somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৫

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতীয় শিক্ষা কমিশন-২০০৩ (মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষাকমিশন)

 ইতিহাস ঃ
২০০২ সালের ২১শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যাবলি চিহ্নিত করে এর উন্নতিকল্পে একটি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মিঞাকে ১৫ জানুয়ারী ২০০৩ এ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিশন গঠনের সরকারী সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ কমিশনের সদস্য সংখ্যা ছিল চেয়ারম্যান সহ ২৪ জন। এরা হলেন: প্রফেসর ডঃ মোঃ মনিরুজ্জামান মিঞা, সচিব বৃন্দ শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ বাংলাদেশের সচিবালয় প্রফেসর ডঃ এস এম এ ফায়েজ, প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান (ভাইস চ্যান্সেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া) প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আলী মুর্ত্তজা, প্রফেসর এম এ হাদী, প্রফেসর ডঃ এম শমসের আলী, ডঃ হাফিজ জি এ সিদ্দিকী, প্রফেসর ডঃ বজলুল মুবিয়া চৌধুরী প্রফেসর ডঃ ওয়াকিল আহমেদ প্রফেসর ডঃ মোঃ আসাদুজ্জামান জনাব আজিজ আহমেদ, চৌধুরী জনাব আব্দুর রফিক, প্রফেসর এম শরিফুল ইসলাম, প্রফেসর গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষবৃন্দ, আলীয় মাদ্রাসা ও ভিকারুন্নেসা মুন স্কুল ঢাকা ইয়াসমিন মোর্শেদ সালমা খান, সরদার আলী মোঃ সেলিম ভূইয়া, এবং মোঃ আবদুল ওয়াহাব।

পরবর্তীতে ২০০৩ সালের মে মাসে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে সদস্য হিসাবে যুক্ত করা হয়। জানুয়ারী মাসের ৩০ তারিখে কমিশনের একটি সভা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আহবান করা হয়, যেখানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং মিশনের ভবিষ্যতে কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হবে। কমিশনের পরবর্তী সভায় শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রনয়নের উপকমিটি গঠন করা হয়। চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রনয়নের নমুনা কাঠামো দাঁদ করান। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ৩০টি মৌলনীতি সম্বলিত অপর একটি পরামর্শমালা বিতরণ করা হয়। এ নীতিগুলো কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সভায় আলোচনা করা হয় এবং কিছু সংশোধনীসহ গৃহীত হয়। প্রতিবেদন প্রনয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিশনের সদস্যবৃন্দ বিভিন্ন সময় এসব নীতি পরিশীলিত করেন এবং এগুলোকে চূড়ান্ত রূপ দেন। এ শিক্ষা কমিশনের গঠনও কর্মপদ্ধতি পূর্ববর্তী সকল শিক্ষা কমিশন হতে ভিন্ন ছিল। কমিশন দেশের অভ্যন্তরে বা বিদেশে কোন সফলে যায়নি। তবে কমিশনের সদস্যবৃন্দ তাদের জ্ঞান, দেশ বিদেশের বক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং তাদের দূরদৃষ্টি সবকিচুই পূর্ণ ব্যবহার করেছেন। তবে ২০০৩ সাল ব্যাপী বিভিন্ন সময়ে যে সব শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্য যে সব ব্যক্তি নায়েমে প্রশিক্ষন গ্রহে ণর জন্য এসেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান সে সব প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে শিক্ষা সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করেছেন। এ কমিশন সর্বমোট ১৫টি সভায় মিলিত হয়েছে।

 মৌলিক নীতিসমূহ
এ শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি তিনটি অংশে বিভক্ত এবং ৫টি পরিশিষ্ট এতে সংযোজিত আছে। প্রথম অংশ সাধারণ শিক্ষা।
১. প্রাথমিক শিক্ষা, ২০। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, ৩। উচ্চ শিক্ষা।

দ্বিতীয় অংশ ঃ পেশাগত শিক্ষা
১. কৃষি শিক্ষা, ২. প্রকৌশল শিক্ষা, ৩. চিকিৎসা শিক্ষা।

তৃতীয় অংশ ঃ বিশেষায়িত শিক্ষা ।
১. মাদ্রাসা শিক্ষা, ২. নারেিক শিক্ষার মূল ধারায় আনয়ন ৩. তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা, ৪. শিক্ষায় দূরশিক্ষণ পদ্ধতি ৫. গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান শিক্ষন




