somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহা পৃথিবী [উপন্যাস] - ৭

২৫ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব

দু'টো মাইক্রোবাসে রায়হান আর অহনা বাদে শুটিং টিমের অন্য সবাই উঠে বসলো৷ এই টিমটাই অবশ্য সব নয়, আরো একটা টিম আছে, যারা সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্বে আছে৷ ঐ টিমটা আগেই পৌঁছে গেছে অনঙ্গপুরে৷ রায়হান নিজেও সেখানে ছিলো, অহনাকে নিয়ে যাবার জন্যই আগের রাতে ফিরে এসেছে সে৷ এখন ঐ টিমটার তত্ত্বাবধানে আছে রায়হানের প্রধান সহকারী শফিক৷

রায়হান ও অহনা উঠে বসলো রায়হানের গাড়িটায়৷ মাইক্রোবাস দু'টোকে আগে যেতে দিলো রায়হান৷ ওরা রওনা হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে রওনা হলো সে৷ সে ইচ্ছে করেই মাইক্রোগুলো থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকছে৷ অনেকদিন সে লম্বা সময়ের জন্য অহনাকে একলা পায়নি৷ আজকের দিনটায় অহনার সাথে এতটা পথ একলা থাকার সুযোগ সে হাত ছাড়া করতে চায় না৷

গাড়ি চালাতে চালাতে মুখ ফিরিয়ে একবার অহনাকে দেখলো রায়হান৷ আজকে তাকে সত্যিই খুব বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে৷ রায়হানের একটু কষ্ট হলো৷ এই মেয়েটিকে সে ভালোবাসে৷ সে যতদূর বোঝে মেয়েটাও তাকে অপছন্দ করে না৷ তার নিজের ধারণা অহনাও তাকে ভালোবাসে৷ তাহলে কেন যে মেয়েটা তাকে ফিরিয়ে দিলো সেটা কিছুতেই তার মাথায় ঢোকে না!

ফাঁকা মসৃণ রাস্তা৷ সোনা রঙা রোদে ঝলমল করছে চারদিক৷ রাস্তা ধরে একটানা ছুটে চলছে গাড়ি৷ পাশে খুব প্রিয় একটা মানুষ তার অপার্থিব কোমলতা নিয়ে বসে আছে৷ রায়হানের অদ্ভুত ভালো লাগছিলো৷

এমনিতে রায়হান গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ৷ কাজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য সময় সে কথা খুব বেশি বলে না৷ বেশির ভাগ সময় সে ডুবে থাকে নিজের কাজ, নিজের চিন্তার জগৎ নিয়ে, আর তাই আশেপাশের মানুষদের অস্তিত্ব সে ভুলে যায়৷ তার এই স্বভাবের জন্য অনেকে যেমন তাকে পছন্দ করে, অনেকে তেমনি তাকে অপছন্দ করে৷ কিন্তু অহনা পাশে থাকলে সে যেন অন্য মানুষ হয়ে যায়৷ নিজের অজান্তেই সে তখন অনেকটা ছেলেমানুষ হয়ে যায়৷ খুব পাগলামি করতে ইচ্ছে করে তখন৷ এখনো ছেলেমানুষী পেয়ে বসলো তাকে৷ গাড়ি চালাতে চালাতে গুন গুন করে গান ধরলো, “রূপের ঐ প্রদীপ জ্বেলে কি হবে তোমার, কাছে কেউ না এলে এবার! মনের ঐ এত মধু কেন জমেছে, যদি কেউ না থাকে নেবার...”
অহনা চুপ করে বসে সামনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিলো৷ তার পা দু'টো সামনে মেলে দেয়া, মাথাটা সিটে হেলান দেয়া৷ মুখটা একটু উঁচু করা৷ মুখে খুব মৃদু একটা হাসি৷ রায়হান গান গাইতে গাইতে পা নাচাচ্ছে, স্টিয়ারিংয়ের উপর আস্তে আস্তে তাল দিচ্ছে, এসবই অনুভব করতে পারছে সে৷ কিছুক্ষণ চুপ করে গান শুনলো সে, তারপর রায়হানের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলল৷

