কাজের পরিবেশ এবং অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব
নতুন কোনো জায়গায় মানিয়ে নেওয়ার বিষয় নিয়ে মানুষের শংকা থাকে সবচেয়ে বেশি। শ্বশুরবাড়ী কেমন হবে, নতুন কর্মস্থল কেমন, বস কেমন, সহকর্মী কেমন, এগুলো নিয়ে মানুষের চিন্তার কোনো অন্ত নেই।
এমনকি অনেক বয়স্ক মানুষও বদলী হওয়া জায়গা নিয়ে সমস্যায় থাকেন।
আসলে মানিয়ে নেওয়ার যে বিষয়টি মানুষের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেই মানিয়ে নেওয়া বা মেনে নেওয়া খুব সহজে হয়ে ওঠে না।
আসল কথা হলো- ভিন্ন একটি অবস্থা থেকে নতুন অবস্থায় মানিয়ে নেওয়া আসলেই সহজ নয়।
পুকুরে যখন মাছের পোনা ছাড়া হয় তখন পুকুরের পানির তাপমাত্রার সাথে সমন্বয় করেই পোনা ছাড়া হয় । তা না হলে পোনা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিদেশী গরু যখন গোয়ালে তোলা হয় তখন ফ্যানের ব্যবস্থাও করা হয়। একদিনের মুরগির বাচ্চার জন্য ব্যবস্থা করা হয় তাপের।
কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা সকল ক্ষেত্রে থাকে না। নতুন শ্বশুরবাড়ী যেয়ে অনেক মেয়ে হতাশায় ভোগে- নতুন কর্মক্ষেত্রে তেমনি অনেকের হতাশার শেষ নেই।
আসলে যারা আগে থেকেই থাকেন তাদের দায়িত্ব হলো নতুন সহকর্মী, বস বা অধীন ব্যক্তিকে সাহস প্রদান করা এবং তাকে সহায়তা করা যাতে এই ব্যক্তি নতুন কাজে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারেন।
কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্মীর প্রধান প্রতিপক্ষ তার নিজের অফিস ও সহকর্মী। সহায়তা দূরের কথা মেনে নিতেই আপত্তি থাকে আর এর ফলে কাজের পরিবেশ হয় বিনষ্ট এবং অনুৎপাদনশীল প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সবাই।
বাংলাদেশে তারই নমুনা দেখছি- প্রায় সকল ক্ষেত্রে।