এখন এর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করছি ঃ

ক. সাধারণ শিক্ষা ঃ
১. প্রাথমিক শিক্ষা ঃ
প্রাথমিক শিক্ষা স্তরেই শিক্ষারভীত রচিত হয়। তাই এ পর্যায়ের শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাথমিক শ্কিষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শিশুর দৈহিক মানসিক সামাজিক নৈতিক মানবিক ও মান্দনিক বিকাশ সাধন করা । তাই বাংলাদেশের সরকার নির্ধারিত ২২টি উদ্দেশ্য কোনরূপ পরিবর্তন না করেই গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ ৫ বছর রাখার সুপারিশ করা হয়। এবং ৫ বছরের সকল শিশুকে বিদ্যালয় আনার ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহীত হয়। এক্ষেত্রে ধর্ম-গোষ্ঠী, নারী,ম পুরুষ, অঞ্চল শিক্ষার মান ইত্যাদি কোন কিছুতেই যাতে ভেদাভেদ না থাকে সে ব্যাপারে সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়। নতুন বিদ্যালয় স্থাপেনে বিদ্যালয়বিহীন দুর্গম ও নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্তা অধ্যুষিত এলাকাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

দেশে প্রচলিত ১১ ধরনের বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬ ধরনের বিদ্যালয়ের উপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, সেগুেেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারী, কিন্ডার গার্টেন ও পূর্নাঙ্গ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুরোকে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আনার কথা বলা হয়। দেশে যে ত্রিধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আেিছ তার সমতা আনয়নের লক্ষ্যে কয়েকটি পাঠ বিষয়ক মূল পর্চ্যি বিষয় বা ঈড়ৎব পঁৎৎরপঁষঁস হিসাবে সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী ৮-১০ বছরের মধ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ৩০ এবং পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে ১ঃ২৫ এ নামানোর যাতাও বলা হয়। আর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নতুন ধারনা প্রবতর্নের সুপারিশ ও করা হয়। এচাড়া নিরপ্কেষা কর্ম কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নির্বাচন শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অনুসারে বেতন স্কেল নির্ধারণ পেনশন গ্রাচ্যুয়িটি ইত্যাদি পাওনা অবসরের তিন মাসের মধ্যে নিস্পত্তির এবং ১১ সদস্য বিশিষ্ট স্কুল পরিচালনা পর্যদের সদস্য সংখ্যা ১৩তে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়।


২. মাধ্যমিক শিক্ষা ঃ
মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূতকরণ পক্ষপাতীভাবে শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষকের আচরণ তাদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করা শিক্ষাা ব্যবস্থাকে মাধ্যমিক স্তরে প্রচলনের সুপারিশ করা হয়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ছাড়া সাধারন বিজ্ঞান ইতিহাস, ভূগোল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা বিষয়ক কোর্স অন্তভূক্তির প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া দেশ সমাজ সংস্কৃতি ও কর্মসংস্থানের বিষয় বিবেচনা করে কতগুলো ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রস্তাব করা হয়। শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অধিকার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধান, প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড শিক্ষাক্রম প্রণয়ন এবং এতদসংক্রান্ত কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব জাতীয় শিক্ষাক্রম বোর্ড (এন সি টি বি) এর হাতে রাখার প্রস্তাব করা হয়। শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষকের ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ উন্মুক্ত করা শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো শিক্ষকদের জন্য পেনশন গ্র্যাচ্যুইটির ব্যবস্থা মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ১ঃ৪০এ রাখার ব্যবস্থা কোচিং সেন্টার ও নোট বই নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। শিক্ষকতা পেশায় দক্ষতা অর্জনের জন্য চাকুরি পূর্ব ও চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। এবং এর আধুনিকীকরণ ও মানোন্নয়নেও ব্যবস্থা নিতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের সাধারণ মাদ্রাসা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ধারায় বাংলা ইংরেজি গণিত ও বিজ্ঞানের সমমানের পাঠদানের ব্যবস্থা করা এবং উচ্চমানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে একদাশ দ্বাদশ শ্রেণী সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়। দশম শ্রেণীর পর এস এস সি পরীক্ষাম গ্রহণ এবং প্রচলিত গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা থাকবে। এর মধ্যে ২৫% নম্বর স্কুলভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য বরাদ্দ থাকবে। কোন শিক্ষার্থী এস এসে সি পরীক্ষায় একেবারে উত্তীর্ণ না হতে পারলে তাকে তিন বৎসরেরে মধ্যে অকৃতকার্য বিষয়গুলো পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। শিক্ষার মাধ্যমে হবে বাংলা তবেই ইংেরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ভূগোল পড়াতে হবে। শিক্সাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও দরিদ্র্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত বৃত্তির ব্যবস্থা করতে হবে।