রায়হান গান থামিয়ে চোখ কুঁচকে বলল, “হাসছো যে?”
“তোমার গান শুনে৷” হাসতে হাসতে বলল অহনা৷
“হুম, গান যে আমি ভালো গাই না সেটা সবাই জানে, এতে নতুন করে হাসির কি হলো?”
“তুমি ভালো করেই জানো কেন হাসছি৷ গানটা ভালোই বেছে নিয়েছো৷”
অহনা হাসছে৷ তারও দু'চোখ ভরে ছেলেমানুষী খেলা করছে৷ রায়হানের মনটা ভালোলাগায় ভরে উঠলো৷ বলল, “আমার আরো অনেক গান গাইতে ইচ্ছে করছে৷”
“জানি৷ কিন্তু না গাওয়াই বোধহয় ভালো৷”
“না, আমি গাইব৷”
অহনা কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো রায়হানের দিকে৷ তারপর হেসে ফেলে বলল, “আচ্ছা গাও৷”
রায়হান হাসিমুখে গাইতে শুরু করলো, “তোমার সন্ধানী চোখ ভরা যে সন্দেহে, জানো না কি আগুন তোমার সর্বনাশী দেহে! কাছে গেলেই তুমি হও উদ্যত, বোঝ না প্রেম বিষ বোঝ যত... তোমার হৃদয় ভরা শুধু শীতের নিরুত্তাপ...”
অহনা কিছু বলল না, মুখ নীচু করে চুপ করে গেলো৷ তার মুখে এখন আর হাসি নেই৷ তার মুখটা এখন গম্ভীর, বিষাদাক্রান্ত৷ গম্ভীর মুখে নতমুখ করে বসে রইলো সে৷ ওকে গম্ভীর হয়ে যেতে দেখে রায়হান গান থামিয়ে চুপ করে গেলো৷
কিছুদিন ধরে এটা শুরু হয়েছে৷ মাস ছয়েক আগে থেকে, যখন রায়হান প্রথমবার অহনাকে বলেছিলো- ভালোবাসি৷ সে সময় রায়হান যখন অহনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো, অহনা রাজি হয়নি৷ সে খুব নিষ্ঠুরের মত ফিরিয়ে দিয়েছিলো রায়হানকে৷ শুধু তাই নয়, সে অনুষ্ঠান করা বন্ধ করে দিয়েছিলো৷ অনেক কষ্টে রায়হান আবার তাকে ফিরিয়ে এনেছে বটে, কিন্তু তারপর থেকেই অহনা মাঝে মাঝেই এরকম গম্ভীর হয়ে যায়৷ রায়হান আবেগময় কোনো কথা বললেই তার মুখটা বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে যায়৷ সে চুপ করে যায়৷

অহনার গম্ভীর, বিষাদাক্রান্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রায়হানের খারাপ লাগছিলো৷ সে ঠিক বুঝতে পারে না কেন অহনা তাকে ফিরিয়ে দেয়, কেন সে কাছে আসে না৷ কিন্তু ফিরিয়ে দিলেও সে যে তার প্রতীক্ষায়ই থাকে! মেয়েটিকে সে বড় বেশি ভালোবাসে৷ বড় ইচ্ছে হয় ওকে কাছে পেতে৷ কিন্তু অহনা যে কিছুতেই কাছে আসতে চায় না! তাই বড় বেশি ক্লান্তি লাগে আজকাল৷ বড় অভিমান হয়৷ অভিমানে ইদানীং তার আবেগগুলোও ঠিক যেন তার বশে থাকে না৷ তার আবেগময় কথা শুনে অহনার কষ্ট হয় জেনেও সে থেকে থেকেই সেসব কথা বলে ফেলে৷

অনেকটা সময় কেটে গেলো চুপচাপ৷ অনেকক্ষণ পর একটা শ্বাস ফেলে রায়হান বলল, “দিন যে আর বয় না, অহনা!”
অহনা দাঁতে ঠোঁট কামড়ে ধরে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলো৷ একটুপর ধীরে ধীরে বলল, “ওভাবে বলো না, ওভাবে বললে আমার কষ্ট হয়৷ তোমার সাথে আমার কি কথা ছিলো? ভুলে গেছো?”
রায়হান আবার একটা শ্বাস ফেললো৷ নাহ, সে ভোলেনি৷ অহনা যখন অনুষ্ঠান করা ছেড়ে দিয়েছিলো, এবং রায়হান যখন তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাগলের মত চেষ্টা করছিলো, তখন অহনার ফিরে আসার একটাই শর্ত ছিলো যে রায়হান তাকে কখনো বিয়ে করতে চাইবে না৷ কি করে সে ভুলবে সে কথা?

রায়হানের হঠাৎ খুব অভিমান হলো৷ তার ভালোবাসার মানুষটি নাকি তাকে ভালোবাসে না৷ সে তাকে বিয়ে করতে চায় না, তার কাছে আসতে চায় না! তার বুকটা কি একটা অভিমানে আচ্ছন্ন হয়ে গেলো৷ জেদ হতে লাগলো৷ বুকের মাঝে একটা অস্থিরতা দানা পাকিয়ে উঠলো, কিসের যেন একটা ঝড় বয়ে যেতে লাগলো মাথার ভিতরে৷ তার মুখ শক্ত হয়ে উঠলো৷ প্রবল একটা অভিমানে কষ্ট হতে লাগলো তার৷

