ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে মারা যাওয়া নাইমুল আবরারকে নিয়ে আজ প্রথম আলোর প্রথম পাতার প্রথম কলামে কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক একটি লেখা লিখেছেন। অথচ ছেলেটি মারা যাবার পর প্রথম আলো ৫ এর পাতায় সংবাদটি ছেপেছিল। ভেবেছিল এটাই বোধহয় অনেক বড় ট্রিটমেন্ট। কারণ তাদের পত্রিকায় একটা লাইন পেলেও অনেক ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের জীবন ধন্য হয়ে যায়। কিন্তু কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের মুখে গতকাল তারা ব্যাক পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে শোক প্রকাশ আর আজ প্রথম পাতায় শোকাবহ কলাম ছেপেছে।
প্রথম আলো হয়তো ভেবেছিল একজন ছাত্রই না হয় মারা গেছে, এটা নিয়ে হয়তো বেশি কিছু হবে না। কারণ তারা দেশের সবচেয়ে বড় পত্রিকা বলে নিজেদেরকে মনে করে। প্রথম আলোতে নিউজ ছাপা হলে একজন আর্টিস্ট নিজেকে সবচেয়ে ভাগ্যবান বলে মনে করে। এমন অনেক তারকাকেই চিনি যারা প্রথম আলো ছাড়া অন্য পত্রিকাতে তার ছাপা নিউজ কখনো শেয়ার দেন না। প্রথম আলোরটা যত্ন করে শেয়ার দেন, কারণ তাতে তারা হয়তো মনে করেন, এবার বুঝি জাতে ওঠা গেল!
প্রথম আলোতে একদিন আগে নিউজ পাঠিয়ে অন্য সব পত্রিকাকে পরদিন নিউজ অনেকেই পাঠান। কারণ একসঙ্গে নিউজ দিলে প্রথম আলো যদি সেই নিউজ না ছাপে! এতো সব কথা বলার একটাই কারণ, প্রথম আলো নিজেদেরকে পাঠকপ্রিয়তায় নিয়ে গেছে তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে। কিন্তু এতে করে তাদের মধ্যে যে প্রচন্ড আত্ম-অহংকার সৃষ্টি হয়েছে সেটি তারা নিজেরাও হয়তো সেভাবে ফিল করে না। আর এই অহংকারই তাদের একদিন পতন ঘটাবে। আর তাইতো আজ তারা মারা যাওয়া নাইমুল আবরারের সংবাদ ৫ম পাতা থেকে প্রথম পাতায় আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রচন্ড কর্পোরেট মনষ্ক এই প্রতিষ্ঠানটির শুভ বুদ্ধির উদয় হোক সেই প্রত্যাশাই রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১