৩. উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ঃ
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বল ব্যবস্থাপনা প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষের অভাব শিক্ষকের অভাব অনেক প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের পদশূন্য থাকা সহ অনেক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। এ পর্যায় যেহেতু উচ্চ শিক্ষার ভিত্তি তাই শিক্ষার্থীর মেধা, আগ্রহ প্রবণতা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনানুযায়ী বহুমূখী শিক্ষাক্রমের যে কোন একটিতে অংশগ্রহণ করতে পাররবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ ৪০ রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেক করা হয়। শিক্ষাদান পদ্ধতিতে আধুনিকায়ন ও পাঠদানে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেয়া হয়। মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী বেসরকারী কলেজে শিক্ষক নিয়োগের উপর পৃথক কর্মকমিশন গঠন করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য প্রশিক্ষণ বাধ্যতামীলক ও পরবর্তীতে সজ্ঞীয়সী প্রশিক্ষন কোর্স চালুর ব্যবস্থা করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ধাপটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে না রেখে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচালিত হলে শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে অধ্যায়নের সুযোগ পাবে যাতে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। গভর্নিং বডি থেকে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থকে দূরে রাখতে হবে। যথেষ্ট সংখ্য রেফারেন্স বই এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার ও গ্রন্থ্গাারিকের পথ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যেকটি কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছাত্রাবাস ও কলেজের আশেপাশে শিক্ষকদের আবাসনের ব্যবস্থাও নিশ্চিতকরণ রাখা হয়।

৪. উচ্চ শিক্ষা ঃ
এ পর্যায় উচ্চ শিক্ষার কাম্য মান অর্জিত না হওয়ার পেছনে ছাত্র ছাত্রীদের ভাষাজ্ঞানের অভাব, বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার বিপর্যয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ও মানসিক প্রস্তুুতির অভাব শিক্ষা শেষে চাকুরি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা শিক্ষাঙ্গনে সামগ্রিক উপক‚ল পরিবেশ ইত্যাদি কারণকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হিসাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষাদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার মান সুসংহতকারনের উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্র ভর্তির পর প্রথম ছয় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের জন্য তাদের উপযোগী করে তুলতে হবে। তাদের লেখাপড়ার আকৃষ্টি করার জন্য শিক্ষা বর্ষের প্রথম থেকেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান ক্যালেন্ডার অনুসরনের প্রয়োজনীয় ব্যবসথা গ্রহণ এবং বিভাগীয় কার্যক্রম সুসংহত করার বিসয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্ত্বশাসন আইন বলবৎকার ত এ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের বিশাল এক সমসম্যা হল সেশন জ্যাম। এর প্রধান কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবিধারিত বন্ধ ভর্তি পরিক্ষার বিলম্ব সময়মত পাঠ্যসূচী সমাপ্ত না করা, ছাত্রদের পরীক্ষা পেছানোর দাবি পরীক্ষা গ্রহণে দীর্ঘ সময় ব্যয় পরীক্ষার ফল প্রকাশে অস্বাভাবিক বিলম্ব ইত্যদিকে চিহ্নিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু সাবসিডিয়ার পরিবর্তে সম্ববিত পদ্ধতির প্রচলন চার বছরের স্নাতক (সম্মান) কোর্সের প্রচলন ও শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়গুলো বিবেচনা করে প্রচলিত বাৎসরিক কোর্স পদ্ধতি চালু রাখা বিভাগে অন্য বিষয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি রহিত করা চার বছরে অনার্স কোর্স চালু রাখার ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়। মাষ্টার্স পর্যায়ের পূর্ণ নম্বরের অর্ধৈকম হবে লিখিত এবং বাকি অর্ধৈক হবে গবেষণামূলক ও রচনাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে আলোচনাক্রমে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও মাস্টার্স কোর্সের অনুমতি দেয়ার পূর্বে এর অবকাঠামো সুবিধা গ্রন্থাগার গবেষণামায় ও যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকের বিষযটি যাচাই ধেকার সুপারিশ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্ক্ষিকদের জন্য ংঁসসবৎ পড়ঁৎংব এম ফিল ও পি এইচ ডি কোর্স চালুর পরামর্শ দেয়া হয়। মূলকথা হলো, বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রকৌশল, রাষ্ট্রনীতি অর্থনীতি সমাজ বিজ্ঞান ব্যবস্থাপনা আইন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জ্ঞানের রাজ্যের এক বর্ণালী প্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাদান যুগপোযোগী করে তোলা বিজ্ঞান বিষয়ে জাতীয় শিক্ষার মানদন্ড প্রস্তুত করা তরুন শিক্ষদের জন্য মফস্বলে আবাসনের ব্যবস্থা বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মদ্যে নেটওয়াকিং এর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়। তাছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিজ্ঞান পার্ক ও নভোথিয়েটার স্থাপন টিভি চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম চালু ভৌত বিজ্ঞানের অলিম্পিয়ার চালু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ বিষয়ে সেন্টার অব একসে লেনস স্থাপন প্রতিটি কলেজ ও স্কুলে কম্পিউটার ল্যাবরেটরি স্থাপনের ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।




