somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

স্বপ্ন

৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




স্বপ্ন
♦♦♦♦
মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
*************

তোমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন "
যে স্বপ্ন দেখেছে আকাশের কালো চিল '
হুতুম পেঁচার পাখার শব্দে "
যে স্বপ্ন দেখতে পারেনি বুনো শালিক।

আমি আজ সেই স্বপ্নে বিভোর '
হাজার বছর ধরে দেখছি সেই স্বপ্ন।

সেই স্বপ্নে আমি তোমায় দেখেছি।
দেখেছি তোমার মুগ্ধকর হাসি ''

যে স্বপ্নে রুপালী চাঁদটা আকাশে ছিল।
ছিল সেই রাত্রি জাগা পাখি "
যার ডাক আমি রোজ শুনতে পাই।

হাজার বছর ধরে এই ডাক '
শুনে চলেছে প্রকৃতি প্রেমিরা।
এই বাঙলার কবিরা "
চারণ ভূমির ঘাস পোকারা "

হাজার বছর ধরে এই ঘাস পোকা গুলো এই মাঠে।
তারা এখানে বাসা বেধেছে '
স্বপ্ন দেখেছে বাঙলার প্রকৃতিকে '

সেখানে আজ তুমি নিদ্রাতে মগ্ন
যেখানে একটা নদী ছিল।
আজ নেই " স্বপ্ন হয়ে গেছে।
একটা দেবদারু গাছ ছিল।
স্বপ্নে মিশে গেছে।

তার অস্তিত্ববাদী আত্মাকে চেনে এই বাতাস।
যে বাতাসে তুমি শ্বাস নাও।

তার সাথে পরিচয় ছিল বুনো শালিকের।
ঐ ঘোলাটে সাদা বকটার।

যে বার বার ওড়ে বসত গাছটাতে।

এখানে একটা শান্তির গ্রাম ছিল।
এখন যেখানে শহর হয়েছে।
যেখানে তুমি পাখার বাতাসে স্নিগ্ধ।

এখানে একদিন প্রকৃতির বাতাস ছিল।
যার সাক্ষী হিজল গাছটা "
তমাল গাছের ঝিঝি পোকা টা।

আজ হাজার বছর পার হয়েছে।
এখানে আগের মত নেই কিছু।
সবই স্বপ্ন হয়ে গেছে।
ইতিহাস আজ কথা বলে।

তুমি আজ স্বপ্নে এসেছিলে।
স্বপ্নে এসেছিল সেই হিজলের বন।
দাঁড়কাক টা ডাকছিল সেখানে।

সাদা বকটা একটা মাছ মুখে নিয়ে "
বসে ছিল সেই গাছের শাঁখাতে।

আজো স্বপ্নে তুমি এসেছিলে।
সাথে এসেছিল বুনো শালিকের দল।
মেঠো পেঁচাটা বার বার ডাকছিল "

কান্নার মত সুর আজো শুনতে পাই।
বুনো হাসের কান্না "
মাঠ পেরিয়ে এই শহরে "
আমার এই নরম বিছানাতে "
যখন পিঠ ঠেকাই '


শহরের ইট কাঠের জেলখানা তে
পল্লি জননীর কান্না শুনতে পাই।।

স্বপ্নে তোমার ভালবাসার স্পর্শ '
বার বার মনে করিয়ে দেয়।
তুমি হলে পাখির সেই স্নিগ্ধ চাহনি।






পিয়াজ ইলিশের দ্বন্দ্ব
- আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

============

জাতীয় মাছ ইলিশ, (বাঙালি)
জানো না কি জিনিস?

দিয়ে দিলে পিয়াজ।।
লাগবেনা সরষে ইলিশে ঝাঁজ
কি করে ভাবলে,দিবো তোমাদের পিয়াজ?

ছি ছোট ভাই,
তোমরা যে ইলিশ দিলে।
খেতে দিবেনা বুঝি?

