ই-এগ্রিকালচার নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হয়ে গেল ৩ ও ৪ ডিসেম্বর।
অনেক আলোচনা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা হলো।
আসলে বিকল্প সম্প্রসারণ বা সম্প্রসারণের সহায়ক শক্তি হিসাবে তথ্যপ্রযৃুক্তি যে ভাল কাজ করতে পারে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু প্রশ্নটি অন্যত্র। উচ্চ শক্তির ইন্টারনেট প্রযুক্তি, স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট কথাগুলোর সাথে মনোজগতের একটা সম্পর্ক আছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে যে তথ্য বা কনটেন্ট যাবে তাকেও স্মার্ট হতে হবে। যারা ব্যবহার করবেন তাদেরকেও সেই তথ্য অবগাহনের যোগ্যতা থাকতে হবে। যারা সেবা দেবেন সেই মাঠকর্মীদেরও সক্ষমতা থাকতে হবে। তথ্যের গুণগত মান না খাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
উচ্চগতির ইন্টারনেট নিয়ে আর স্মার্টফোন নিয়ে বিজ্ঞাপনের যে বাহার তা সুড়সুড়ি মার্কা। পড়াশুনা, ঘুম, কাজ কাম বাদ দিয়ে স্মার্ট প্রযুক্তিতেই জীবনের সুখ খোঁজার পথ বাৎলে দিচ্ছে সেল কোম্পানী। আর এ কারণে প্রযুক্তির ব্যবহার, অপব্যবহার, কু ব্যবহার, অতিব্যবহার সবই লক্ষ্য করছি। সেক্ষেত্রে স্মার্ট প্রযুক্তি ওয়ালার সুমতি প্রয়োজন যাতে তা ভাল কাজে ব্যবহারের উপযোগ সৃষ্টি হয়।
স্মার্ট ফোন হচ্ছে একটা বিতরণ পদ্ধতি। আসল বিষয়তো কনটেন্ট। কনটেন্ট, ব্যবহারকারী, বিতরণকারী এবং বিতরণ পদ্ধতি সবটাই একতালে যাওয়া দরকার। কৃষির ক্ষেত্রে পরিবেশ, অঞ্চল, শস্য, বাজার, পুষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে স্মার্ট তথ্য না হলে না হলে পুরো সিস্টেমটির ছন্দপতন ঘটবে। আর একবার ছন্দ হারালে তাল খুজে পাওয়া মুস্কিল।
বিষয়টি কে কিভাবে বুঝেছেন সেটা অবশ্য প্রশ্নের মাঝেই থেকে যায়।