আসসালামুআলাইকুম,যেহেতু প্রথম লেখা আমার সবাই একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার এলাকায় একজন বিশাল বড় ডাক্তার এর চেম্বার।এলাকার মান্য,গণ্য,জঘন্য লোক উনি,উনার নাম এর শেষে অনেক বড় বড় ডিগ্রি লাগানি(উচ্চারন করতে পারমু না পরে দাঁত ভাঙবো)।
তো উনি কেমনে হাতুড়ে ডাক্তার ডিগ্রি পাইলেন সেইটা আজকে কমু।
কাহিনির শুরু উনার চেম্বার হইতে ৩ কিলোমিটার দুরে।ঠাডা সহ বৃষ্টি হইতাসিল সেইদিন।এক কামলা ব্যস্ত তার কাজ এ,মাথায় কইরা বালু নিয়া যাইতাসিল বিল্ডিং এর দুই তালায়।আচমকা দুনিয়া কাপায়া ঠাডা পড়ল এক্তা।তো সেই কামলা অই আওয়াজ শুইনা বালুর টুকড়ি লয়া আছার খায়া পড়ল।সহকর্মীরা দ্রুত ছুইটা আস্ল।আইসা দেখে তাদের ওস্তাদ ৯০ ডিগ্রি(ডাক্তার এর ডিগ্রি না সমকোণ এর ডিগ্রি
সবাই এক মিনিট নিরবতা পালন করার পরে ভিকটিম এর পোলা ভ্যান লয়া আইল বাপের লাশ মেডিকেল নিয়া যাইব।
তো চেম্বার এর লগে রেল লাইন,ঢালু জায়গা দিয়া রিকশা,ভ্যান,ট্রাক পার হয়া রেললাইন এর অই পাড়ে যায়।
ঢালু জায়গা দিয়া ভ্যান েঠইলা উপরে উঠাইতাসে।এমন সময় দুনিয়া কাপায়া আরেকটা ঠাডা পরল।সব চুপ হয়া গেল।আচমকা ডেডবডি উথল।বয়া পোলারে কইল কিরে আমারে কই নিয়া যাস(ভয় এর ইমু খাইবেন এইখানে)।
ভুত তো ভুত ই হেইদা বাপের ই হোক আর বউ এর ই হোক। পোলায় দিলো ভ্যান রাইখা দউর।লাশ এর লগে আরও দুই তিনজন ছিল হেরা "খায়ালবো গো" কয়া ৮০ কিমি বেগে দৌড় দিলো।
ভ্যান ও ঢালু জায়গা দিয়া নিচে পইরা বরাবর কসাই এর দোকান আছিল ঐটার ভিতরে ঢুইকা গেল।ভিকটিম ও "মাইরালসে রে খাইয়ালসে" কয়া চিল্লানি শুরু করল।
৫ মিনিট পরে সাহসি কয়েকজন তারে ধইরা মেডিকেল নিয়া গেল।সেইখানে কইল হঠাৎ ভয় পাইয়া সে অজ্ঞান হয়া গেসিল।
এর পরে রোগীর আত্মীয় স্বজন হাতুরের চেম্বারে গিয়া কি করসিল তা আর কওয়ার দরকার নাই।এলাকায় পরিচিত দেইখা মাইরটা খালি খায় নায়।
ডাক্তার ভাইজান যারা আছেন মাইন্ড কইরেন না কিন্তু।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




