পশ্চিম বাংলার একটা গ্রামের নাম নক্সালবাড়ি, এটি একটি কমিউনিস্ট আন্দোলনের নাম। ভারতীয় কমিউনিস্ট (মার্ক্সবাদী), পার্টির একাংশ চারু মজুমদার ও কাণু সান্যালের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসেন। 'ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্ক্সবাদী-লেলিনবাদী) নামে একটি উগ্রপন্থী দল গঠন করেন।
২৫ মে, ১৯৬৭ সালে নক্সালবাড়িতে সাধারণ কৃষকের উপর ভূস্বামীরা গুন্ডা দিয়ে অত্যাচার করেছিল। চারু মজুমদারের নেতৃত্বে কৃষকরা সংগঠিত হয়ে সশস্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তাদের উৎখাত করে।
এটাই নক্সালবাড়ির সূচনা। সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ সহ ভারতের অনুন্নত, নিপীড়ির অনেক জায়গায়, স্ফুলিন্গ ছড়িয়ে পড়ে অতি দ্রুত। অসম্ভব শক্তিশালী লেখনি ছিলো চারু মজুমদারের।
'হিস্টরিক এইট ডকুমেন্টস'
চারু মজুমদারের লেখাটা এই আন্দোলনের ভিত্তি, তিনি ছিলেন মাও সেতুং পন্থী, জোতদার, ভুস্বামী অর্থাৎ শ্রেণীশত্রু খতম করে রাষ্ট ক্ষমতা দখল করে, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করো এটাই ব্রত।
চললো শ্রেণীশত্রু চিহ্নিত করণ, কারণ এরাই শোষন করে।
পদ্ধতি নিয়ে, এদের মাঝেও অনেক মতপার্থক্য থাকায় '৭০ সালে কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
পালে বাতাস লেগেছে
'sino-soviet split'
সোভিয়েত রাশিয়া ও চীন রাজনৈতিক মতপার্থক্য সময়, উগ্রবাদী দল গুলোর উত্থান ঘটে। নক্সালবাড়ির বাতাস এ'দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলির পালে লাগে। সেই সময় বাম দলগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ে।
ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, ন্যাপ(ভাসানী), ও ন্যাপ (মোজাফ্ফর)।
আধ্যাপক মোজাফ্ফর আহম্মদ হলো রাশিয়া পন্থী।
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চীন পন্থী।
ন্যাপ ভাসানীর ব্যানারে কতগুলি উপদল সক্রিয় হলো,
হক -তোহা, মতিন-আলাউদ্দিন, কাজী জাফর-রাশেদ খান মেনন এবং সিরাজ সিকদার।
লক্ষ্য অভিন্ন।
'স্বাধীন জন গণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা' কায়েম করতে হবে।
শ্রেণীশত্রু খতম করতে হবে। তবে, পথ ও প্রক্রিয়া ভিন্ন, ভিন্ন।
দ্বিতীয় বর্ষ
আলেখ্য
কলেজ বার্ষিকী প্রকাশ করতে হবে। লেখা আহব্বান করে নোটিস দেয়া হলো। আমি ছিলাম সহ সম্পাদক, শিরিন বানু মিতিল ছিলো সম্পাদক, ছাত্র ইউনিয়ন থেকে।
সেই সময়ে মিতিল অাপা পাবনা চলে যায় আমি হলাম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।
বাংলার আধ্যাপক নুরুল ইসলাম ছিলেন সার্বিক দায়িত্বে। সচরাচর কলেজের একটা ছবি দিয়ে কলেজ বার্ষিকী ছাপা হয়, আমি স্যারকে বললাম একটু নতুনত্ব কি আনতে পারি, বার্ষিকীর একটা নাম দিয়ে দেই।
নাজমুল হাসান পাখি VP ও রুস্তম আলী GS আমার কথায় সায় দিলেন। তখনি নুরুল ইসলাম স্যার নাম দিয়ে দিলেন 'আলেখ্য'।
চমৎকার একটা ওয়েল পেইন্টিং একে দিলেন শিল্পী মোহম্মদ আলী ভাই একটু পরিবর্তণ এলো বার্ষিকীতে, অন্য মাত্রা।
ঝাউতলা
ব্যাপক একটা সমন্বয় কেন্দ্র। আওয়ামী লীগ নমিনি, প্রফেসার খোরশেদ আলমের বাসা, এখানে চলে আওয়ামী লীগের কার্যকলাপ।
আমার তিনটি বাড়ি দূরে উত্তরে, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) এর সভাপতি এডভোকেট শাহ্ আবদুল ওয়াদুদের বাড়ি।
আর পাঁচটি বাড়ি দক্ষিণে, ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়। এই কার্যালয়ের বিপরীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাব শালী নেতা মনিরুল হক চৌধুরীর বাসা। আর ছাত্র ইউনিয়নের উপর তলায় সৈয়দ আহমাদ ফারুক ভাই তো আছেনই।
রাজনীতির প্রাণ কেন্দ্র এখন ঝাউতলা।
অভিন্ন
রাজনৈতিক ডামাডোলটা এমনি বাজছিলো, দলমত নির্বিশেষে সবাই এখন পশ্চিমা শাসনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি চায়, এখন একটাই পথ সামনে নির্বাচন, বাংলার জনগনের জয় হতেই হবে।
সবার লক্ষ এখন অভিন্ন।
শওকত
#যে_স্মৃতি_ধূসর_হয়নি
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫০