সুন্দরবনে সাপ পোকামাকড় রেখে কি লাভ? তার চেয়ে রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাবে। দেশ আলোয় ভরে যাবে। সুন্দরবন উজাড় করে তাতে ইপিজেড করা যাবে, কত কত লোকের কর্মসংস্থান হবে, জিডিপি কোথায় গিয়ে ঠেকবে বুঝতে পারছেন? এই সব বাঘ, হরিণ, সাপ পোকামাকড় পেলে কি হবে, জিডিপি বাড়বে??? কত জায়গা গাছপালাতে নষ্ট হয়ে আছে। যত্তসব মুর্খের দল, নালায়েক লোকজন। দেশের উন্নয়ন আসলেই কিছু লোক সহ্য করতে পারেনা।
ইআইএ ফালতু প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে ১৩২০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পের জন্য বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে। আমরা জানি অ্যাভোগ্রেডোর প্রকল্প অনুযায়ী ১ টন কয়লা পুড়লে ২ দশমিক ৮৬ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। সেই হিসাবে এই প্রকল্প থেকে বছরে ১ কোটি ৮ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হওয়ার কথা। প্রতিদিন প্রায় ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড (বছরের হিসাবে যার পরিমাণ ৫১ হাজার ৮৩০ টন) এবং ৮৫ টন বিষাক্ত নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (বছরের হিসাবে যার পরিমাণ ৩১ হাজার ২৫ টন) নির্গত হবে। ভেবে দেখেছেন কত কত উৎপাদন? কত কার্বন ডাই অক্সাইড, কত সালফার ডাই অক্সাইড, কত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড উৎপাদন হবে? আর নালায়েক, বেকুবরা কিনা এর বিরোধীতা করে। তারা আসলেই দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাক এটা চায় না।