একটু পর অভিমানের জায়গা দখল করে নিলো হতাশা৷ রায়হান জানে, তার অভিমানের কোনো পরিণতি নেই৷ এটা কোথাও পৌঁছবে না৷ তার পাশে অসম্ভব মমতাময়ী, কোমল যে নারীটি বসে আছে, এই একটা ব্যাপারে সে পাথরের মত শক্ত হয়ে যায়৷ তখন সত্যিই অনেক দূরের মানুষ হয়ে যায় সে৷ তার সেই পাথুরে বুকে রায়হানের হাহাকার কোনো ঝড় তোলে না! প্রবল একটা হতাশা নিয়ে রায়হান সামনে তাকিয়ে চুপচাপ গাড়ি চালাতে লাগলো৷

রায়হানের মতই, অহনাও সামনের দিকে তাকিয়ে চুপ করে ছিলো৷ সে টের পেয়েছে সবই৷ টের পেয়েছে রায়হানের অভিমান, তার ভিতরে জেগে ওঠা অস্থিরতা, তীব্র হতাশা৷ তার নিজেরও খুব কষ্ট হচ্ছিলো৷ সে যদি পারতো এই মানুষটার কাছে ছুটে যেতে! কিন্তু সে পারে না৷ কিছুতেই পারে না তার কাছে ছুটে যেতে! বুক ভরা হাহাকার নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে রইলো সে৷

সেই প্রথম দেখার দিন থেকে অহনা জানে যে রায়হান তাকে পছন্দ করে৷ সে বুঝেছিলো প্রথম দিনই৷ প্রথম প্রথম রায়হান কাজের কথা বা তার পড়া কোনো বই বা ভালোলাগা কোনো গান এসব ছাড়া অন্য কিছু বলত না৷ অহনাও বলতো তার ভালোলাগার কথাগুলো৷ কিন্তু সে ঠিকই বুঝেছিলো রায়হান তার প্রেমে পড়েছে৷ সে নিজেও কি পড়েনি? পড়েছে, কিন্তু সে বলেনি৷ বলতে পারেনি৷ কিন্তু রায়হান টপ করে একদিন বলে বসলো, ভালোবাসি, তোমাকে চাই৷
আহ, এক টুকরো ভালোবাসার জন্য কত দীর্ঘ দিন প্রতীক্ষা করে থেকেছে অহনা! কত দীর্ঘ সময়! এতদিন পর সে এলো? এতদিন পর? এতদিন পর সে এলো তার দু'কুল ভাসিয়ে নিতে?
অহনা ভেসে গেলো৷ সে তো ভেসে গিয়েছিলো আগেই৷ কিন্তু রায়হান বলার পর যেটুকু বাঁধ ছিলো, সেটাও যেন আর রইলো না৷ আকুল কান্নায় ভেসে গেলো সে৷ আকুল কান্নায় ভেসে গেলো সেই রাতটা৷
কিন্তু রায়হানকে সে ফিরিয়েছিলো নিষ্ঠুরভাবে৷ বলেছিলো, “আমি ভালোবাসি না৷”
রায়হান বিশ্বাস করেনি৷ বিশ্বাস করেনি যে অহনা তাকে ভালোবাসে না৷ কিন্তু মেনে নিয়েছিলো৷ মেনে নিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু এরপর থেকে তারও সব বাঁধ যেন ভেঙে গেছে৷ সে যেন ছেলেমানুষ হয়ে গেছে৷ অহনার সাথে একলা হলেই সে প্রেমের কথা বলবে, প্রণয়ের কথা বলবে৷ তার সেসব কথা শুনে অহনার কষ্ট হয়, রায়হান যখন সেটা বোঝে, সে চুপ করে যায়৷ আর কোনো আবেগের কথা, প্রণয়ের কথা সে বলে না৷ কিন্তু কতক্ষণই বা? একটু পরই সব ভুলে আবার সেরকমই কোনো একটা কথা বলে বসে৷

অহনা পাশের জানালা দিয়ে বাইরের রাস্তার দিকে তাকালো৷ সন্তর্পণে চোখের পানি গোপন করলো সে৷ রায়হান কোনদিন জানবে না সে তাকে কতটা ভালোবাসে, রায়হানের প্রতিটা কথা তার মনে কতটা দোলা দিয়ে যায়৷ রায়হান কখনো জানবে না একটা দিন তার সাথে কথা না হলে তার সবকিছু কেমন স্তব্ধ হয়ে যায়৷ সে কখনো বলবে না সে কথা৷ তার কোথাও পৌঁছোবার নেই, কাউকে কিছু দেবার নেই৷ একা একা কষ্ট পাওয়া ছাড়া সে আর কিছু করতে পারে না৷

(চলবে)
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?

লিখেছেন মি. বিকেল, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৪৫



বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি

লিখেছেন রানার ব্লগ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৫৬




শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১২ ই মে, ২০২৪ ভোর ৪:১০



বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১২ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

ছবি সূত্র: গুগল

বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×