somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আশরাফিয়া এমনই , তোমাদের কোন সমস্যা?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কলেজের প্রথম দিন, রিয়াজ কলেজে তাদের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করলো । নিজ জেলা শহর থেকে এইখানে এসে সম্মান শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে । তাই কাউকে চিনেনা। কক্ষে প্রবেশ করেই চিন্তা করলো কারো সাথে পরিচয় হলে ভালো হয়। কার সাথে গিয়ে বসবে? দেখলো কক্ষের শেষ প্রান্তে একটা মেয়ে বসে আছে, পাশেই একটা ছেলে। মনে হল তারা সব থেকে আলাদা বসে আছে । মেয়েটি খুব চটপটে আর কথা বলতে পারে মনে হল। কিন্তু তার পরেও সে সব মেয়েদের থেকে আলাদা ছেলেদের পিছনে বসে আছে কেন? রিয়াজ সেই শেষ মাথায় গিয়ে বসলো।

ছেলেটির নাম হাসান। ছেলেটিই তাকে বললো। আর হাসান পরিচয় করিয়ে দিলো, মেয়েটির সাথে, নাম আশরাফিয়া । যেই পরিচয়, সাথে সাথে সে বলে উঠলো, আশরাফিয়া নামটা শোনে অবাক হলে? বাবার নাম আশরাফ হোসেন। তাই এই নাম , কি ভালোনা ।
হাসান বলে উঠলো, সবাই তাকে আশরাফ ভাই বলে ডাকে। বিশেষ করে আমাদের ক্লাসের মেয়েরা । আমরা এইস এস সি তে একই কলেজে ছিলাম।

আশরাফিয়া বললো, আর তোরে যে সবাই চিপা গলির মাস্তান ডাকে, সেটাও বল । বান্দর মার্কা কার্বন কপি ডাকে ।

হাসান ভেংচি কাটলে। আশরাফিয়া বলে উঠে, আশরাফিয়া এমন ই, তোর সমস্যা?

রিয়াজের সাথে তাদের দুজনের খুব ভালো পরিচয় পর্ব হয়। রিয়াজ মেয়েটির এমন খেয়ালিপণা দেখে অবাক আর পাশাপাশি ভালোও লাগছে।

মেয়েটি দেখতে ছোট খাট মনেই হয়না সে অনার্সে পড়ে । যে কেউ বলবে স্কুলের ছাত্রী । আর আচরণ অনেকটাই পঞ্চম শ্রেণির মেয়েদের মতো ।



ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে তার আচরণ আর কথা যেনো রিয়াজের মনে নেশা ধরিয়ে দিচ্ছিলো। এ এক আজব নেশা । কোনদিন ধরা যায়না, ছোয়া যায়না। বলা যায়না, দেখা যায়না , । এমন নেশা, ।
যদিও আশরাফিয়ার পুরোনো কোন বন্ধু তার সাথে এখন আর বন্ধুত্ব রাখতে চায়না । সেটা তার আচরণের জন্য , তার কথার স্টাইলের জন্য আর সে জানে অন্য যারা ( সমাজের চোখে সুন্দরী মেয়ে) তারা তাকে ভালো চোখে দেখেনা। তার উপর তাকে আশরাফ কাকু বলে ডাকে।
তার শ্রেষ্ঠ ডায়লগ হল,
আশরাফিয়া এমন ই , তোমাদের কোন সমস্যা?


বন্ধুত্ব ঃঃ এই কয়দিনে রিয়াজের সাথে আশরাফিয়ার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে । তারা একসাথে ফুচকা খায়, কলেজের পুকুর পারে আড্ডা দেয়, আর বিজিবি ক্যাম্পের পিছনে তারা তিনজন হাটতে যায় । তাদের সুন্দর মুহুর্ত গুলো ভালোই কাটে ।

আশরাফিয়ার একটা সুন্দর অভ্যাস আছে, সে বই পড়তে অনেক ভালোবাসে। সে রিয়াজকে বলে যেনো তাকে বই এনে দেয়। কারন তার বই কিনে পড়ার ইচ্ছা নাই।
হাসান বললো, হ তোরে বই দিলে ওইটা তুই কোনদিন ফেরত দেসনা। আর যেদিন ফিরিয়ে দেস ততদিনে ওই বইটা জীবন ত্যাগ করেছে।
এইজন্য কোন মেয়ে তোর সাথে কথা বলেনা। কত জনের বই তুই ধ্বংস করে ফিরিয়ে দিয়েছিস মনে আছে ?
ফিরিয়ে দেয়ার পর সেই বই আর পড়ার অবস্থা থাকেনা। পুরাতন কাগজের দোকানে বিক্রি করে দিতে হয়।

রিয়াজ বললো আমার বাসায় আছে। তোকে এনে দিবো । ফিরিয়ে না দিলেও সমস্যা নাই । বই নিয়ে এতো হিসেব চলেনা । পড়ার পর ছিড়ে গেলেও আঠা দিয়ে লাগানো যাবে ।

আশরাফিয়া উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো। এটাও তার একটা চরিত্রের অংশ। সে পুরুষদের মতো উচ্চ কণ্ঠে হেসে উঠে ।
বললো, এইনা হলে বন্ধু। আচ্ছা যা তোর সব বই আমার । আমাকে এনে দিবি ।



আশরাফিয়া একটা ঘুর্ণিঝড়, । কথা তার জীবন্ত ঢেউ। ঝাপটা দিয়ে এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় । মনের সব ভাবনা ভুলিয়ে দিয়ে যায় ।
তার হাসির সাথে সাথে , হাত দিয়ে চুল ঠিক করে বারবার। কালো এই মেয়েটি এতো জাদু জানে । সেটা কারো চোখে ভাসে না ।





সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫
৩টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×