তারপরও তাকিয়ে থাকি এই তরুণদের দিকেই।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এসে অসম্মানিত হয়েছেন অনেক নারী-
কিছু বখাটে তরুণের হাতে।
এই তরুণরা যা করেছেন তা কেবল ঘৃণার যোগ্যই নয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটছে- একুশে ফেব্রুয়ারিতে, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে, জানুয়ারিতে এমনকি অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে। খেলার মাঠেও ঘটছে এমন ঘটনা। নারীদের উত্যক্ত করাটা যেন কিছু তরুনের কাছে বেটাগিরি বলে মনে হয়।
অথচ এই তারুণের ইতিহাস ভিন্ন। টিএসসিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে তরুণরাই। মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করেছে তরুণরাই। উৎসবে আয়োজনে সব ঘটনার নায়ক মহানায়ক তরুণরাই।
এই তারুণ্যই ভাষা আন্দোলন করে, মুক্তি যুদ্ধ করে- গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেয়, এই তরুণরাই রাত জেগে একুশের আলপনা আকে, শীতার্ত মানুষকে বস্ত্র দেয়- দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ব্রেইলি বই তৈরি করে। খেলায়- সংস্কৃতিতে, উদ্ভাবনায় সম্মান আনে এরাই।
কিন্তু সমস্ত এই সফলতা ম্লান হয়ে যায়। সমস্ত অর্জনকে মিথ্যা মনে হয়। অপরাজনীতির দুষ্টচক্র, মেধাহীনদের দাপট, কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রভাব সবই নষ্ট করে দিচ্ছে তারুণ্যের অজেয় শক্তিকে।
কথিত তরুনদের দিয়েই ধ্বংস করা হচ্ছে তারুণের সম্মান।
এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই একটি ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা হামলা চালিয়েছিল ছাত্রী মিছিলে। আবার আরেক ছাত্র সংগঠনের কতিপয় কর্মীর হাতে লাঞ্ছণার শিকার নারী। আরেক ছাত্র সংগঠন এটিকে থামাতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার। আমাদের আশার ছবিটাই এখানে আঁকা।
আমরা তাকিয়ে থাকি এই তরুণদের দিকেই যারা নিজেরাই নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধার করার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসবে- সমাজের অপশক্তির শিকড় উপড়ে ফেলবে।