কম বেশি বিগত চৌদ্দ বছর যাবৎ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে থার্টি ফার্স্ট নাইট কালচারের নামে একটি উল্লেখ্যযোগ্য উৎসব। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে ইলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করে; যা কালক্রমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ঢুকে পড়ে।
নিত্যদিনের পালা বদলের ধারায় সামনে ২০১৩ সালের জানুয়ারি দ্বারা বিদায় নিবে ২০১২ সাল। এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সময়কে আমি মানুষের মধ্যে বিভিন্নরূপে আবর্তন করে থাকি।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : আয়াত শরীফ- ১৪০)
এই সন্ধিক্ষণে প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বর রাত বারটার প্রাক্কালে খ্রিস্টানদের উৎসব থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের নামে প্রকাশ্যে বেলেল্লাপনা, বেহায়াপনা, মাতলামী ইত্যাদি অপকর্মের ন্যক্কারজনক প্রচলন শুরু হয়েছে। তা চরম পর্যায়ের একটি বিভীষিকাময় উৎসব। এই অনুষঙ্গ নাচ-গান, ছবি, ন্যাকেড ফিল্ম, ফ্রি-মিক্সিং, বেপর্দা, উচ্ছৃঙ্খলা, উন্মাদনা, ইত্যাদি এতে নতুন মাত্রা যোগ করে। একটা নাপাক থেকে নাপাকই বের হয় তার বিষময় ফল হিসেবে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যা নাপাকী বা খারাপ, তা থেকে নাপাকী বা খারাপ ব্যতীত কিছুই বের হয় না।” (পবিত্র সূরা আল আ’রাফ : আয়াত শরীফ- ৫৮)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে জাতি বা সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, তার হাশর-নশর তাদের সাথে হবে।” (আহমদ শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ)
তাই যারা ওই খ্রিস্টানী থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসব বা তথাকথিত সংস্কৃতি পালন করবে নিশ্চয়ই তাদের হাশর-নশর খ্রিস্টানদের সাথে হবে।
একজন মুসলমানকে অবশ্যই এই উৎসব থেকে বিরত থেকে নিজের ঈমান আমল কে হিফাযত করতে হইবে ।