somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারপরও তাকিয়ে থাকি এই তরুণদের দিকেই

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারপরও তাকিয়ে থাকি এই তরুণদের দিকেই।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে এসে অসম্মানিত হয়েছেন অনেক নারী-
কিছু বখাটে তরুণের হাতে।
এই তরুণরা যা করেছেন তা কেবল ঘৃণার যোগ্যই নয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটছে- একুশে ফেব্রুয়ারিতে, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে, জানুয়ারিতে এমনকি অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে। খেলার মাঠেও ঘটছে এমন ঘটনা। নারীদের উত্যক্ত করাটা যেন কিছু তরুনের কাছে বেটাগিরি বলে মনে হয়।
অথচ এই তারুণের ইতিহাস ভিন্ন। টিএসসিতে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে তরুণরাই। মঙ্গল শোভাযাত্রার উপকরণ তৈরি করেছে তরুণরাই। উৎসবে আয়োজনে সব ঘটনার নায়ক মহানায়ক তরুণরাই।
এই তারুণ্যই ভাষা আন্দোলন করে, মুক্তি যুদ্ধ করে- গণতন্ত্রের জন্য জীবন দেয়, এই তরুণরাই রাত জেগে একুশের আলপনা আকে, শীতার্ত মানুষকে বস্ত্র দেয়- দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ব্রেইলি বই তৈরি করে। খেলায়- সংস্কৃতিতে, উদ্ভাবনায় সম্মান আনে এরাই।
কিন্তু সমস্ত এই সফলতা ম্লান হয়ে যায়। সমস্ত অর্জনকে মিথ্যা মনে হয়। অপরাজনীতির দুষ্টচক্র, মেধাহীনদের দাপট, কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রভাব সবই নষ্ট করে দিচ্ছে তারুণ্যের অজেয় শক্তিকে।
কথিত তরুনদের দিয়েই ধ্বংস করা হচ্ছে তারুণের সম্মান।
এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই একটি ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা হামলা চালিয়েছিল ছাত্রী মিছিলে। আবার আরেক ছাত্র সংগঠনের কতিপয় কর্মীর হাতে লাঞ্ছণার শিকার নারী। আরেক ছাত্র সংগঠন এটিকে থামাতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার। আমাদের আশার ছবিটাই এখানে আঁকা।
আমরা তাকিয়ে থাকি এই তরুণদের দিকেই যারা নিজেরাই নিজেদের সম্মান পুনরুদ্ধার করার প্রত্যয়ে এগিয়ে আসবে- সমাজের অপশক্তির শিকড় উপড়ে ফেলবে।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×