হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হজ্জের সফরে আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলাম। পথিমধ্যে কোন কাফিলার মুখোমুখি হলে আমরা আমাদের চেহারার উপর নেকাব ফেলে দিতাম। অতঃপর কাফিলার লোকজন অতিক্রম করে গেলে আবার নেকাব তুলে দিতাম। (আবূ দাউদ শরীফ)
উল্লেখ্য, পর্দার লক্ষ-কোটি উদ্দেশ্যের মধ্যে একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর উন্মুক্ত বদনের সৌন্দর্যে আসক্ত হয়ে কোনো পুরুষ যেন তার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ না করে। অতঃপর তার সাথে স্বীয় কামনা-বাসনা চরিতার্থ করার অপচেষ্টা যেন না করে। আর এভাবে যেন সমাজ কলুষিত না হয়।
একথা সর্বজন বিদিত যে, চেহারাই হচ্ছে নারীর সৌন্দর্যের মূল। চেহারা দেখেই তার প্রতি পুরুষ আকৃষ্ট হয়। এখন সমস্ত শরীর ঢেকে সেই চেহারাই যদি খোলা রাখা হয়, তাহলে শরীর আবৃত করার জন্য তো তার পরিধেয় জামা কাপড়ই যথেষ্ট ছিল। আলাদা করে পর্দার বিধান নাযিলের তাহলে কি প্রয়োজন ছিল? পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার পর কোনো মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের কি একটা ঘটনাও খুঁজে পাওয়া যাবে যে, উনাদের চেহারা মুবারক খোলা ছিল? মোটেও না।
বস্তুত, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সামনে নাযিল হয়েছে, বিবৃত হয়েছে। উনারা যে ব্যাখ্যা বুঝেছেন এবং আমল করেছেন আমাদেরকে সেটারই অনুসরণ করতে হবে।