আমরা ২০১১ তে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। অর্থাৎ আমাদের জীবন থেকে পূর্ণ একটি বছর বিদায় নিল। নতুন বছরকে নতুন চেতনায় গ্রহণ করতে হলে আত্মসমালোচনার কোনো বিকল্প নেই। অথচ এই সময় আত্মসমালোচনার পরিবর্তে আত্মবিস্মৃতির দৃষ্টান্তই প্রকটভাবে দেখা যায়।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশের শহর-নগরগুলোতে জমে ওঠে উদ্দাম নাচ-গানের আসর। আমাদের মিডিয়া একে আদর করে বলে ‘তারণ্যের উন্মাদনা’। যেন তরুণ মাত্রেরই উন্মাদ হওয়া অপরিহার্য।
এই উন্মাদনা এতটাই বাঁধভাঙ্গা রূপ ধারণ করে যে, রীতিমতো আইন্তশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ঘটে। দৈনিক যুগান্তরের ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ সংখ্যায় এ সংক্রান্ত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘থার্টি ফার্স্ট নাইট : মাঠে ১২ হাজার নিরাপত্তাকর্মী’। তাতে বলা হয়, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে রাজধানীতে দূর্ভেদ্য নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলছে ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ..................... বুঝুন ঠেলা
বলাবাহুল্য, নিজেকে শুধরানোর বদলে, নতুন দিগন্ত খোজার বদলে অশ্লীলতার মধ্য দিয়ে যে বছরের সূচনা তা জাতির জীবনে কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।
এই নোংরা কালচারটি আমদানী করেছেন এদেশেরই কিছু বুদ্ধিজীবী। এরা একটি শালীন সমাজের বুনিয়াদ গড়ার পরিবর্তে অশ্লীলতার ভাগাড় সৃষ্টি করতেই উৎসাহী। এরা একদিকে পহেলা বৈশাখের মাহাত্ম্য প্রচার করেন অন্যদিকে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনের উসকানী দিয়ে থাকেন। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, তারাই আবার যুবশ্রেণীকে উপদেশ দেন ‘মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতনকে না বলুন’।
প্রশ্ন এই যে, উচ্ছৃঙ্খলা ও পাপাচারের অসংখ্য উপলক্ষ্য তৈরি করে মাদক, সন্ত্রাস ও নারী নির্যাতন বন্ধ করা কি কোনোভাবেই সম্ভব? ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, ইয়াবা.....এগুলো কাদের সৃষ্টি?
একজন সাধারণ রুচিশীল মানুষও থার্টি ফার্স্ট নাইটের এই নোংরামি সমর্থন করতে পারেন না। এই ধরনের অপকর্ম বন্ধ করতে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের অবশ্যকর্তব্য।
ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগতম জানানোর ব্যাপারে বাংঙ্গালী সংস্কৃতিতে যদি কিছু না থাকে তাহলে আমাদের উচিত হবে নিজেদের কৃষ্টিকালচারের অবমাননা না করা হয় এমন কিছু করা অথবা চুপ থাকা। পশ্চিমা কালচারের প্রতি তাল মিলাতে যেয়ে নিজেদেরকে পরোক্ষভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া কোন বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারেনা।-দেবুদা
মুক্তব্লগে প্রকাশিত।
সংকলিত-www.alkawsar.com

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




