বিয়ের দাওয়াত miss হইয়া গেল, তাই বলে বৌ ভাতের দাওয়াত miss করা রীতিমত অন্যায় হইয়া যায়। আর খাবার দাবারের ব্যাপারে আমি কাপুরুষতা একদম সহ্য করিতে পারি না। তাই বউ ভাতের আগের দিন রাতে কনে পক্ষের বাড়িতে হাজির হইয়া গেলাম বিয়ের খাবারটা পুষাইয়া দেবার জন্য। অতঃপর যা ঘটার তাই ঘটিল। খাবার টেবিল এ ঝড় তুলিয়া দিয়া বীরের মত উঠিয়া আসিলাম । আমাকে দেখিয়া কতিপয় কাপুরুষ পেটুক বলিয়া গালি দিল। আমি ইহা কেয়ার ই করিলাম না। জীবনে বড় হইতে হইলে এইসব ছোট খাট কথায় কিছু মনে করিতে হয় না। আধ ঘণ্টা পর আরও আধ পাতিল দই সাবাড় করিয়া দিয়া রাতে ঘুমের বন্দোবস্ত করিতে গেলাম। ঠিক রাত ১২ টায় পেটে কেমন জানি ঝড়ের পূর্বাভাস পাইলাম। এর কিছুক্ষন পর পশ্চাৎ দেশ দিয়া শো শো বাতাসের সহিত বজ্রপাত শুরু হইয়া গেল।বজ্রপাতের আওয়াজে এবং বাতাসের তীব্র অম্লীয় ঘ্রানে অতিষ্ঠ হইয়া ৯ নম্বর বিপদ সংকেত পড়িবার আগেই ঘরের লোকজন আমাকে ঝড় প্রশমন কেন্দ্র মানে toilet এর রাস্তা দেখাইয়া দিল। অতঃপর ঝড় থামিল, কিন্তু আবহাওয়া তখনও গুমট হইয়া রইল। চিন্তা হইতে লাগিল , এ যদি অবস্থা হয় তাহা হইলে বউ ভাতের প্ল্যান প্রোগ্রাম পুরাই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হইবে। চিন্তিত মনে ঘুমাইয়া পরিলাম। সকাল বেলা উঠিয়া আবহাওয়া ভালই মনে হইল।অতপর আর চিন্তা না করিয়া সকালের নাস্তায় ও টর্নেডো তুলিয়া ফেলিলাম। যদিও সকালের মেন্যু ছিল আগের দিনের মাংস ।এরি মধ্যে সবাই বরপক্ষের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করিয়া দিয়াছে।কিছুক্ষণ পরে দেখি সকালের শান্ত আবহাওয়ায় মেঘের ঘনঘটা মানে পেটে কেমন জানি ভুটভাট শুরু হইয়া গিয়াছে। এক রাম মোচড় দিল, সাথেসাথেই ছোট ঘর মানে toilet এ দৌড় দিলাম। ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন ছিল, তাই ঘরে পৌঁছা মাত্রই মুষলধারে বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টি শুরু হইয়া গেল। অতঃপর বৃষ্টি কোনরকমে থামাইয়া বাহির হইয়া দেখি সবাই আমার খুঁজ the search করিতেছে। সবাই রেডি। মুখ কাচুমাচু করিয়া বলিলাম একটু অপেক্ষা করার জন্য, কিন্তু আমি তখনও ঘোর অমানিশায় । পরিবেশ কিছুতেই ভাল মনে হইতে ছিল না। অতঃপর আবার ৩ নম্বর বিপদ সংকেত পাইলাম এবং যা ঘটার তাই ঘটিল । ক্রমেই ছোট ঘরে যাবার হার বাড়িয়া গেল। মনে হইল যেন আজকে কোন অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙ্গিয়া ফেলিব। আমার অবস্থা দেখিয়া এক দরদী মামা ত্রাণকর্তা হিসাবে ত্রান মানে orsaline নিয়া হাজির হইলেন। আমার তখন এমন অবস্থা যে তাহাকে বলিতে পারিলাম না, আহ জীবনটা বাঁচাইলা। এ অবস্থায় মুরুব্বীরা আমাকে রাখিয়া যাওয়ার প্ল্যান স্থির করিয়া ফেলিল। ইহা শুনিয়া মাথা পুরাই বিগড়াইয়া গেল। মনের অন্ত দৃষ্টিতে দেখিতে পাইলাম গরু মুরগীরা কি সুন্দর রসালো সাজে সাজিয়াছে, আর আমি কিনা তাদের চাখিয়া ধন্য করিতে পারিব না। এর মধ্যে আবার সিগন্যাল দিল। সবাইকে বিদায় জানাইয়া ,মুখ কাচুমাচু করিয়া ,সব আশা জলাঞ্জলি দিয়া অতঃপর সেই ছোট্ট ঘরে প্রবেশ করিলাম।
আলোচিত ব্লগ
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।