somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৬

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ (কবির চৌধুরী শিক্ষাকমিশন)

 ইতিহাস
মহাজোট সরকারের প্রধান শরিকদল আওয়ামীলীগের ২০০৮ সালের নির্বাচন ইশতেহার অনুযায়ী একটি অসম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হলো একাট সুপরিকল্পিত এবং জনকলানে বিবেচিত যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা। আর তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন একটি সুষম সুগ্রন্থিত যুগযোপযোগী শিক্ষানীতি।

এমনি একটি শিক্ষানীতি প্রণঢনের জন্য সরকার কোন কমিশন তৈরি করেন নি তৈরি করেছেন একটি কমিটি। এই কমিটিকে শিক্ষানীতি ২০০০ কে অধিকতর সময়োপযোগী করে পুণগঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। কমিটি তার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ৫৬টি সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেন এবং অনেক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কাছ তেকে লিখিত মতামত ও গ্রহণ করেন। ৮ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির ঘোষণা দেন।

সরকার কমিটিকে কাজ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেয়। কমিটি ৩রা মে ২০০৯ তারিখে প্রথম মিটিং এ বসে এবং ২রা সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখে এর কাজ সম্পন্ন করে।ে বিভিন্ন উৎস থেকে মতামত ও তথ্য গ্রহণ ও বিবেচনা এবং সদস্যদের নিজেদের মতামত তুলে ধরার জন্য পূর্ণ কমিটি মোট ২৩টি সভা করে।

প্রাপ্ত সকল মতামত ও তথ্য বিশ্লেষণ করে একটা খসড়া শিক্ষানীতি তৈরি করা হয় এবং এর পরিমার্জন করার পূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির কো চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমানা আহমদ (আহবায়ক) সদস্য মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও সদস্য সচিব শেখ ইকরামুল কবিরকে নিয়ে গঠিত খসড়া প্রণয়ন এ কমিটি।

শিক্ষানীতি ২০০৯ এ রয়েছে ২৯টি অধায় সাতটি সংযোজনী মোট পৃষ্ঠা সংখর্শ্যা ৯৭। প্রত্যেক অধ্যায়ে উদ্দেশ্য লক্ষ্য এব ং বাস্তবায়ন কৌশল উপস্থাপন করা হয়েছে পাশাপাশি শ্কিষার স্তর নিবিশেষে প্রযোজ্যগ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিকনির্দেশনা ২৮ নং অধ্যায়ে সন্নিবেশিত আছে।

শিক্ষানীতি সম্পর্কে জনমত যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইট পিতি এক্ষ করে দেওয়া হলেও ফন্ট সংযোজন করা হয়নি। তাই যাদের কম্পিউটারে ব াংলা ফণ্ট নেই তাদের শিক্ষানীতি পড়ার কোন উপায় নেই খসড়াটি প্রকাশিত হলে ২ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়-

ক) একে গ্রহণ করেছে এবং তা পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কী কী সংযোজন বা পরিবর্তন করা যায় তা সুপারিশ করেছে।

খ) একে প্রত্যাখ্যান করেছে।
 জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিটিতে মোট ১৮ জন বিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছেন চেয়ারম্যান-জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী।
 কো-চেয়ারম্যান-ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ, সভাপতি-বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
 সদস্য সচিব- অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির।
 সদস্য-
 অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ
 প্রফেসর আর আই এম আমিনুর রশিদ
 অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম
 অধ্যাপক-মুহঃ জাফর ইকবাল
 অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম
 অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান
 অধ্যাপক ড. জরিনা রহমান খান
 অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সীত্রধর
 অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সূত্রধর
 অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ
 জনাব মোঃ আবু হাফিজ
 মাওলানা অধ্যাক এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান
 বেগম নিহাদ কবির
 অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী
 প্রফেসর শাহীন মাহবুবা কবির

গঠিত ১৮ সদস্যের এই কমিটিকে সহায়তা করার জন্য যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহায়তা সেবা প্রদান করেছেন তারা হলো-
নাম, ঠিকানা পদবী সহায়তা সেবক
১. এ কে এম মুনিরুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক নায়েক র‌্যাপোটিয়ার
২. ফরহাদুল ইসলাম ভূইয়া
প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ নায়েক র‌্যাপোটিয়ার
৩. মোঃ দাউদুল ইসলাম
বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ শব্দ বিন্যাস
৪. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস
ব্যক্তিগত সহকারী নায়েক শব্দ বিন্যাস
৫ মোঃ আলমগীর হোসেন
এম এল এস এস নায়েক এম এল এস এস

শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশিত হবার পর শিক্ষামন্ত্রী ২রা সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবসের ৪৭ তম বার্ষিক আয়োজনের সম্ভবনা নামক নিবন্ধে বলেছেন আমাদের শিক্ষার অধিকার এবং গণমুখি বিজ্ঞানভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক যুগোপযোগী প্রগতিশীল একটি শিক্ষানীতির জন্য অর্ধ শতাব্দী ধরে যে সংগ্রাম অব্যাবহতভাবে চলমান তারই সফল পরিণতি হলো এবারের শিক্ষানীতি।

 জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০৯ -এর সুপারিশমালা
অধ্যায় মূল বিষয় মূল বক্তব্য
১ শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মানবতার বিকাশ এবং জনমুখী উন্নয়নের প্রগতিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল যুক্তবাদী নীতিবান নিজের ও অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কুসংস্কার মুক্ত পেরামত সহিষ্ণু অসাম্প্রদায়িক দেশ প্রেমিক এবং কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলা।
২ প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আগে প্রয়োজনীয়তা মানসিক ও দৈহিক প্রস্তৃতি গ্রহণের পরিবেশ তৈরির ব্যবস্থা করা হবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা হবে সার্বজনীন বাধ্যতামুলক অবৈতনিক এবং সকলের জন্য একই মানের
৩ বয়স্ক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এর মাধ্যমে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রাপ্ত সকল নাগরিককে সাক্ষর করে তোলা এবং শিশু শ্রমিকদের শিক্ষার সুুযোগ প্রদান
৪ মাধ্যমিক শিক্ষা নবম দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমে শিক্ষাস্তর বিবেচনা করা
৫ বৃত্তিমুলক ও কারিগরি শিক্ষা দেশের ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনার রেখে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা।
৬ মাদরাসা শিক্ষা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আঠুনিকরণ
৭ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা যার যার নিজস্ব ধর্মের ওপর এবং সেখানে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা।
৮ উচ্চ শিক্ষা জ্ঞান সঞ্চারণ ও নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন ও সেই সাথে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা
৯ প্রকৌশল শিক্ষা দেশের শিল্প সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের উপর জোরদার করা হয়েছে।
১০ চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা এবং তাদের সংবেদনশীল বিবেকমান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা
১১ বিজ্ঞান শিক্ষা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ জ্ঞান সাধনা এবং সৃজনশীলতায় আন্তর্জাতিক মান অর্জনে সহায়তা করা
১২ তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা উপযুক্ত কর্মযজ্ঞের জন্য তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষার আর্ন্তজাতিক মান ও গুণ সম্পন্ন শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির প্রচেষ্টা করা।
১৩ ব্যবসায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ব্যবসার বাণিজ্যূ সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান অর্জন সফল তৈরি ও শিক্ষা জীবনের যে কোন স্তরের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্র আত্মকর্মসংস্থান পথ সুগম করা
১৪ কৃষি শিক্ষা কৃষি নির্ভর আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সম্প্রসমারণ ও বৃষ্টিতে আধুনিক প্রযুুিক্তর ব্যবহারে সচেতনা সৃষ্টি করা।
১৫ আইন শিক্ষা জনগণের আইনগত অধিকার সংরক্ষণে সহায়তা করা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুদক্ষ শিক্ষা আইনজীবি আইনবিদ ও বিচারক তৈরিতে সাহায্য করা
১৬ নারী শিক্ষা নারীর সার্বিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা
১৭ ললিতকলা শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মনের সুকুমার বৃত্তিকে জাগ্রত করে মন ও কর্মে শৃঙ্খলাবোধ সৃেিষ্ট করে পরিমিত জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ এবং সুনাগহরিক জনগোষ্ঠী তৈরি করা
১৮ বিশেষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা স্কাউট ও গালর্স গাইড এবং ব্রতচারী
ক. প্রতিবন্দীদের শিক্ষা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ
খ. স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা শরীর চর্চা ও খেলাধুলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি আবশ্যিক বিষয় এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করা।
গ. ব্রতচারী ব্রতচারীর শিক্ষাকে নাগরিক হওয়া শ্রমজীবি মানুষকে সম্মান করা অসাম্প্রদায়িকতা অনুশীলন করা অসাম্প্রদায়িক হওয়া দেশ গড়ার কাজে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানো ও মানুষের সেবা করা
১৯ ক্রীড়াশিক্ষা ক্রীড়া শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়ে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ তৈরি করা।
২০ গ্রন্থাগার স্কুল কলেজ গুলোতে আধুনিক ও উন্নতমানের গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা ও পর্যায়কুমে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর সুবিধা প্রদান
২১ পরীক্ষা ও মূল্যায়ন জ্ঞান অর্জন সম্পর্কিত মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে করা উচিত এবং এক্ষেত্রে কিছু নিয়নতান্ত্রিক মেনে চলা প্রয়োজন যেমন সৃজনশীল পদ্ধতি।
২২ শিক্ষার্থী কল্যাণ ও নির্দেশনা ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শদান কর্মসূচি কার্যকর ভাবে প্রবর্তন করা
২৩ শিক্ষার্থী ভর্তি এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর মেধা ও প্রবনথা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির মাপকাঠি হয় সেই বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে এবং প্রথম শ্রেণীতে বিষয় ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা নেবার প্রবণতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
২৪ শিক্ষক প্রশিক্ষণ শিক্ষাদান পদ্ধতি যেন আনন্দদায়ক করা যায় এ ব্যাপারে শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
২৫ শিক্ষকদের মর্যাদা অধিকার ও দায়িত্ব শিক্ষকদের মর্যাদাও বেতন গ্রেড বাড়ানোর প্রস্তাব এ অধ্যায় বলা আছে এবং শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে তাদের সচেতন করা হয়েছে।
২৬ শিক্ষাক্রম পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক এই বিষয়গুলো এমন হওয়া উচিৎ যাতে করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব কর্মমূখী নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জীবনমুখী হয়ে উঠে।
২৭ শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষা সংক্রান্ত সকল আইন বিধিবিধান ও আদেশবলী একত্রিত করে এই শিক্ষানীতির আলোকে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমন্বিত শিক্ষা আইন প্রবর্তনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২৮ শিক্ষার স্তর নির্বিশেষে বিশেষ কয়েকটি পদক্ষেপ শিক্ষার স্তর নির্বিশেষে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিশেষ কিছু পদক্ষেপের উল্লেখ আছে।
২৯ অর্থায়ন শিক্ষাখাতে বিভিন্ন উন্নতির জন্য শিক্ষানীতির জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে।


