হয়েছে। হলের সামনে এসে জোরপূর্বক চুমু খাওয়া, প্রেমে রাজি না হলে মারধর করা, অযাচিতভাবে ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা, শরীর ও চোখে বাজে ইঙ্গিত করে মেয়েদের উত্যক্ত করা, বাজার করে ফিরতে থাকা মেয়েদের বাজার কেড়ে নেয়া এগুলো নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। এইতো গত ৪ জুলাই খালেদা জিয়া হলের সামনে ছাত্রলীগের ছেলেরা মেয়েদের উত্যক্ত করবার সময় গণযোগাযোগ বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ মামুন তার প্রতিবাদ করে। সে সময় বিষয়টি বেশিদূর না গড়ালেও পরের দিন এই ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের ১০/১৫ জন কর্মী মামুনকে মুন্নুজান হলের সামনে মারধর করে। এই আচরণ ছাত্রলীগের ক্ষমতা কর্তৃত্বের চরম বহিপ্রকাশ।
সারাদেশে আজ আমরা পিষ্ট হচ্ছি মহাজোট সরকারের ‘গণতান্ত্রিক সন্ত্রাস’ দ্বারা। ভোট জিতে, গণতন্ত্রের লেবাস পড়ে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে গোটা দেশটাকে যেমন কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে, তেমনি করে বিশ্ববিদ্যালসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ ও পুলিশ প্রশাসন দিয়ে কুক্ষিগত করে রেখেছে তারা। দেশটা তাদের, বিশ্ববিদ্যালয়টা তাদের, আমরা শুধু যেমন নাচাবে তেমন নাচব! এই হলো মোদ্দা কথা। যারা এট মানতে চাইবে না, তারা মার খাবে, খুন হবে, ব্যাস। কিন্তু যে রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সায়ত্তশাসন খর্ব করে, সেই রাষ্ট্রের কর্ণধার সাহারা খাতুনের পুলিশ বাহিনী এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাস বাহিনী ছাত্রলীগ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জেনে রাখা ভালো সেনা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধেও লড়বার ইতিহাস আছে যাদের, এভাবে চলতে থাকলে তারা আর চুপ করে বসে নাও থাকতে পারে।
লেখাটি নিয়েছি আমার ফেসবুকের এক ফ্রেন্ড বাঁধন অধিকারীর নোট থেকে। যিনি একসময় কালের কন্ঠের Sub Editor (Editorial Section) ছিলেন।
পুরা লেখাটি পড়তে এই লিংকে যান- Click This Link