somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ তৈরীর গল্প (গ্রিক মিথলজি)

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসুন মানুষ কিভাবে তৈরী হল আজ সে গল্প জানি। তখনকার পৃথিবী ছিলো একদম প্রাণীশূন্য। প্রমিথিউস ও তার ভাই প্রচণ্ড একাকীত্ব ভোগ করছিলো। তখন জিউস তাদের অনুমতি দিল প্রাণী বানাবার। তারপর থেকে প্রমিথিউস ও তার ভাই শুরু করল বিভিন্ন স্থানের মাটি দিয়ে বিভিন্ন পশুপাখি ও মাছ বানানো। প্রমিথিউস তার ভাইয়ের চাইতে সবসময় তুলনামূলক জ্ঞানী ও সৃজনশীল ছিলো। তাই সে সাধারণ পশুপাখি বানাবার বদলে আরো মহৎ কোনো প্রাণী বানানোর কথা ভাবল। যে ভাবা সেই কাজ। প্রমিথিউস পৃথিবীর সবচাইতে শ্রেষ্ঠ মাটি স্বচ্ছ পানিতে গলিয়ে প্রাণী বানাতে শুরু করলো। এই প্রানীগুলোকে তাদের দেবতাদের ইমেজে বানালো হল; অর্থাৎ দেবতাদের আকৃতি প্রদান করলো এবং তাদের নাম দেয়া হল মানুষ। মানুষ বানানো হয়ে গেলে জ্ঞানের দেবী এথেনা দেখে মুগ্ধ হয়। এবং সে ফুঁ দিয়ে মাটির তৈরী মানুষগুলোর মাঝে প্রাণসঞ্চার করে।

মানুষ বানাবার পর জিউসের সাথে চুক্তি হল যে মানুষ বাদে অন্যান্য সব প্রাণীদের বিভিন্ন দেবতার নামে উৎসর্গ করা যাবে এবং উৎসর্গের পর অবশিষ্টাংশ মানুষের জন্য থাকবে। এখন কতটুকু উৎসর্গ করবে এবং কতটুকু মানুষের ভাগে পরবে তা নির্ধারণ তার জন্য মিসোন নামক স্থানে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রমিথিউস। এই অনুষ্ঠানটি গ্রীক মিথলজির এক অনন্য ঘটনা। এটা ট্রিক এট মিসোন (Trick at Mecone) নামে পরিচিত। এখানে জীর্ণ একটি গাভীর পাকস্থলীর ভেতর ষাঁড়ের উৎকৃষ্ট মাংস রেখে গাভীটিকে বিচ্ছিরিভাবে ময়লা করে, অনুৎকৃষ্ট প্রাণীদেহের অংশ দিয়ে আবৃত করে। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রাণীর হাড়গোড় ও চর্বি একত্রিত করে তাদের খুব চকচকে করে এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করে প্রমিথিউস। জিউস সেখানে আসলে প্রমিথিউস তাকে বলে যেকোন একটি বেছে নিতে। প্রমিথিউসের ধোঁকায় পড়ে জিউস চকচকে দেখতে হাড়গোড়কেই বেছে নেয়। ফলে এরপর থেকে এটা নিয়ম হয় যে মানুষ প্রাণী উৎসর্গের পর মাংস রেখে দিয়ে চর্বি ও হাড়গোড় আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করে দেবতাদের অনুগ্রহ পেতে পারবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:১০
৬টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×