খ. পেশাগত শিক্ষা ঃ

১. কৃষি শিক্ষা ঃ
বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কৃষি শিক্ষার ভূমিকা অপরিসীম খাদ্য খাটতি নিরসন বাম সংখ্যক জমিতে অধিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যের যোগান ইত্যাদি। সমস্যা চিহ্নিত কল্পে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক শিক্ষা হিসাবে পড়ানো সমীচিন মনে করা হয়। কৃষি প্রশিয়াম ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমাপ্রাপ্তদের মেধার ভিত্তিতে কৃষিতে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ইরড় ঃবপযড়হড়ষড়মু মবহবঃরপং ঊহমরহববৎরহম, গড়ষবপঁষধৎ ঃবপযহরয়ঁবং, ঞরংংঁব পঁষঃঁৎব ইত্যাদি বিসয়ে মৌলিক গবেষণা সম্পাদনের জন্য একটি আধুনিক গবেষণার স্থাপন করা যেতে পারে যা সকল বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া কৃষি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে অভিন্ন কারিকুলাম চালুর কথা ও বলা হয়। শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে ঈড়ঁৎংব পৎবফরঃ ংুংঃবস এবং মূল্যায়নের জন্য জিপিত্র পদ্ধতির চালুর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব চালুর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব ও আনীত হয়। ইন্টারশিপ বা ফার্থ এ্যাকটিসের প্রতিও গুরুত্বরোপ রাখা হয়। সর্বোপরি জাতীয় গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজের সম্নবয় সাধনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়।

২. প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা ঃ
এক্ষেত্রে সুপারিশসমূহ হলো ঃ প্রকৌশলী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২০ সালে মধ্যে ২০% উন্নীতকরণ বৃত্তিমূলক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকুরি করার সুযোগ প্রদান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১ঃ১৫তে উন্নীতকরণ সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা টি টি সিতে শিক্ষক প্রশিক্ষণের উপর স্নাতকোত্তর কোর্স চালুকরণ এবং ছাত্রদের ইন্টাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট কার্যক্রম পরিচালার ব্যবস্থা গ্রহণ মাস্টার ক্রাফটস ম্যান এবং মাস্টার টেকনিসিয়ান হিসাবে জাতীয় স্বীকৃত দান এবং ইঞ্জিনিয়ার রিচার্স কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব ও আনা হয়।