 ইতিবাচক দিক ঃ
প্রথমবারের মত শিক্ষানীতির খসড়া জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তকরা হলো ঃ-
১. মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে তোলা। এই শিক্ষানীতির লক্ষ্য।
২. প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন বাধ্যতামুলক, অবৈতনিক ও সকলের জন্য এক্ি মানের করা হয়েছে (পৃষ্ঠা নং-১১)।
৩. শিক্ষার্থীদের শারিরীক শাস্তি সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে।
৪. পিছিয়ে পড়া এলাকাসহ গ্রামীন সকল বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানের চেষ্টা করা হয়েছে।
৫. খসড়ার বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে সারাদেশে প্রাথমিক স্তরে নির্ধারিত বিসয়ে এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম ও পাঠসূচি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
৬. শিক্ষক নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
৭. আদিবাসী শিশুদের তাদের নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৮. আদিবাসী অধ্যূষিত এলাকায় এবং যে এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত।
৯. মাদ্রাসা শিক্ষাকে ঢেলে সাজিয়ে তার আধুনিকরণ করা হবে।
১০. সাধারণ শিক্ষার মত মাদ্রাসা শিক্ষার শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ সমভাবে উন্মুক্ত করা হবে।
১১. বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মৌলিক গবেষণার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ হবে।
১২. প্রত্যেক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার গড়ে তুলতে হবে ও ইলেকট্রনিক গ্রহাক হিসেবে সকল গবেষণা জার্নাল সংগ্রহ করতে হবে।
১৩. দেশে একটি জাতয় শিক্ষা কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
১৪. প্রাথমিক শিক্ষার প্রারম্ভে এক বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা চালুর প্রস্তাব (পৃষ্ঠা নং-১০)।
১৫. প্রতিবন্দীদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ।
১৬. বিদ্যালয়ের পরিেেবশ যেন আনন্দময় ও আকর্ষণীয় হয় তা প্রস্তাব করা হয়েছে।
১৭. প্রাথমিক মাধ্যমিক ও বেরসকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগ পদোন্নতি বদলি এবং প্রশিক্ষণের জন্য একটি স্বতন্ত্র শিক্ষক নির্বাচন উন্নয়নের কমিশন গঠনের প্রস্তাব ও ইতিবাচক।
১৮. উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির কোনও নূন্যতম যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা ও ইতিবাচক।
১৯. বিভিন্ন ধরনের প্রাথমিক বিদ্যায়তনে বিদ্যায়তনে বিদ্যামান বৈষম্য দুরীকরনে আগ্রহ।
২০. বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে প্রধান্য দেবার বিষয়টিও প্রশংসার দাবি রাখে।
২২. সকল ধারায় বাংলাদেশে স্ট্যাডিজ বিষয়টি রাখার প্রস্তাবটিও ঠিক আছে।
২৩. প্রাথমিক শিক্ষা হলো সাংবিধানিক অধিকার তাই অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার প্রবর্তনের একটি ইতিবাচক ফলাবর্তন বিদ্যমান।
২৪. তথ্য প্রযুক্তি আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থার কম্পিউটার সাক্ষরতায় আবশ্যকতা তুলে ধরা হয়েছে।
২৫. ভোকেশনাল শ্কিষার পরিসর বৃদ্ধি এবং শিক্ষার অষ্টম থেকে দ্বাদশ বছর পর্যন্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা করে জাতীয় দক্ষতামান ১-৪ পর্যন্ত অর্জনের সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।
২৬. কোন স্তর থেকে ইংরেজি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা শিক্ষানীতিতে উল্লেখ আছে যেমন-প্রথম শ্রেণী থেকে।
২৭. খসড়া নীতির শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের ২৩ নম্বর লক্ষ্যটি হলো। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা যা প্রশংসার দাবি রাখে।

