চিত্রার জীবন চাকরি করে ভালোই যাচ্ছিল। ব্যক্তিজীবনে চিত্রার কিছু ইউনিভার্সিটির বন্ধু আর বাবা মা সাথে কাজিনদের নিয়ে আড্ডা। আর এখন জলি বলতে গেলে সব, অফিসে গেলে মার চিত্রার মা জলিকে দেখে আর অফিস থেকে ফিরলে চিত্রা জলি নিয়ে ব্যস্ত। জলি এক অবাক করা কুকুর ছিল, আনার পর একদিন সে বিছানায় হিসু করে দিয়েছে এর পর সে আর কোন দিন বিছানায় এসব করে নাই। ওকে প্রথম কয়েকদিন এদিকে ওদিকে চিপায় টয়লেট করতে দেখা করা গেলও পরে ওয়েল ট্রেইন আপ করায় বাথরুমে যাওয়ার অভ্যাস রপ্ত করানো যায়। এর পর নিজে নিজে সে একাই চলে যেতো বাথরুমে। মোটামোটি বেশ পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করতো সে, এমনকি যদি বাথরুমে পানি থাকতো ভিতরে যেত না। একবার ফুড পয়জন হয় জলির। একটা কুকুর এক মাস ভাত না খেয়ে বেচে থাকতে পারে সে সময় টের পাওয়া গেল। যা খেতো বমি করে দিতো, বমি আসলে বাথরুমে গিয়ে করতো এই অসুস্থ অবস্থায়। অবশেষে অনেক ট্রিট্মেন্ট করে তাকে বাচানো গেলো। জলি অনেক লক্ষ্মী কুকুর। তাকে চিত্রা কিছুদিন নিয়ে বাসার নিচে হাটাহাটি করতে গেল। ভেবেছিল ভালো অভ্যাস হবে, সেটা আর করতে পারলো না। বিল্ডিঙয়ের কিছু মানুষ এটা পশন্দ করতো না। অথচ জলি কিন্তু কাউকে কামড় দেই নি কিংবা কোন ক্ষতি করে নাই কারো। রাস্তার কুকুর বাসায় পালা যদি বিদেশী হতো হইতো সাদরে গ্রহন হতো। এভাবে জলির বাইরে হাটা বন্ধ হয়ে গেল। বাসায় থাকতো জলি, বাসায় থাকতে থাকতে এমন হলো যখন ডাক্তারের চেক আপ থাকতো ওকে বের করা কষ্টের হয়ে যেত। এভাবে জলি বেশ পরিণত হয়ে উঠে সকল ভালো গুণ থাকলেও, শুধু মাত্র বাইরে চলার অভ্যাসটা সে রপ্ত করতে পারে নাই। জলি সব ধরণের খাবার খেতো, সবজী থেকে নানা রকম ফল সে খেতো,করলা ভাজি জলির খূব প্রিয় ছিল। এভাবে বেশ ভালো কাটছিল জলি সহ জীবন । ……to be continued
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