( আমরা তোমরা মিলেই তো
বাঙালি
ইলিশ যখন দিলি।।
এখন ভাজা খেতে দাও।
পিয়াজ কেন নিতে চাও বাপু?
আমরা না তোমাদের ডাকি আপু।


ইলিশ খেতে লাগে পিয়াজ।
দেখো দাদা কত ঝাঁজ।

দিবো না, তোমাদের।
ইলিশ তো খেতে হবে আমাদের।
পিয়াজ ছাড়া খাবো কি?
হাজার হোক,বাংলাদেশি উপহার পেয়েছি।



উপহার কি ফেলনা জিনিস।
দাদা ইলিশ উপহার পেয়েছি ইলিশ।


(উত্তরে বাংলাদেশি)


ভালো এবার ইলিশ খাও।
পিয়াজ না পাঠালে,না পাঠাও।
উপহার কেমন লাগলো।।
চিঠি লিখে জানিও, কাঁটাতারের ফাঁকে।
আমরা দাঁড়িয়ে রইবো।
বি এস এফকে বলে দিয়ো।



ইলিশ কেমন লাগলো।
খবর জানিয়ো বন্ধু।
পিয়াজ না হয় না পেলাম।।
আমরা খিচুড়ি রান্না করবো পিয়াজ ছাড়া।।
ইলিশ ও খেয়ে নিবো,।



"রাঁধবো খিচুড়ি
গড়বো দেশ"

এই আমাদের সোনার বাংলাদেশ

খিচুড়ি করবো রান্না।
পিয়াজ কাটার ঝামেলা আর না।

পিয়াজ ছাড়া খিচুড়ি।
দেহের জন্য দরকারী।


পিয়াজ ইলিশের দ্বন্দ্ব।
ভুলে যাবো আমি নন্দ।




বি দ্রঃ এটা একটা কথোপকথন, । আশা করি বুঝা গেছে। আমি কবি নই। লেখার চেষ্টা করি









বিদ্রোহ কর
======
#মোঃ_আব্দুল্লাহ_আল_মামুন
=================
চলে যাও হে আমার প্রিয়া।
চলে যাও এ সমাজ হতে।
ফিরে যাও ঘরে।
ফিরে যাও, না হয় বিদ্রোহ কর।

এ সমাজ ধর্ষকে ভরে গেছে।
কলেজে ধর্ষক, ছাত্র সেজে বসে।
স্কুলে ধর্ষক অভিনয় করছে শিক্ষকের।
বাড়ির পাশেও ধর্ষক বসে আছে, ।
ভিতরে শয়তান তারা, মুখোশটা পড়ে আছে মানুষের।

হে বোন, জেগে উঠো এইবার।
জাগিয়ে তোল তোমার আত্মার আপনাকে।
একবার মরার চাইতে, বারবার মারো।
অত্যাচারী ধর্ষক নিপাত যাক হাজারো।

আবার জেগে উঠুক তোমার সন্তানেরা ।
হে মা, ঘুম পারানি গান আর গেয়োনা।
তোমার সন্তান আবার জেগে উঠুক।
তাদের ভয় আর দেখিও না।
অত্যাচারীর ভয়ে,ঘরে আটকে রেখোনা।

আরেকটা আন্দোলন হোক।
জেগে উঠুক আমাদের গ্রাম শহর ।
আবার জেগে উঠবে নতুন সূর্য ।
দেখবো মোরা জাগ্রত প্রহর ।

জেগে উঠো তারুণ্য ।
জেগে উঠো, নতুন ভোরে।
আবার আমরা স্বাধীনতা আনবো কেড়ে।

আবার একটা নতুন সকাল আনবো।
আবার একটা স্বাধীনতা আনবো মোরা।
আবারো আসবে নতুন সকাল।
জেগে উঠো, না হয় ঘরে ফিরে যাও।

আবার জেগে উঠো হে প্রিয়া।
জেগে উঠো, এই সমাজে অসহায়ের কেউ নাই।

বাঁচতে হলে , লড়াই করে বাঁচো।
ভীতুর মতো নয়, বীরের মতো বাঁচো।
সাহসের সাথে আওয়াজ তোল।
বিচার চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই।








আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
,,,-------+++++++++
আমি অভিনেতা
-++++++++++++++

আমি অভিনেতা, করছি অভিনয়
এ পৃথিবীর নাট্য মঞ্চে।

সুখে থাকার অভিনয়,
সুখে রাখার অভিনয়।
দুঃখকে করতে পরাজয়,
করছি যোদ্ধার অভিনয়,
আর মানছি পরাজয়।
তবু করে যাচ্ছি অভিনয়।

ধরেছি বিজয়ীর বেশ।
জানিনা যুদ্ধ টা হবে কবে শেষ।

তবু করছি অভিনয়,
এ পৃথিবীর রঙ্গমঞ্চে

জানি না নাটকের কাহিনী
শুধু জানি " আমি অভিনেতা।
এ পৃথিবীর বিশাল রঙ্গমঞ্চে

করছি অভিনয়,
সেজে নানান সাজ।
কখন সাজছি সঙ।
গায়েতে মাখিয়ে রঙ।

মেতেছি রঙ্গ লীলায়
মজেছি অদ্ভুত খেলায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×