 নেতিবাচক দিক ঃ
১. ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি কেউই বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবেন না ভেবেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
২. যে ২৪টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেই সব লক্ষ্য আর সুপারিশমালার মধ্যে যথেষ্ট স্ববিরোধীতা রয়ে গেছে।
৩. খসড়া শিক্ষানীতির বানানটি ভ্রট বাক্য বিন্যাসে ত্র“টি এমনকি দুর্বোধ বাক্যের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়।
৪. শিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে গিয়ে সুচনার বেশ কিচু বিশেষণ ব্যবহার করা হয়েছে সের্যুলার শিক্ষানীতি সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৫. শিক্ষানীতিটির কোন দর্শন নেই যোগ্যতার টিকে বাক্য নীতিটি দর্শন হিসেবে গ্রহণ যোগ্য নয় (পৃঃ৩)
৬. উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব লক্ষনীয়।’
৭. মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যক্তিটি মাদ্রাসাগুলো নিয়ে খসড়াতে কোন প্রস্তাব নেই।
৮. ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলগুলো নিয়ে তেমন কিছু বলা হয়নি।
৯. অধ্যায় ১৮ বিশেষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও শারিরীক শিক্ষা স্কাউট ও গার্ল সাইড এবং ব্রতচারী এ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ আলাদাভাবে বিশেষ শিক্ষা শিরোনাম আসতে পারতো কারণ বিশেষ শিক্ষা সম্পূর্ণ শিক্ষাপদ্ধতি।
১০. এই খসড়া শুধুমাত্র কাঠামোর কথা বলা আছে নীতি মেধা দর্শন সংক্রান্ত কোন কথাই এখানে নেই।
১১. খসড়ায় নৈতিক শিখাবে ধর্ম শিক্ষার অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে যা মোটেও কাম্য নয়।
১২. মাধ্যমিক স্তরের ও তিনটি ধারা সাধারণ মাদ্রাসা এবং কারিগরি পাশাপাশি বিশেষ ব্যব্সতা হিসেবে ও লেভেল এবং এ লেভের যা একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় কল্পনাও করা যায় না।
১৩. আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অজূনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে খসড়া নীতিতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার উপর জোরারোপ কাম্য নয় (পৃঃ ৪)।
১৪. বয়স্ক ও উপনুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় ও প্রবাসীদের চাহিদা বিবেচনায় নেয়ার সুপারিশটি অনেকটাই ভিত্তিহীন।
১৫. উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্র বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি মোটেও গ্রহণ যোগ্য নয়।
১৬. নারী শিক্ষা বিষয়ক কৌশল ৭ এ (পৃঃ ৪৯) মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে জেন্ডার স্টাডিজ ও প্রজনন স্বাস্থ্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে যা খসড়ার একটি দুর্বলতম বিষয়।
১৭. ছাত্রীদের বিদ্যালয় ত্যাগের হার কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ঝরে পড়া ছাত্রীদের মূলধারার ফিরিয়ে আনার জন্য কোন পদক্ষেপের উল্লেখ নেই।
১৮. প্রাথমিক শ্কিষার দায়িত্ব বেসরকাররি বা এনজিও খাতে হস্তান্তর করা যাবে না (পৃঃ ১২) এ আশ্বাস দেবার পাশাপাশি পৃঃ ১৭তে সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেসরকারী বিদ্যালয় স্থাপন কে উৎসাহিত করা হয়েছে যা খসড়ার একটি দুর্বল দিক।
১৯.প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার মানোন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা অন্য কোন উপযুক্ত নামে প্রাথমিকভাবে ২০-২৫ লক্ষ টাকার স্থায়ী তহবিলের সুপারিশ করা হয়েছে যার অর্থ মূলত স্থানীয় বিত্তবানরা দান করবেন ও সরকার ও অনুদান দেতে এখানে প্রাথমিক শিক্ষা পূর্ণ দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না।
২০. মাধ্যমিক স্তরের অর্থায়ন সম্পর্কে কিছুই বলা হয় নি।