গ. বিশেষায়িত শিক্ষা

১. মাদ্রাসা শিক্ষা ঃ
সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার যেসব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় মাদ্রাসহা শিক্ষাব্যবস্থার ও একই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ বিনামূল্যে পাঠ্য প ুস্তক প্রদান হিসাব শাখাকে ইবতেদায়ি মাদ্রাসার স্থানান্তরের ব্যবস্থা ৮ম শ্রেণীর বৃত্তির ব্যব্স্থা পরিবর্তন করে মাধ্যমিক স্কুলের অনুরপরাগ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম ও টেক্সট বোর্ড উইং শক্তিশালী করণ মাদ্রাসা প্রধানদের জন্য শিক্ষা প্রমাসন ও ব্যবস্থাপনা কোর্স প্রবর্তন মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা বি সি এস (মাদ্রাস শিক্ষ প্রর্বতন ইত্যাদি বিষয়াদি সুপারিশ করা হয়েছে।
২. নারীকে শিক্ষার মূলধারায় আনয়ন ঃ
এ প্রতিবেদন অনুযায়ী নারী শিক্ষা উন্নয়নে গৃহীত পূর্ববর্তী সকল পদক্ষেপ বিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির হার উল্লেখ যোগ্য মাত্রার বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েদের শ্কিষা সম্পর্কিত তথ্যাদি ছাত্র ছাত্রীদের আনুপাতিক হার পৃথক করার উপর গুরুত্বরোপ করা হয়।

৩. তথ্যপ্রযুক্তি ঃ
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকার গৃহীত নীতির কার্যকর বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রাথমিক ভাবে সরকারী কাজগুলো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে তাদের সাথে বাংলাদেশের পড়সঢ়ঁঃবৎ এৎধফঁধঃব দের সম্পৃক্ত করে দেশীয় বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি যারা সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে অফিস ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অঁঃড়সধঃরড়হ এর আওতায় এনে ওঈঞ ঝবপঃড়ৎ কে দেশের মধ্যে উৎসাহিত করা পরবর্তী পর্যায়ে ঐরময ংঢ়ববফ পড়সসঁহরপধঃরড়হ নধপশনড়হব এর মাধ্যমে বিদেশের কাজগুলোকে নিয়ে আসা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞদের স্বল্পকালীন সময়ের জন্য দেশে আমন্ত্রণ ও কম্পিউটার ডিগ্রিপ্রাপ্ত চাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা ইত্যাদি সুপারিশ করা হয়।



৪. শিক্ষার দূরশিক্ষণ পদ্ধতি ঃ
বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণের মাধ্যমে বিস্তৃত অবকাঠামো তৈরি করে স্বাক্ষররতা অভি যান জনগণের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসচেতনা বৃদ্ধি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদান অব্যাহত শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুফল পাওয়া যাবে। এর সাথে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট মাধ্যমে শিক্ষাদান করা এবং একটি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর সমাজ গঠনের প্রয়াস চালানোর যেতে পারে।

৫. গ্রন্থাগার শিক্ষা ঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১ হাজার পুস্তক সম্বলিত পাঠাগার স্থাপন এবং তার ব্যবস্থাপনায় একজন শিক্ষক কেত প্রশিক্ষণের ব্যব্সতা চঞও গুলোতে জনবল কাঠামোসহ গ্রন্থাগাারের বৗবস্থা নো (ইঅ চঊ) এ জাতীয় মানের একটি গ্রন্থাগার পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ মাধ্যমিক পযার্য়ের সরকারি ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরেত প্রয়োজনীয় জনবল কাঠামো সৃষ্টিসহ একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক লাইব্রেরী ও গবেষণা গ্রন্থাগার গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষিত জনবল আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সম্বলিত উন্নত মানের গ্রন্থাগার সুবিধাাদি সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার উল্লেখ করা হয়।

 ইতিবাচক দিক ঃ
১. একমুখী মাধ্যমিক শিক্ষানীতি ও ব্যবস্থা চালুকরণ।
২. মৌলিক শ্ক্ষিাক্ষেত্রে সমবন্টনের নীতি অ নুসরণ
৩. শ্ক্ষিার বিভিন্ন ধারার মধ্যে সম্বনয় সাধন
৪. গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ বিস্তৃতকরণ।
৫. শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানের উপর গুরুত্বারোপ।
৬. শিক্ষায় প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহারের উপর গৃরুত্ব
৭. ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য জীবনমূখী শিক্ষার ব্যবস্থা।
৮. শিক্ষিত বেকার শ্রেণী রোধে পরিকল্পনা প্রণয়ন
৯. শিক্ষার দূরশিক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার জোরে প্রদান
১০. মাধ্যমিক ও কলেজ শ্ক্ষিার ক্ষেত্রে ঢাকা কেন্দ্রিক প ্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ।
১১. একক বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে পিরুৎসাহ প্রদর্শন
১২. বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চশিক্ষাকে উৎসাহিত করা।
১৩. পবহঃবৎং ড়ভ ঊীপবষষবহপব স্থাপন এবং পেশাগত ও বিশেষায়িত শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও
১৪. শিক্ষক নিয়োগে নিরপেক্ষা প্রশাসন স্থাপন।
১৫. বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি গুরুত্বরোপ
১৬. স্থায়ী শ্ক্ষিা কমিশন গঠনের প্রসঙ্গ উত্থাপন
১৭. প্রযুুক্তির ব্যবহার অব্যাহত শিক্ষাদান ব্যবস্থা
১৮. কোচিং সেন্টার ও নোট বই নিষিদ্ধকরণ
১৯. কৃষি শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্বরোপ।

