somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

তেঁতুল গাছের ভুত, ও আমার বাস্তবে ভুত দেখা। , আসুন জেনে নিই

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[গুগল মামুর ছবি))


ছোট যখন ছিলাম। তখন আমাদের এক দাদি ছিল। তাকে আমরা সবাই বুবু (বোন) ডাকতাম। আমরা রোজ উঠোনে তার সাথে ঘুমাতে যেতাম। গল্প শোনার পর যার যার ঘরে যেতাম। তিনি প্রাই বিভিন্ন গল্পে তেঁতুল গাছের ভুত সম্পর্কে গল্প বলতো
১)
আমাদের ফুফুর বাড়িতে একটা তেঁতুল গাছ ছিলো, তো কেউ তার নিচে যেতোনা। কারন একটা কথিত কাহিনী আছে। কাহিণী হল অনেক আগে এক লোক এই গাছের নিছে একটা কিছুকে গাছে উঠে যেতে দেখেছিল। মনে হয়েছিলো কোন সাদা কাপড় পড়া মহিলা। আরেকবার কাকে জানি অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখ দিয়ে লালা ঝাড়ছিল। অবস্থা খুব খারাপ ছিল।

২) এটা সত্য কাহিণী। এক লোক ছিল তার বাড়ি ছিল একটা বাশ বাগানের ভিতর। তার ঘরের উত্তর পাশে একটা তেঁতুল গাছ ছিলো। তো সেই সময় মানুষ অনেক রাতে বাজার হতে আসতো। তো সে একদিন অনেক রাতে যখন ওই পথ দিয়ে আসছিলো, ওই লোক অভ্যাস অনুযায়ী একটা বিড়ি হাতে নিলো। আর গাছের নিচে বসলো। সে গাছে কিসের আওয়াজ শুনলো। আর তার শরীর খারাপ লাগতে লাগলো আর জ্ঞান হাড়ালো। পড়ে আরেক লোক যখন ওই পথ দিয়ে আসছিল দেখে সে পড়ে আছে। আর সে সব কাহিনী খোলে বলে।

৩)তখন আমরা ছোট ছিলাম। একদিন খালার বাড়ি গেলাম। ওই এলাকা এতো ঘন জংগলে যে তখন ঘরের উঠোনে শিয়াল আসতো । আর তাদের এলাকার এক মহিলার বাচ্চাকে সেই শিয়াল নিয়ে গিয়েছিলো তাও আবার ঘর থেকে। তো আমি গিয়ে শুনি তাদের বাড়ির উত্তরে একটা তেতুল গাছ আছে । সেখানে অনেক ঘন জংগল দিয়ে ঢাকা। এতো ঘন জংগল যে দিনেও মানুষ যেতে ভয় পায়। তো সেখানে পেত্নী থাকে। এই পেত্নী রোজ রাতে আগুন জালায়। রোজ না হলেও মাঝে মাঝে। তো আমার ভাই আমাকে বললো জীবনে পেত্নী দেখেছো? আমি বললাম না । তো আজ দেখাবো । কোন কথা বলবে না কাউকে বলবে না। রাতে চুপি চুপি যাবো । আর তোমাকে দেখাবো। আমি খুব
ভয়েও আছি আবার দেখার খুব ইচ্ছা। যে পেত্নী কেমন হয়। তো রাত হল। আমরা বাড়ির পশ্চিম দরজা খোলে তার পিছনে গেলাম। অনেক রাত, চারদিকে অন্ধকার। কিছু দেখা যাচ্ছে না। তো দূরে একটা আলো মিটি মিটি করে জলে। সাধারণ আগুনের মতো নয়। এটা একটু বেগুনী হবে আবার মানে অন্য রং এর। তো সেদিন ভাবলাম যা এতোদিনে মনের আশা পুরন হল। পেত্নী দেখলাম তার আগুন দেখলাম। আবার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা লাগছিল। না জানি ওই পেত্নী আমাদের দেখে ফেলে। সেদিন রাতে একদম ঘুম হয়নি ।


আসুন এই ঘটনা গুলো ব্যাখ্যা করি ।


তখন জানতাম না যে পচা ময়লা আবর্জনা পচে কোন ঢোবা বা পুকুরে জমা হলে সেখানে মিথেন গ্যাস হয়। আর যা বাতাসের স্পর্শে এলে জ্বলে ।

জলাভূমিতে নানারকম জৈব পদার্থ পচে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই কারণে একে marsh gas ( জলাভূমির গ্যাস) বলা হয়। অনেক সময় এই গ্যাস জলাভূমির উপরে উঠে আসার পর বাতাসের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে। রাতের বেলায় জলাভূমিতে এই জ্বলে উঠা মিথেনের আলো ছোটছুটি করতে দেখা যায়।
আমি তখন এটাও জানতাম না যে
তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ প্রভৃতি বড় গাছের ডালপালা ছড়ানো থাকে। সন্ধ্যার পর গাছের সালোক সংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, শুধু চলে শ্বাস-প্রশ্বাস। এ সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়। এই গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী বলে গাছের নিচে জমা হয়। তাই কেউ যদি রাতে এসব বড় গাছের নিচে ঘুমায় তাহলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষক্রিয়ায় সে জ্ঞান হারাতে বা এমনকি মারাও যেতে পারে। এ থেকেই প্রচলিত ধারণায় বলা হয়, তেঁতুল (অথবা বট) গাছে ভূত-পেতনি থাকে, রাতে সেখানে কেউ গেলে ঘাড় মটকে খায়!।




এক প্রকার জৈব রাসায়নিক যৌগ। এতে একটি কার্বন পরমাণু ও চারটি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। এর রাসায়নিক সঙ্কেত CH 4 । জৈব রসায়নে মিথেনকে বলা হয় — সম্পৃক্ত
হাইড্রোকার্বন -এর প্রথম এবং সরলতম যৌগ। সরলবন্ধনীর বিচারে এই যৌগটি
এ্যালিফেটিক। ১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্যাসটি প্রথম শনাক্ত করেন ভোল্টা।
এটি একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন গ্যাস। প্রাণীদেহে এই গ্যাস বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে না। পানিতে এই গ্যাস সামান্য দ্রবীভূত হয়। এ্যালকোহল ও ইথারে প্রচুর পরিমাণে দ্রবীভূত হয়। এর গলানাঙ্ক : -১৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্ফূটনাঙ্ক : -১৬৪-১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান সংগ্রহ)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×