২১. উচ্চশিক্ষা অধ্যায়ের কৌশল ১৭ তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেকটা বাণিজ্যিক হবে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
২২. উচ্চ শিক্ষা অধ্যায়ের কৌশল ১৬তে আমাদের দেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনকে উৎসাহ প্রদান করা হবে।
২৩. পৃষ্ঠা ৮১তে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজন হতে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া যেতে পারে উল্লেখ করে শিক্ষানীতিটিকে অনেকটা আন্তর্জাতিক চাহিদা ভিত্তিক বিসয়ে রূপান্তর করেছে।
২৪.সেব্যুলায়ের কথা বলে ও পাঠক প্রাথমিক শিক্ষার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আনা হয়েছে।
২৫. প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে খসড়ার কোন সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।
২৬. খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর ও সচিবদের মর্যাদার যে মানক্রমের কথা বলা হয়েছে তা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
২৭. এই শিক্ষানীতিতে ললিতকলা বিষয়টি রাখা হলেও সংস্কৃতিনীতি রক্ষার বিশেষ কোন উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
২৮. প্রথম অধ্যায়টিতে প্রকৃতপক্ষে যা বিবৃত করা হয়েছে তা অনেকাংশ আসলে শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তাই এর নাম হওয়া উচিত। জাতীয় শিক্ষানীতির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য?
২৯. পৃষ্ঠা ৭ এ বলা হয়েছে শিক্ষানীতি রণকৌশল হিসেবে কাজ করবে এখানে রণকৌশল শব্দটির ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত নয়।
৩০. প্রস্তাবিত খসড়া শিক্ষানীতিতে আমাদের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে হিসেবে বাংলা ভাষার অবস্থান কী? এবং জাতীয় পর্যায়ে আমাদের ভাষানীতি কি হবে? সে সম্পর্কে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয় নি শুধুমাত্র আর্ন্তজাতিক ভাগ ইনস্টিটিউটকে কার্যকর ও সমৃদ্ধ করার কথা ছাড়া (পৃঃ ৪)।
৩১. শিক্ষার মান্নোয়ন সম্পর্কে কোন অধ্যায় যুক্ত হয়নি সেখানে দেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার মান্নোয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
৩২. শিক্ষার্নীতিতে বলা আছে প্রাথমিক শিক্ষা হবে সর্বজনীন, বাধ্যতামূলক অবৈতনিক ও সকলের জন্য একই মানের (পৃঃ ১২) কিন্তু কিভাবে তা প্রণয়ন করা হবে বলা হয় নি।
৩৩. বৈষম্য দূর করে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগকে অবারিত করতে প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে কোন নীতিমালা সংযোজিত হয় নি।
৩৪. বাংলাদেশ অধ্যায়ন (ইধহমষধফবংয ঝঃঁফরবং) বিষয়ে পাঠদানকারী প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক কিভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরবরাহ করা হবে সে বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনা প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে নেই।
৩৫. বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিষয়টিকে ব্যাপকতা দেয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা স্তরে ফাউন্ডেশন কোর্স ও স্নাতক শ্রেণীতে বাংলাদেশ অধ্যায়ন কোর্সটি বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে শিক্ষানীতিকে কোস উল্লেখ নেই।
৩৬. প্রাথমিক শিক্ষাকে বিকেন্দ্রীকরণ করার সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট নীতিমালা কিংবা দিক নির্দেশনা এ শিক্ষানীতিতে অনুপস্থিতি।
৩৭. শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে স্বল্প মধ্য বা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশনা এ শিক্ষানীতিতে নাই।
৩৮. দুষ্ট রাজনীতিকে শিক্ষাক্ষেত্রে সেকে পৃথক করার জন্য কোন পদক্ষেপ এই শিক্ষানীতিতে নেই।