 নেতিবাচক দিক ঃ
১. শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য জনগণের জ্ঞানের ক্ষুধা নির্ধারণ ও জীবন যাত্রা উন্নতকরনের বদলে জনগোষ্ঠীকে স্বল্প স্বাক্ষরের মধ্যে সম্পদে পরিণত রাখার উপর গুরুত্বরোপ।
২. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে সেমিষ্টার পদ্ধতির বদলে বাৎসরিক কোর্স প্দ্ধতি চালা রাখা।
৩. মাদ্রাজ শিক্ষাব্যবস্থা ও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য দূরীকরন বোবলা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির উপর গুরুত্বরোপ করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার যে বিশাল ব্যবধান বিশেষত ইংরেজি শিক্ষার তার উপর কোর্স আলোকপাত করা হয়নি।
৪. নারী শিক্ষার উন্নয়নে গৃহীত সরকারী পদক্ষেপকেই যথেষ্ট বলে মনে করা হয় তার চেয়ে অধিক উত্তম কিছু নারীকে শিখতে দেয়ার সুযোগকে এখানে একারুপ দুরে রাখা হয়েছে। যা মোটেই উচিৎ নয়।
৫. শিক্ষানীতি প্রণয়নে কথিটির সদস্যদের ব্যক্তিকেন্দ্রিক জ্ঞানের প্রধান্য।



 সমালোচনা ঃ
২০০৩ সালে প্রণীত জাতীয় শিক্ষা এর প্রতিবেদন অনুযায়ী একমুখী শিক্ষাতে গুরুত্বরোপ করা হলেও কি কি কাঠামোর মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করা হবে এর কোন সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। কারিগরি শিক্ষার উপর অধিক সরকারী সাহায্য চাওয়া হয়েছে কিন্তু তা শুধুমাত্র দেশের অর্থনীতি মজবুত করার লক্ষ্যে যাতে দক্ষ করিগর তৈরি হবে কিèুত মেধার বিকাশ ও জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে না। নারী শিক্ষাকে এর যথাযথ গুরুত্বের দানের ক্ষেত্রে এ শিক্ষানীতিতে ঘাটতি রয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষাও শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশে নয় বরং উত্তম পার্থিব জীবন লাভের উপরই গুরুত্বরোপ করেছে। কারিগরি শিক্ষাকে সমৃদ্ধকরণে জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা কেবল বিদেশে যেমন শ্রম দিতে পারে সেজন্য দেশীয় কাঁচামাল ও সুযোগ সুবিধার ব্যবহার হয় সে কারণে নয় অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় বিদেশের জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি হচ্ছে দেশের উন্নয়নের সেবক নয়। এ শিক্ষানীতিতে অনেকগুলো যুগান্তকারী প্রস্তাব করা হলেও এর সম্ভবনা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে বস্তনিষ্ট কোন তথ্য উপাত্ত সংযোজিত হয়নি। এর কারণ আমার মতে যেহেতু শিক্ষানীতি প্রণয়ন কথিটি সরেজমিনে দেশে বিদেশে কোথাও সফরে যায়নি। তাই এরূপ তথ্য জানা সম্ভব হয়নি অর্থাৎ ব্যক্তি কেন্দ্রিক জ্ঞানই এক্ষেত্রে মুখ্য ছিল এবং বস্তনিষ্ঠতার ঘাটতি রয়েছে।







বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৬
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×