 সমালোচনা:
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে দিনবদলের ডাক দিয়ে। পরিবর্তনের জন্যই হয়তো সরকার ক্ষমতায় এসে তিন মাসের মধ্যে নতুন একটি শিক্ষানীতির খসড়া প্রণয়ন করেছে এবং এ বছরের মধ্যে ধাপে ধাপে তা বাস্তাবায়নের ইচ্ছাও জ্ঞাপন করেছেন।

প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনা পরিশেষে দেখা যাচ্ছে এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে।

এক, প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডিকে বিস্তৃত করে একে ৮ বছর মেযাদি কার্যক্রমে উন্নীত করে এর আওতায় ৫-১৩ বছরের সকল শিশুকে এনে বাধ্যতামুলক শিক্ষা প্রদানের পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। কিন্তু কিভাবে এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে বাস্তাবায়িত হবে তা বিস্তারিত ভাবে বলা হয়নি যদিও উপায় হিসেবে শিক্ষর্থীর জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার কথা আছে।

দুই, আগামীর শিক্ষার্থীরা যেন কম্পিউটার ভিত্তিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে পারে সেই কারনে কম্পিউটার সাক্ষরতার আবশ্যকতা তুলে ধরা হয়েছে। খসড়া শিক্ষানীতিতে।

তিন, কারিগরি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে দক্ষ জনশক্তি তৈরির আকাঙ্খা ব্যক্ত করা হলেও উচ্চশিক্ষাকে অনেকটাই উপেক্ষা করা হয়েছে।

চার, প্রতিবন্ধী ও উপজাতিদের শিক্ষা অধিকারকে মূল্যায়ন করা হলেও একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে উপযুক্ত দিক নির্দেশনা নেই,
পাঁচ, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করার কথা বলা হলেও ছাত্রদের দীর্ঘদিনের দাবি ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতির কথা শুধুমাত্র উদ্দেশ্যের পাতায় স্থান পেয়েছে।

ছয়, বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মাঝে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার জন্য বাংলাদেশ স্টাডিজ বিষয়ের সংযোজন প্রশংসার দাবি রাখে কিন্তু কিভাবে এ বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক তৈরি হবে তা বলা হয়নি।
সাত, শিক্ষানীতিতে গ্রন্থাগারের গঠন ও উন্নয়নের যে কথাটি বলা হয়েছে তা প্রশংসনীয়।
বাংলাদেশে প্রচলিত সকল ধারার শিক্ষার্থীদের জন্য একই ধরনের শিক্ষার সুযোগ দেবার মত বেশ কিছু সুচিন্তার সমাবেশ ঘটেছে এই শিক্ষানীতিতে, তবে প্রস্তাবিত শিক্ষনীতিটি হলো-

“শিক্ষা বিষয়ক প্রবল আশাবাদ”।
কারণ এখানে শিক্ষাক্ষেত্রের ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন বিষয়ক হাজারো মুখোরোচক বুলি ব্যক্ত করা হয়েছে কিন্তু তা বাস্তবায়েনের প্রয়োজনীয় দিকানির্দেশনা দেয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রকে সন্ত্রাসমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত করার অভিপ্রায় থাকলেও এর উপায় প্রকাশ করা হয়নি, এমন হাজারো আশার বানী শোনানো হয়েছে। তবে শিক্ষানীতিতে কিছু ভাল বিষয় রয়েছে তাই প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে কিছু সংস্কার এনে পাশাপাশি কিছু উপযুক্ত পরিবর্তন এনে চূড়ান্ত একটি শিক্ষানীতি প্রনীত হলেই কেবল এদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
তবে জাতীয় শিক্ষনীতি ২০০৯ এর চূড়ান্ত সুপারিশে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থার কথা বাদ দেয়া হয়েছে সেখানে প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করার সুপারিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরও কিছু সুপারিশ নিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশনামা মন্ত্রীসভার যেকোন বৈঠকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে বলে মন্ত্রনালয়ের সংশ্লিষ্ঠ সূত্রও হতে তথ্য পাওয়া গেছে।

[বাংলাদেশের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি ৭
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×